যমুনা ও মেঘনার আরও শেয়ার আজ থেকে বাজারে আসছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারি মালিকানাধীন জ্বালানি খাতের কোম্পানি যমুনা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের আরও শেয়ার বিক্রি শুরু করেছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ার সরবরাহ বাড়াতে সরকারের দেওয়া ঘোষণা বাস্তবায়নের কিছুটা অগ্রগতি হলো।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার কোম্পানি দুটির শেয়ার বিক্রিসংক্রান্ত পৃথক ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মালিকানায় থাকা যমুনা অয়েলের ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করা হবে। সংস্থাটির হাতে বর্তমানে তিন কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
আর মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০টি শেয়ার ছাড়া হবে। বিপিসির কাছে এ প্রতিষ্ঠানটির তিন কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রেই বিপিসির হাতে থাকা শেয়ারের ১৭ শতাংশ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ার বিক্রির দায়িত্বে থাকবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান জানান, ‘আজ থেকে বিক্রি শুরু হবে।’
সরকারের শেয়ার ছাড়ার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের নেতারা। তাঁরা ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারও দ্রুত বাজারের ছাড়ার তাগিদ দেন।
যমুনা অয়েলের পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের বিভক্ত। এর মধ্যে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে। বিপিসির মালিকানায় রয়েছে ৭০ শতাংশ শেয়ার।
২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট শেয়ারের আরও ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় আরও ৬০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা চার কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার শেয়ারে বিভক্ত। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামও ২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণায় আরও ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হচ্ছে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় কোম্পানিটির ৫৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ২৬টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রূপালী ব্যাংক ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া সম্ভব হয়নি।
বাজার পরিস্থিতি: এদিকে সরকারি শেয়ারের সরবরাহ আসার ঘোষণায় দেশের শেয়ারবাজারে আরেক দফা মূল্য সংশোধন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার সাধারণ সূচক ৫৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৪২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার নয় পয়েন্ট হয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ২০২ কোটি টাকা কম। আর সিএসইতে ১৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গতকাল সোমবার কোম্পানি দুটির শেয়ার বিক্রিসংক্রান্ত পৃথক ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। এতে জানানো হয়, আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মালিকানায় থাকা যমুনা অয়েলের ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করা হবে। সংস্থাটির হাতে বর্তমানে তিন কোটি ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
আর মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০টি শেয়ার ছাড়া হবে। বিপিসির কাছে এ প্রতিষ্ঠানটির তিন কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার রয়েছে।
উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রেই বিপিসির হাতে থাকা শেয়ারের ১৭ শতাংশ বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ার বিক্রির দায়িত্বে থাকবে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান জানান, ‘আজ থেকে বিক্রি শুরু হবে।’
সরকারের শেয়ার ছাড়ার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের নেতারা। তাঁরা ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের বাকি কোম্পানিগুলোর শেয়ারও দ্রুত বাজারের ছাড়ার তাগিদ দেন।
যমুনা অয়েলের পরিশোধিত মূলধন ৫৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের বিভক্ত। এর মধ্যে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে। বিপিসির মালিকানায় রয়েছে ৭০ শতাংশ শেয়ার।
২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটির মোট শেয়ারের আরও ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় আরও ৬০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা চার কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার শেয়ারে বিভক্ত। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানায় রয়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
মেঘনা পেট্রোলিয়ামও ২০০৭ সালে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মোট শেয়ারের ৩০ শতাংশ বাজারে ছেড়েছিল। নতুন ঘোষণায় আরও ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হচ্ছে। সেই হিসাবে সরকারের মালিকানায় কোম্পানিটির ৫৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ২৬টি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রূপালী ব্যাংক ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়া সম্ভব হয়নি।
বাজার পরিস্থিতি: এদিকে সরকারি শেয়ারের সরবরাহ আসার ঘোষণায় দেশের শেয়ারবাজারে আরেক দফা মূল্য সংশোধন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মঙ্গলবার সাধারণ সূচক ৫৪ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ৬৪২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৯৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার নয় পয়েন্ট হয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ২০২ কোটি টাকা কম। আর সিএসইতে ১৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
No comments