কার্বন নির্গমন প্রতিরোধে কর আরোপ করবে অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার সরকার দেশটির কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে। গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে দেশটির সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টনপ্রতি ২৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (২৫ মার্কিন ডলার) হারে কর দিতে হবে। দেশটিতে গৃহীত গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী এক অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণের এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কার্বন নির্গমন প্রতিরোধে ইউরোপের বাইরে এটিই সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড রাজধানী ক্যানবেরায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতি হিসেবে কার্বন নির্গমনের ওপর কর আরোপ করে আমাদের একটি দূষণমুক্ত জ্বালানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎ পাদনকারীসহ দেশের ৫০০টি পরিবেশদূষণকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ওই কর দিতে হবে। বছরে ওই করের হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে বাড়বে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাজারভিত্তিক এ বাণিজ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার এই পরিকল্পনা কার্বনদূষণ প্রতিরোধে গৃহীত বৈশ্বিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। বর্তমানে ইউরোপের বাইরে একমাত্র নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন কুইগিন বলেন, চীন ও ভারত সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন করছে। তাই সেখানে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এটিই কার্বনের মূল্য নির্ধারণে সবচেয়ে বড়, ব্যাপকভিত্তিক ও সুশৃঙ্খল উদ্যোগ।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডন হেনরি বলেন, এ পরিকল্পনা কেবল সঠিক নয়, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি এখনই শুরু করা অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, এ পরিকল্পনার ফলে ২০২০ সালের মধ্যে কার্বনদূষণের পরিমাণ কমবে ১৫৯ মিলিয়ন টন। এ ছাড়া ২০০০ সালের চেয়ে কার্বন নির্গমন কমবে পাঁচ শতাংশ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে দেশটির সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টনপ্রতি ২৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (২৫ মার্কিন ডলার) হারে কর দিতে হবে। দেশটিতে গৃহীত গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী এক অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণের এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কার্বন নির্গমন প্রতিরোধে ইউরোপের বাইরে এটিই সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড রাজধানী ক্যানবেরায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জাতি হিসেবে কার্বন নির্গমনের ওপর কর আরোপ করে আমাদের একটি দূষণমুক্ত জ্বালানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎ পাদনকারীসহ দেশের ৫০০টি পরিবেশদূষণকারী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ওই কর দিতে হবে। বছরে ওই করের হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে বাড়বে। ২০১৫ সালের মধ্যে বাজারভিত্তিক এ বাণিজ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার এই পরিকল্পনা কার্বনদূষণ প্রতিরোধে গৃহীত বৈশ্বিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। বর্তমানে ইউরোপের বাইরে একমাত্র নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন কুইগিন বলেন, চীন ও ভারত সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমন করছে। তাই সেখানে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এটিই কার্বনের মূল্য নির্ধারণে সবচেয়ে বড়, ব্যাপকভিত্তিক ও সুশৃঙ্খল উদ্যোগ।
পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডন হেনরি বলেন, এ পরিকল্পনা কেবল সঠিক নয়, অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি এখনই শুরু করা অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, এ পরিকল্পনার ফলে ২০২০ সালের মধ্যে কার্বনদূষণের পরিমাণ কমবে ১৫৯ মিলিয়ন টন। এ ছাড়া ২০০০ সালের চেয়ে কার্বন নির্গমন কমবে পাঁচ শতাংশ।
No comments