২০১৪ সাল পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানি করবে রাশিয়া
রাশিয়া প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করে ২০১৪ সাল নাগাদ তার রেকর্ড পরিমাণ অস্ত্র রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখবে। এসব সরঞ্জামের মধ্যে হালকা ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তাদের এসব সরঞ্জাম রপ্তানির প্রধান বাজার হচ্ছে ভারত। গতকাল সোমবার বিশ্ববিখ্যাত সামরিক ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক থিংকট্যাংক কাস্ট এ কথা জানিয়েছে।
কাস্ট বলেছে, সাম্প্রতিককালে চীনের সামরিক শক্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হয়েছে। এ ছাড়া আফ্রিকায় সম্প্রতি আঞ্চলিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকার দেশগুলো নিজ নিজ শক্তি বৃদ্ধির জন্য অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করছে। এশিয়া ও আফ্রিকার এসব দেশ অস্ত্র কিনতে রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। কাস্ট বলেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে রাশিয়া গত বছর সাড়ে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র সরবরাহের ফরমায়েশ পেয়েছে। এ বছর দেড় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছে। কাস্ট বলেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার হাতে যতগুলো ফরমায়েশ রয়েছে তা দিয়েই আগামী চার বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানির ধারা বজায় রাখা সম্ভব হবে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী সরকারি সংস্থা রোসোবোরোনেক্সপোর্ট গত বছর ৮৬০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে। প্রায় ২০টি স্বায়ত্তশাসিত রুশ অস্ত্র কোম্পানির অস্ত্র তাদের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাশিয়া থেকে প্রতিবছর যত অস্ত্র রপ্তানি হয় সাধারণত তার ৮০ শতাংশই রোসোবোরোনেক্সপোর্টের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীন প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে। চীনের আর্থিক ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাত্রা দেখে প্রতিবেশী দেশ ভারত সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ভারত তার সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর ফলে ভারতকে এ খাতে অতিরিক্ত তিন হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। অস্ত্র আমদানিতে এর বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হবে।
রাশিয়া ভারতের কাছে ১৬০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় গত বছর ১০টি সু-৩০এমকেআই জঙ্গি বিমান এবং ১২৪ কোটি ডলারের আরেকটি চুক্তির আওতায় ২০টি টি-৯০ ট্যাংক সরবরাহ করেছে।
কাস্ট বলেছে, গত বছর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি হয়েছে যার আওতায় আগামী ১০ বছরে মস্কো নয়াদিল্লির কাছে আড়াই শ থেকে তিন শ সুপারসনিক জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে উগান্ডা, উত্তর এবং দক্ষিণ সুদান রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও রাশিয়া সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিছু দেশে অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
চীন দীর্ঘদিন থেকে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করে এলেও বর্তমানে তাতে ভাটা পড়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়া থেকে চীন ইতিপূর্বে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানি করেছে, সেই প্রযুক্তি নকল করে এখন তারা নিজেরাই ওই সব সরঞ্জাম তৈরি করছে।
কাস্ট বলেছে, সাম্প্রতিককালে চীনের সামরিক শক্তির অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নিজ নিজ সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তৎপর হয়েছে। এ ছাড়া আফ্রিকায় সম্প্রতি আঞ্চলিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ায় ওই এলাকার দেশগুলো নিজ নিজ শক্তি বৃদ্ধির জন্য অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করছে। এশিয়া ও আফ্রিকার এসব দেশ অস্ত্র কিনতে রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। কাস্ট বলেছে, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে রাশিয়া গত বছর সাড়ে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র সরবরাহের ফরমায়েশ পেয়েছে। এ বছর দেড় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছে। কাস্ট বলেছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার হাতে যতগুলো ফরমায়েশ রয়েছে তা দিয়েই আগামী চার বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানির ধারা বজায় রাখা সম্ভব হবে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী সরকারি সংস্থা রোসোবোরোনেক্সপোর্ট গত বছর ৮৬০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছে। প্রায় ২০টি স্বায়ত্তশাসিত রুশ অস্ত্র কোম্পানির অস্ত্র তাদের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাশিয়া থেকে প্রতিবছর যত অস্ত্র রপ্তানি হয় সাধারণত তার ৮০ শতাংশই রোসোবোরোনেক্সপোর্টের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরই চীন প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছে। চীনের আর্থিক ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাত্রা দেখে প্রতিবেশী দেশ ভারত সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ভারত তার সামরিক ব্যয় ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর ফলে ভারতকে এ খাতে অতিরিক্ত তিন হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। অস্ত্র আমদানিতে এর বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হবে।
রাশিয়া ভারতের কাছে ১৬০ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় গত বছর ১০টি সু-৩০এমকেআই জঙ্গি বিমান এবং ১২৪ কোটি ডলারের আরেকটি চুক্তির আওতায় ২০টি টি-৯০ ট্যাংক সরবরাহ করেছে।
কাস্ট বলেছে, গত বছর ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার একটি চুক্তি হয়েছে যার আওতায় আগামী ১০ বছরে মস্কো নয়াদিল্লির কাছে আড়াই শ থেকে তিন শ সুপারসনিক জঙ্গি বিমান সরবরাহ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে উগান্ডা, উত্তর এবং দক্ষিণ সুদান রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে। এ ছাড়া ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও রাশিয়া সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিছু দেশে অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
চীন দীর্ঘদিন থেকে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র আমদানি করে এলেও বর্তমানে তাতে ভাটা পড়েছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, রাশিয়া থেকে চীন ইতিপূর্বে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানি করেছে, সেই প্রযুক্তি নকল করে এখন তারা নিজেরাই ওই সব সরঞ্জাম তৈরি করছে।
No comments