ছাত্র সংসদ নির্বাচন
সম্প্রতি বরিশাল ব্রজমোহন সরকারি কলেজে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে। কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা পেছানো নয়, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকমণ্ডলীকে অবরোধ করে রাখেন। পরে অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। কোনো দাবিদাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অবরোধ বা এ ধরনের আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করি না। তবে যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি যে যৌক্তিক, তা-ও অস্বীকার করা যাবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশসহ শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবিদাওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে পারেন শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। সব উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া আবশ্যক।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় কোনো কোনো ছাত্রসংগঠন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্যায্য দাবি আদায় করে, এমনকি কথিত ছাত্রনেতারা চাঁদাবাজি ও ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই অবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর জন্য কল্যাণকর নয়।
শিক্ষামন্ত্রী একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি জাতিকে উপহার দিয়েছেন, পাবলিক পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নেও সচেষ্ট রয়েছেন। এখন তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন আশা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ ছাত্ররাজনীতির চর্চায় এর বিকল্প নেই।
ছাত্র সংসদগুলোর নিয়মিত নির্বাচন হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে কমে যাবে। ক্ষমতাশ্রয়ী ছাত্রসংগঠন কর্তৃপক্ষের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবেন, তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাঁরা পরিচালনা করছেন, তাঁদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দূরত্বও কমবে।
সামরিক শাসনামলে ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন হতে পারলে গণতান্ত্রিক আমলে কেন হবে না? শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের আগেই অনুরূপ ঘোষণা দেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদের জন্য নির্ধারিত ফি দিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় কোনো কোনো ছাত্রসংগঠন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্যায্য দাবি আদায় করে, এমনকি কথিত ছাত্রনেতারা চাঁদাবাজি ও ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এই অবস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর জন্য কল্যাণকর নয়।
শিক্ষামন্ত্রী একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি জাতিকে উপহার দিয়েছেন, পাবলিক পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নেও সচেষ্ট রয়েছেন। এখন তিনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন আশা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সুস্থ ছাত্ররাজনীতির চর্চায় এর বিকল্প নেই।
ছাত্র সংসদগুলোর নিয়মিত নির্বাচন হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা অনেকাংশে কমে যাবে। ক্ষমতাশ্রয়ী ছাত্রসংগঠন কর্তৃপক্ষের ওপর খবরদারি করতে পারবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবেন, তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাঁরা পরিচালনা করছেন, তাঁদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দূরত্বও কমবে।
সামরিক শাসনামলে ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন হতে পারলে গণতান্ত্রিক আমলে কেন হবে না? শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের আগেই অনুরূপ ঘোষণা দেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments