ভারতের পার্লামেন্টে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল উত্থাপন
ভারত সরকার বহুল আলোচিত লোকপাল বিল গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছে। এই বিলের আওতায় মন্ত্রী, কূটনীতিকসহ সরকারি সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লোকপালের (অমবুডস্ম্যান) কাছে অভিযোগ করতে পারবে সাধারণ মানুষ। প্রচলিত আইনে সেই সুযোগ নেই।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা লোকপালের ক্ষমতার আওতায় প্রধানমন্ত্রীকে না আনায় এই বিলের সমালোচনা করেছেন। বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী আন্না হাজারে ও তাঁর অনুসারীরা বিলের সরকারি অনুলিপি আগুনে পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
প্রস্তাবিত বিলে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বিচারপতি ও এমপিদেরও লোকপালের ক্ষমতার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অথবা ক্ষমতা হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রীকে জেরা করতে পারবেন লোকপাল।
খসড়া বিলের বিরোধিতা করে আন্না হাজারের অনুসারীদের সংগঠন টিম আন্না বলেছে, সুশীল সমাজের সুপারিশগুলো এই বিল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
লোকপাল বিলের খসড়া প্রস্তুত-প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের অভিযোগ, চূড়ান্ত বিলে তাদের মতামতের মূল্য দেওয়া হয়নি।
লোকপাল বিলকে সরকারের ‘মিথ্যা বুলি’ অভিহিত করে আন্না হাজারে পার্লামেন্টের সব সদস্যকে এটি বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করা মাত্র তিনি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনেতে বিলের একটি কপি আগুনে পুড়ে ফেলেন। তিনি ঘোষণা দেন, ১৬ আগস্ট থেকে ফের অনশনে যাচ্ছেন তিনি।
আন্না হাজারে বলেন, ‘এই বিলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা সরকারের নেই।’
সুশীল সমাজের আরেক সদস্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘সরকারের একপেশে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিলের অনুলিপি আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আগুনে পোড়ানো হবে।’
পার্লামেন্টে বিরোধী দলও এই বিলের সমালোচনা করেছে। বিরোধীদলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকেও লোকপালের ক্ষমতার আওতায় আনতে হবে।’
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় দুর্নীতির সব মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা ভোগ করবেন লোকপাল।
একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১০ জন সদস্য নিয়ে লোকপাল গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ নেতা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের বিরোধীদলীয় নেতা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে লোকপালের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
ভারতে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের বিচারের আওতায় আনার রেকর্ড বলতে গেলে নেই। গত ছয় দশকে মাত্র একজন রাজনীতিবিদের দুর্নীতির দায়ে শাস্তি হয়েছে। তাঁর নাম রাও শিব বাহাদুর সিং। ১৯৪৯ সালে ঘুষ নেওয়ার দায়ে তাঁর কারাদণ্ড হয়েছিল।
প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো মন্ত্রী কিংবা কূটনীতিককে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়ার বিধান রয়েছে।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা লোকপালের ক্ষমতার আওতায় প্রধানমন্ত্রীকে না আনায় এই বিলের সমালোচনা করেছেন। বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী আন্না হাজারে ও তাঁর অনুসারীরা বিলের সরকারি অনুলিপি আগুনে পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
প্রস্তাবিত বিলে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, বিচারপতি ও এমপিদেরও লোকপালের ক্ষমতার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অথবা ক্ষমতা হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রীকে জেরা করতে পারবেন লোকপাল।
খসড়া বিলের বিরোধিতা করে আন্না হাজারের অনুসারীদের সংগঠন টিম আন্না বলেছে, সুশীল সমাজের সুপারিশগুলো এই বিল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
লোকপাল বিলের খসড়া প্রস্তুত-প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের অভিযোগ, চূড়ান্ত বিলে তাদের মতামতের মূল্য দেওয়া হয়নি।
লোকপাল বিলকে সরকারের ‘মিথ্যা বুলি’ অভিহিত করে আন্না হাজারে পার্লামেন্টের সব সদস্যকে এটি বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করা মাত্র তিনি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনেতে বিলের একটি কপি আগুনে পুড়ে ফেলেন। তিনি ঘোষণা দেন, ১৬ আগস্ট থেকে ফের অনশনে যাচ্ছেন তিনি।
আন্না হাজারে বলেন, ‘এই বিলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার মানসিকতা সরকারের নেই।’
সুশীল সমাজের আরেক সদস্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘সরকারের একপেশে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিলের অনুলিপি আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আগুনে পোড়ানো হবে।’
পার্লামেন্টে বিরোধী দলও এই বিলের সমালোচনা করেছে। বিরোধীদলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকেও লোকপালের ক্ষমতার আওতায় আনতে হবে।’
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, ১৯৮৮ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় দুর্নীতির সব মামলা তদন্ত করার ক্ষমতা ভোগ করবেন লোকপাল।
একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১০ জন সদস্য নিয়ে লোকপাল গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ নেতা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের বিরোধীদলীয় নেতা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে লোকপালের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
ভারতে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের বিচারের আওতায় আনার রেকর্ড বলতে গেলে নেই। গত ছয় দশকে মাত্র একজন রাজনীতিবিদের দুর্নীতির দায়ে শাস্তি হয়েছে। তাঁর নাম রাও শিব বাহাদুর সিং। ১৯৪৯ সালে ঘুষ নেওয়ার দায়ে তাঁর কারাদণ্ড হয়েছিল।
প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো মন্ত্রী কিংবা কূটনীতিককে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়ার বিধান রয়েছে।
No comments