জাতীয় নয়, আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রাহুল গান্ধী
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীকে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী ভাবা হচ্ছে। অথচ সেই রাহুল কিনা দেশব্যাপী চিন্তা না করে শুধু দিল্লির নিকটবর্তী রাজ্যগুলোতে মনোযোগ দিচ্ছেন। বর্তমানে তাঁর রাজনীতির ময়দান উত্তর প্রদেশ (ইউপি)।
ইউপি নিয়ে রাজনীতি করার পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই প্রদেশে ভালো করেছে কংগ্রেস। ইউপির ৮০টি আসনের মধ্যে ২২টিতে জেতে ক্ষমতাসীন দল।
উত্তর প্রদেশের আগে রাহুলের নজর ছিল বিহারের ওপর। কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে রাহুল তাঁর দৃষ্টি বিহার থেকে উত্তর প্রদেশের দিকে সরিয়ে নেন। ২০১২ সালে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বিহারের চেয়ে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ ২০০৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলিত নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এবার সেই রকম একচেটিয়া ফল অর্জন সহজ হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো করার ব্যাপারে রাহুলকে বেশ আত্মবিশ্বাসী বলেই মনে হচ্ছে। যদিও তিনি এই মুহূর্তে এককভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএসপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভবিষ্যতে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধাটাও অসম্ভব কিছু নয়।
রাহুল তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বৃহত্তর নয়ডার ভট্ট প্রসুলে সংঘটিত কৃষক আন্দোলনকে ইস্যু হিসেবে নিয়েছেন। সেখানে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে এরই মধ্যে চড়া মাশুল গুনেছে সিপিআই(এম)। ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় তা নির্বাচনে সব ময়ই প্রভাব ফেলছে।
ভারতের শিল্পপতি ও আবাসন ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকল্পের জন্য নতুন নতুন জায়গার অনুসন্ধান করছেন। আর এ নিয়েই স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব।
ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন রাহুল। তাঁর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে এটাই প্রতীয়মান হয়, সৃজনশীল রাজনীতি ও জাতীয় চিন্তাভাবনার বদলে তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি করছেন। রাজ্যের নির্বাচনে জয়ই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য।
আর এ-ও হতে পারে, ৪১ বছর বয়সী রাহুল ভাবতে পারেন যে রাষ্ট্রনায়োকোচিত রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার মতো বয়স এখনো তাঁর হয়নি। কিন্তু দুর্নীতি, ভর্তুকি, বিদেশি বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে রাহুলের মতো একজন জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদের কাছ থেকে আরও বেশি সোচ্চার ভূমিকা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তাই একজন ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু দলিত ও কৃষকশ্রেণীর নেতা হওয়াটাই রাহুলের জন্য যথেষ্ট নয়।
ইউপি নিয়ে রাজনীতি করার পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই প্রদেশে ভালো করেছে কংগ্রেস। ইউপির ৮০টি আসনের মধ্যে ২২টিতে জেতে ক্ষমতাসীন দল।
উত্তর প্রদেশের আগে রাহুলের নজর ছিল বিহারের ওপর। কিন্তু গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে রাহুল তাঁর দৃষ্টি বিহার থেকে উত্তর প্রদেশের দিকে সরিয়ে নেন। ২০১২ সালে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বিহারের চেয়ে উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। সর্বশেষ ২০০৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দলিত নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এবার সেই রকম একচেটিয়া ফল অর্জন সহজ হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
উত্তর প্রদেশের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো করার ব্যাপারে রাহুলকে বেশ আত্মবিশ্বাসী বলেই মনে হচ্ছে। যদিও তিনি এই মুহূর্তে এককভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএসপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভবিষ্যতে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধাটাও অসম্ভব কিছু নয়।
রাহুল তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বৃহত্তর নয়ডার ভট্ট প্রসুলে সংঘটিত কৃষক আন্দোলনকে ইস্যু হিসেবে নিয়েছেন। সেখানে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষ হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে এরই মধ্যে চড়া মাশুল গুনেছে সিপিআই(এম)। ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় তা নির্বাচনে সব ময়ই প্রভাব ফেলছে।
ভারতের শিল্পপতি ও আবাসন ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রকল্পের জন্য নতুন নতুন জায়গার অনুসন্ধান করছেন। আর এ নিয়েই স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব।
ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন রাহুল। তাঁর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে এটাই প্রতীয়মান হয়, সৃজনশীল রাজনীতি ও জাতীয় চিন্তাভাবনার বদলে তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতি করছেন। রাজ্যের নির্বাচনে জয়ই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য।
আর এ-ও হতে পারে, ৪১ বছর বয়সী রাহুল ভাবতে পারেন যে রাষ্ট্রনায়োকোচিত রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার মতো বয়স এখনো তাঁর হয়নি। কিন্তু দুর্নীতি, ভর্তুকি, বিদেশি বিনিয়োগ, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে রাহুলের মতো একজন জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদের কাছ থেকে আরও বেশি সোচ্চার ভূমিকা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তাই একজন ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুধু দলিত ও কৃষকশ্রেণীর নেতা হওয়াটাই রাহুলের জন্য যথেষ্ট নয়।
No comments