নরওয়ের ঘটনা ইউরোপে চরম ডানপন্থী জাগরণের প্রকাশ
নরওয়ের রাজধানী ওসলোতে বোমা হামলা ও উটোয়া দ্বীপে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনার সঙ্গে ইউরোপে চরম ডানন্থীদের জাগরণের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেছেন, ইউরোপে মুসলিম অভিবাসী ও ইসলামের বিরুদ্ধে কী পরিমাণ বিদ্বেষ দানা বাঁধছে, তা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সহজেই অনুমান করা যায়।
আত্মস্বীকৃত হামলাকারী অ্যান্ডারস বেহরিক ব্রেইভিক হামলা চালানোর আগে তাঁর নিজের লেখা দেড় হাজার পৃষ্ঠার যে বক্তব্য ইন্টারনেটে পোস্ট করেছিলেন, তাতে ইউরোপে অভিবাসী ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র বিষোদ্গার করেছেন। ব্রেইভিক নিজে নরওয়ের ডানপন্থী দল প্রোগ্রেস পার্টির সঙ্গে একসময় সক্রিয় ছিলেন। এই দলটি চরম মুসলিমবিদ্বেষী।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ব্রেইভিক এমন সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, যখন ইউরোপের দেশগুলোতে চরম দক্ষিণপন্থীরা মুসলিমবিরোধী বক্তব্যকে পুঁজি করে রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।
নরওয়ের পুলিশ সিকিউরিটি সার্ভিস গত জানুয়ারি মাসে তাদের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘নরওয়ের ইসলামবিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে তাদের প্রচারকাজে ব্যবহার করছে। তাদের সক্রিয় হওয়ার মাত্রা এতটাই তীব্র হচ্ছে যে তারা যেকোনো সময় সহিংস হয়ে উঠতে পারে।’
প্যারিসের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জেমস কোহেন বলেন, ‘এই ঘটনা ইউরোপের ক্রমবর্ধমান (ইসলামবিদ্বেষী) আবহের অংশ। এটি এমন এক দর্শনজগতের অংশ, যেখান থেকে ব্রেইভিকের মতো লোক প্রেরণা পাচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইতালি থেকে ফ্রান্স, ফ্রান্স থেকে ফিনল্যান্ড তথা ইউরোপজুড়েই ডানপন্থী দলগুলো রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলছে। ডানপন্থীরা ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম বংশোদ্ভূত লোকদের ইউরোপে অভিবাসন পাওয়ার বিষয়ে তারা ঘোর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। এই জাতীয়তাবাদী নীতিকে পুঁজি করে তারা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটারের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়েছে।
২০০৫ সালে ডেনমার্কের এক কার্টুনিস্ট মহানবী (সাঃ)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তবে ওই কার্টুনিস্টের পক্ষ নেওয়ায় ডেনমার্কের ডানপন্থী দল ডেনিস পিপলস পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। গত মে মাসে ডেনমার্কের সরকার সীমান্ত পুনর্নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কার্যকর করে। ডেনিশ পিপলস পার্টির দাবি, তাদের আন্দোলনের কারণেই সরকার অবাধ সীমান্তনীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তবে যেসব নেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫টি দেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াত অব্যাহত রাখার পক্ষে, তাঁরা ডেনমার্কের ওই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেদারল্যান্ডে গত বছরের নির্বাচনে সেখানকার ফ্রিডম পার্টি ‘ইসলাম হঠাও’ স্লোগান দিয়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে সক্ষম হয়। সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে মাত্র চারটি মসজিদ রয়েছে।
আত্মস্বীকৃত হামলাকারী অ্যান্ডারস বেহরিক ব্রেইভিক হামলা চালানোর আগে তাঁর নিজের লেখা দেড় হাজার পৃষ্ঠার যে বক্তব্য ইন্টারনেটে পোস্ট করেছিলেন, তাতে ইউরোপে অভিবাসী ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তিনি তীব্র বিষোদ্গার করেছেন। ব্রেইভিক নিজে নরওয়ের ডানপন্থী দল প্রোগ্রেস পার্টির সঙ্গে একসময় সক্রিয় ছিলেন। এই দলটি চরম মুসলিমবিদ্বেষী।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ব্রেইভিক এমন সময়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, যখন ইউরোপের দেশগুলোতে চরম দক্ষিণপন্থীরা মুসলিমবিরোধী বক্তব্যকে পুঁজি করে রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে।
নরওয়ের পুলিশ সিকিউরিটি সার্ভিস গত জানুয়ারি মাসে তাদের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ‘নরওয়ের ইসলামবিরোধী দলগুলো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমকে তাদের প্রচারকাজে ব্যবহার করছে। তাদের সক্রিয় হওয়ার মাত্রা এতটাই তীব্র হচ্ছে যে তারা যেকোনো সময় সহিংস হয়ে উঠতে পারে।’
প্যারিসের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী জেমস কোহেন বলেন, ‘এই ঘটনা ইউরোপের ক্রমবর্ধমান (ইসলামবিদ্বেষী) আবহের অংশ। এটি এমন এক দর্শনজগতের অংশ, যেখান থেকে ব্রেইভিকের মতো লোক প্রেরণা পাচ্ছে।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইতালি থেকে ফ্রান্স, ফ্রান্স থেকে ফিনল্যান্ড তথা ইউরোপজুড়েই ডানপন্থী দলগুলো রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলছে। ডানপন্থীরা ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম বংশোদ্ভূত লোকদের ইউরোপে অভিবাসন পাওয়ার বিষয়ে তারা ঘোর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। এই জাতীয়তাবাদী নীতিকে পুঁজি করে তারা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটারের সমর্থন পেতে সক্ষম হয়েছে।
২০০৫ সালে ডেনমার্কের এক কার্টুনিস্ট মহানবী (সাঃ)-এর একটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তবে ওই কার্টুনিস্টের পক্ষ নেওয়ায় ডেনমার্কের ডানপন্থী দল ডেনিস পিপলস পার্টির জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। গত মে মাসে ডেনমার্কের সরকার সীমান্ত পুনর্নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কার্যকর করে। ডেনিশ পিপলস পার্টির দাবি, তাদের আন্দোলনের কারণেই সরকার অবাধ সীমান্তনীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তবে যেসব নেতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫টি দেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াত অব্যাহত রাখার পক্ষে, তাঁরা ডেনমার্কের ওই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেদারল্যান্ডে গত বছরের নির্বাচনে সেখানকার ফ্রিডম পার্টি ‘ইসলাম হঠাও’ স্লোগান দিয়ে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেতে সক্ষম হয়। সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে মাত্র চারটি মসজিদ রয়েছে।
No comments