অধিনায়ক ক্লার্কের স্বপ্নের শুরু
রিকি পন্টিংয়ের যেখানে শেষ, মাইকেল ক্লার্কের সেখানে শুরু। বিস্ময়ের কিছু নেই। দীর্ঘদিন পন্টিংয়ের ডেপুটি, এমনই তো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পন্টিংয়ের যেভাবে শেষ, ক্লার্কের সেভাবেই শুরু...বিস্ময়কর হয়তো নয়, তবে রোমাঞ্চকর তো বটেই! রাজত্ব পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচেই ক্লার্ক জানিয়ে দিলেন, ‘আমি প্রস্তুত!’
দীর্ঘ অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচটায় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন পন্টিং, ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। দায়িত্বটা যোগ্য হাতে পড়েছে বোঝাতেই যেন ক্লার্কও শুরু করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। সেঞ্চুরির জন্য আকুতি কতটা ছিল, এটা পরিষ্কার হয়ে গেল উদ্যাপনেই। দুই হাত শূন্যে ভাসালেন, মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়লেন বাতাসে। দিন শেষে অবশ্য বললেন সেঞ্চুরিটাকে আলাদা করে দেখছেন না। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটসম্যান ক্লার্কের আগে তিনি অধিনায়ক ক্লার্ক, ‘সেঞ্চুরি করার অনুভূতি যেকোনো সময়ই দারুণ। কিন্তু আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে আমরা আজ যেমন খেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সিরিজের সব ম্যাচ জেতা, শুরুটা ভালো হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। প্রায় সব পরিকল্পনা আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। তার পরও অবশ্য কিছু উন্নতির জায়গা আছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি, বেশ কিছু শুরুকে কাজে লাগাতে পারিনি।’
কিন্তু এই সেঞ্চুরিটা যদি আলাদা কিছু না-ই হবে, তবে অমন উদ্যাপন কেন? খেলার ধরনের মতো যাঁর কথাবার্তা, আচরণ আর প্রতিটি পদক্ষেপেই ফুটে ওঠে পরিমিতিবোধ, তাঁর উদ্ভাসিত উদ্যাপন। ক্লার্ককে এমন উদ্যাপন করতে আর কবে দেখা গেছে? স্মৃতি হাতড়ে অনেকে ফিরে গেলেন সেই অভিষেক টেস্টে। ব্যাঙ্গালোরের (বেঙ্গালুরু) সেই টেস্টেও এমন উদ্ভাসিত ছিলেন ক্লার্ক। এই তো মিলে গেল, টেস্ট অভিষেক আর পূর্ণকালীন অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি!
ক্লার্ক তবু মেলাতে চান না। এবারও তিনি যোগ্য অধিনায়ক, ‘ব্যাঙ্গালোর তো সেই অনেক আগের কথা। আমি আগেই বলেছি, যেকোনো দেশে, যেকোনো মুহূর্তে সেঞ্চুরি করাই বিশেষ কিছু। তুলনা করা কঠিন। নিজের পারফরম্যান্সে খুব খুশি। কিন্তু বেশি খুশি দলের পারফরম্যান্সে।’ অধিনায়কদের এমনটাই বলতে হয়। আর সেঞ্চুরিটা করেছেন বলেই না এমনভাবে বলতে পারলেন। নতুন অধিনায়ক হওয়ার পর সবারই প্রথম প্রশ্ন থাকে, পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না তো? সেই প্রশ্নটাকে প্রথম ম্যাচেই মাটি চাপা দেওয়ার স্বস্তি তাই না থেকে পারেই না।
অধিনায়ক ক্লার্ক অবশ্য বরাবরই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল। কালকের সেঞ্চুরিটি ছিল অধিনায়ক ক্লার্কের ২৫ ম্যাচে তৃতীয়, বাকি ১৭১ ম্যাচেও সেঞ্চুরি ৩টি! স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক হিসেবে গড়টাও (৪৮.৮৫) ‘সাধারণ ক্রিকেটার’ ক্লার্কের চেয়ে (৪৪.৭২) বেশি। তবে আগের ২৪ ম্যাচেই ছিলেন কাজ চালানো অধিনায়ক। আপাদমস্তক অধিনায়ক হওয়ার চাপটা তো আলাদা। প্রথম ম্যাচে অন্তত সেই চাপকে জয় করলেন ক্লার্ক।
কাল তাঁর জন্য আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এই প্রথম নেতৃত্ব দিলেন পন্টিংকে! উল্টোটাও সত্যি, দীর্ঘদিন পর অন্য কারও নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতা হলো পন্টিংয়ের। পন্টিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানার উপায় ছিল না। তবে ক্লার্ক জানালেন, এই অভিজ্ঞতাও মধুর, ‘রিকি সব সময় আমাতে সমর্থন দিয়ে গেছে। আমাদের সম্পর্কটা দারুণ। আমাকে উপদেশ দিয়ে সাহায্য করে ও আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। ওকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য তাই কঠিন কাজ ছিল না। আজও দারুণ ব্যাটিং করছিল, এখনো বিশ্বের সেরা ফিল্ডারদের একজন। বয়স ৩৬ হলেও মাঠে ওকে মনে হয় ২৫ বছরের তরুণ।’
ভবিষ্যতে কী হবে তা সময়ই বলবে। তবে অধিনায়ক ক্লার্কের শুরুটা মনে হয় এর চেয়ে ভালো হতে পারত না!
