তৌফিকের পর মিসবাহ
হেলমেটটা প্রথমে ধীরে ধীরে খুললেন। এরপর হেডব্যান্ড। মুখে হাসি নেই। অধিনায়ক এসে জড়িয়ে ধরার পর অবশ্য হাসির মতো একটা ভঙ্গি করলেন। তবে দীর্ঘশ্বাসটা স্পষ্ট বোঝা গেল, আনন্দের চেয়েও অনেক বেশি যেন স্বস্তি। মনে মনে হয়তো বলছিলেন, অবশেষে!
তৌফিক উমর হেলমেট খুললেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির পর। দীর্ঘশ্বাসের কারণ, চতুর্থ আর পঞ্চমের মাঝে পেরিয়ে গেছে সাড়ে সাত বছর! ৯৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন, রান আউট হওয়ার আগে ছুঁয়েছেন টেস্ট-সর্বোচ্চ ১৩৫। কালকের আগে সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০০৩ সালের অক্টোবরে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লাহোরে। ফর্মহীনতা, চোট আর আইসিএল-অধ্যায় মিলিয়ে এই কয়েক বছরে অবশ্য টেস্টই খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৪টি।
তৌফিকের মতো নয়, তবে অপেক্ষাটা কম দীর্ঘ ছিল না মিসবাহ-উল-হকেরও। টেস্টে দুটো সেঞ্চুরি ছিল, দুটোই ভারতে ২০০৭ সালে। এরপর ১০ বার ৫০ পেরিয়েও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পারলেন গতকাল। ১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন, ব্যাটিং করেছেন পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। ১৪১ বলে অপরাজিত ১০২, স্ট্রাইক রেট ৭২.৩৫। অধিনায়ক হিসেবে ৬ টেস্টে তাঁর এখন ৭ ফিফটি, ১ সেঞ্চুরি!
দুই ব্যাটসম্যানের অপেক্ষার অবসানে হঠাৎ করে যেন বদলে গেছে পাকিস্তানের ব্যাটিংও। প্রথম টেস্টে ২০০ করতে পারেনি যে দল, এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে তা পেরিয়েছে শেষ জুটির সৌজন্যে, সেই দলটাই কিনা শেষ ইনিংসে ইনিংস ঘোষণার বিলাসিতা দেখাতে পারল! ৬ উইকেটে ৩৭৭, প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানের লিড মিলিয়ে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৪২৭। বড় এই লক্ষ্য সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে চা বিরতির আগে স্বাগতিকেরা ব্রাফেটকে (০) হারিয়ে তুলেছে ৫৪ রান। সিমন্স ২১ এবং ব্রাভো ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের জেগে ওঠায় অবশ্য বড় ভূমিকা আছে প্রতিপক্ষেরও। ‘অতিথিসেবায়’ কোনো কমতি রাখেননি ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা। এক তৌফিকই ‘জীবন’ পেয়েছেন চারবার, আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ তিনবার। এই সুযোগে দুজন গড়েছেন ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি, দ্বিতীয় উইকেটে আজহার-তৌফিকের জুটি ৭৬ রানের। এরপর তৌফিক-মিসবাহ গড়েছেন সিরিজের প্রথম সেঞ্চুরি জুটি, ১২৯!
তৌফিক উমর হেলমেট খুললেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির পর। দীর্ঘশ্বাসের কারণ, চতুর্থ আর পঞ্চমের মাঝে পেরিয়ে গেছে সাড়ে সাত বছর! ৯৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন, রান আউট হওয়ার আগে ছুঁয়েছেন টেস্ট-সর্বোচ্চ ১৩৫। কালকের আগে সর্বশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০০৩ সালের অক্টোবরে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লাহোরে। ফর্মহীনতা, চোট আর আইসিএল-অধ্যায় মিলিয়ে এই কয়েক বছরে অবশ্য টেস্টই খেলতে পেরেছেন মাত্র ১৪টি।
তৌফিকের মতো নয়, তবে অপেক্ষাটা কম দীর্ঘ ছিল না মিসবাহ-উল-হকেরও। টেস্টে দুটো সেঞ্চুরি ছিল, দুটোই ভারতে ২০০৭ সালে। এরপর ১০ বার ৫০ পেরিয়েও তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পারলেন গতকাল। ১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন, ব্যাটিং করেছেন পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে। ১৪১ বলে অপরাজিত ১০২, স্ট্রাইক রেট ৭২.৩৫। অধিনায়ক হিসেবে ৬ টেস্টে তাঁর এখন ৭ ফিফটি, ১ সেঞ্চুরি!
দুই ব্যাটসম্যানের অপেক্ষার অবসানে হঠাৎ করে যেন বদলে গেছে পাকিস্তানের ব্যাটিংও। প্রথম টেস্টে ২০০ করতে পারেনি যে দল, এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে তা পেরিয়েছে শেষ জুটির সৌজন্যে, সেই দলটাই কিনা শেষ ইনিংসে ইনিংস ঘোষণার বিলাসিতা দেখাতে পারল! ৬ উইকেটে ৩৭৭, প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানের লিড মিলিয়ে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৪২৭। বড় এই লক্ষ্য সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে চা বিরতির আগে স্বাগতিকেরা ব্রাফেটকে (০) হারিয়ে তুলেছে ৫৪ রান। সিমন্স ২১ এবং ব্রাভো ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের জেগে ওঠায় অবশ্য বড় ভূমিকা আছে প্রতিপক্ষেরও। ‘অতিথিসেবায়’ কোনো কমতি রাখেননি ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা। এক তৌফিকই ‘জীবন’ পেয়েছেন চারবার, আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ তিনবার। এই সুযোগে দুজন গড়েছেন ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি, দ্বিতীয় উইকেটে আজহার-তৌফিকের জুটি ৭৬ রানের। এরপর তৌফিক-মিসবাহ গড়েছেন সিরিজের প্রথম সেঞ্চুরি জুটি, ১২৯!
No comments