ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড মিসৌরি ৮৯ জন নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের জপলিন শহরে গত রোববার টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছে। টর্নেডো শহরে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সিটি ম্যানেজার মার্ক রোহর এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জপলিন গ্লোব সংবাদপত্রের স্কট মিকার বার্তা সংস্থাকে বলেন, এটি এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের মতো। মেমোরিয়াল হল হাসপাতালে শত শত আহত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে জায়গাসংকুলান না হওয়ায় এখন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চিকিৎসাশিবির করা হয়েছে।
মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। আরও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
গত মাসে আলাবামা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ছয়টি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো ও ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩৫০ ব্যক্তি প্রাণ হারায়।
ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী জন মিলার জপলিন শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘হোম ডিপো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ওয়ালমার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। সর্বত্র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসের চিত্র দেখতে পাচ্ছি আমি।’
মিলার আরও বলেন, হোম ডিপোর সামনে একটি গাড়ি থেকে অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও প্যারামেডিকসরা এক তরুণীকে বের করে আনেন। ভবনের অংশবিশেষ ভেঙে ওই গাড়ির ওপর গিয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক মানুষ ওয়ালমার্ট স্টোরের ভেতর আটকা পড়েছে। ওয়ালমার্টের সামনের রাস্তায় অনেক অ্যাম্বুলেন্সকে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
জপলিনের সেন্ট জোনস হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেন, ঝড়ে হাসপাতাল ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের জানালা উড়ে গেছে। হাসপাতালের ৪৫ মাইল দূরে বসবাসকারী এক ব্যক্তি বলেন, এক্স-রেসহ হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসার সরঞ্জাম ও হাসপাতালের বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ তাঁর বাড়ির আঙিনায় উড়ে এসে পড়েছে।
অনেক জায়গায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের খালি হাতে কাজ করতে হয়েছে। রেডক্রসের মুখপাত্র জোয়ানে মুইর বলেন, গৃহহীন মানুষের জন্য তাঁরা জপলিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন। দুর্গত লোকজনের জন্য কম্বল, কোট, পানি, খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
সিটি ম্যানেজার মার্ক রোহর এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জপলিন গ্লোব সংবাদপত্রের স্কট মিকার বার্তা সংস্থাকে বলেন, এটি এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের মতো। মেমোরিয়াল হল হাসপাতালে শত শত আহত মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে জায়গাসংকুলান না হওয়ায় এখন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে চিকিৎসাশিবির করা হয়েছে।
মিসৌরির গভর্নর জে নিক্সন রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। আরও ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন।
গত মাসে আলাবামা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ছয়টি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডো ও ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩৫০ ব্যক্তি প্রাণ হারায়।
ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী জন মিলার জপলিন শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘হোম ডিপো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ওয়ালমার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। সর্বত্র ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসের চিত্র দেখতে পাচ্ছি আমি।’
মিলার আরও বলেন, হোম ডিপোর সামনে একটি গাড়ি থেকে অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও প্যারামেডিকসরা এক তরুণীকে বের করে আনেন। ভবনের অংশবিশেষ ভেঙে ওই গাড়ির ওপর গিয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক মানুষ ওয়ালমার্ট স্টোরের ভেতর আটকা পড়েছে। ওয়ালমার্টের সামনের রাস্তায় অনেক অ্যাম্বুলেন্সকে লাইন ধরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
জপলিনের সেন্ট জোনস হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেন, ঝড়ে হাসপাতাল ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের জানালা উড়ে গেছে। হাসপাতালের ৪৫ মাইল দূরে বসবাসকারী এক ব্যক্তি বলেন, এক্স-রেসহ হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসার সরঞ্জাম ও হাসপাতালের বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ তাঁর বাড়ির আঙিনায় উড়ে এসে পড়েছে।
অনেক জায়গায় আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের খালি হাতে কাজ করতে হয়েছে। রেডক্রসের মুখপাত্র জোয়ানে মুইর বলেন, গৃহহীন মানুষের জন্য তাঁরা জপলিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন। দুর্গত লোকজনের জন্য কম্বল, কোট, পানি, খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
No comments