দীর্ঘ অধিনায়কত্বের শেষ ম্যাচটায় সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন পন্টিং, ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। দায়িত্বটা যোগ্য হাতে পড়েছে বোঝাতেই যেন ক্লার্কও শুরু করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। সেঞ্চুরির জন্য আকুতি কতটা ছিল, এটা পরিষ্কার হয়ে গেল উদ্যাপনেই। দুই হাত শূন্যে ভাসালেন, মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়লেন বাতাসে। দিন শেষে অবশ্য বললেন সেঞ্চুরিটাকে আলাদা করে দেখছেন না। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটসম্যান ক্লার্কের আগে তিনি অধিনায়ক ক্লার্ক, ‘সেঞ্চুরি করার অনুভূতি যেকোনো সময়ই দারুণ। কিন্তু আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে আমরা আজ যেমন খেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সিরিজের সব ম্যাচ জেতা, শুরুটা ভালো হওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। প্রায় সব পরিকল্পনা আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি। তার পরও অবশ্য কিছু উন্নতির জায়গা আছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি, বেশ কিছু শুরুকে কাজে লাগাতে পারিনি।’
কিন্তু এই সেঞ্চুরিটা যদি আলাদা কিছু না-ই হবে, তবে অমন উদ্যাপন কেন? খেলার ধরনের মতো যাঁর কথাবার্তা, আচরণ আর প্রতিটি পদক্ষেপেই ফুটে ওঠে পরিমিতিবোধ, তাঁর উদ্ভাসিত উদ্যাপন। ক্লার্ককে এমন উদ্যাপন করতে আর কবে দেখা গেছে? স্মৃতি হাতড়ে অনেকে ফিরে গেলেন সেই অভিষেক টেস্টে। ব্যাঙ্গালোরের (বেঙ্গালুরু) সেই টেস্টেও এমন উদ্ভাসিত ছিলেন ক্লার্ক। এই তো মিলে গেল, টেস্ট অভিষেক আর পূর্ণকালীন অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি!
ক্লার্ক তবু মেলাতে চান না। এবারও তিনি যোগ্য অধিনায়ক, ‘ব্যাঙ্গালোর তো সেই অনেক আগের কথা। আমি আগেই বলেছি, যেকোনো দেশে, যেকোনো মুহূর্তে সেঞ্চুরি করাই বিশেষ কিছু। তুলনা করা কঠিন। নিজের পারফরম্যান্সে খুব খুশি। কিন্তু বেশি খুশি দলের পারফরম্যান্সে।’ অধিনায়কদের এমনটাই বলতে হয়। আর সেঞ্চুরিটা করেছেন বলেই না এমনভাবে বলতে পারলেন। নতুন অধিনায়ক হওয়ার পর সবারই প্রথম প্রশ্ন থাকে, পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না তো? সেই প্রশ্নটাকে প্রথম ম্যাচেই মাটি চাপা দেওয়ার স্বস্তি তাই না থেকে পারেই না।
অধিনায়ক ক্লার্ক অবশ্য বরাবরই ব্যাট হাতে উজ্জ্বল। কালকের সেঞ্চুরিটি ছিল অধিনায়ক ক্লার্কের ২৫ ম্যাচে তৃতীয়, বাকি ১৭১ ম্যাচেও সেঞ্চুরি ৩টি! স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক হিসেবে গড়টাও (৪৮.৮৫) ‘সাধারণ ক্রিকেটার’ ক্লার্কের চেয়ে (৪৪.৭২) বেশি। তবে আগের ২৪ ম্যাচেই ছিলেন কাজ চালানো অধিনায়ক। আপাদমস্তক অধিনায়ক হওয়ার চাপটা তো আলাদা। প্রথম ম্যাচে অন্তত সেই চাপকে জয় করলেন ক্লার্ক।
কাল তাঁর জন্য আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতাও হয়েছে। এই প্রথম নেতৃত্ব দিলেন পন্টিংকে! উল্টোটাও সত্যি, দীর্ঘদিন পর অন্য কারও নেতৃত্বে খেলার অভিজ্ঞতা হলো পন্টিংয়ের। পন্টিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানার উপায় ছিল না। তবে ক্লার্ক জানালেন, এই অভিজ্ঞতাও মধুর, ‘রিকি সব সময় আমাতে সমর্থন দিয়ে গেছে। আমাদের সম্পর্কটা দারুণ। আমাকে উপদেশ দিয়ে সাহায্য করে ও আমার কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে। ওকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য তাই কঠিন কাজ ছিল না। আজও দারুণ ব্যাটিং করছিল, এখনো বিশ্বের সেরা ফিল্ডারদের একজন। বয়স ৩৬ হলেও মাঠে ওকে মনে হয় ২৫ বছরের তরুণ।’
ভবিষ্যতে কী হবে তা সময়ই বলবে। তবে অধিনায়ক ক্লার্কের শুরুটা মনে হয় এর চেয়ে ভালো হতে পারত না!
No comments