দল নির্বাচনে হ-য-ব-র-ল
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম ‘এ’ দলটা ১ এপ্রিল দিলেই ভালো করত নির্বাচক কমিটি। পরিবর্তন-টরিবর্তন যা-ই হোক, পরে অন্তত সেটাকে ‘এপ্রিল ফুল’ বলে চালিয়ে দিতে পারত। এখন তো সে উপায়ও নেই!
রফিকুল আলম, আকরাম খান আর জাহিদ রাজ্জাককে নিয়ে বর্তমান নির্বাচক কমিটি তাদের সময়ের সবচেয়ে হাস্যকর কাজটা করল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ‘এ’ দল আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জাতীয় দল ঘোষণা করতে গিয়ে। গত ২২ মার্চ মোহাম্মদ আশরাফুলকে অধিনায়ক করে ‘এ’ দল ঘোষণা হয়েছিল। কথা ছিল দু-এক দিনের মধ্যে ঘোষিত হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জাতীয় দলও। গত পরশু নির্বাচকদের কাছ থেকে সেই দলটি পেয়ে টেকনিক্যাল কমিটি দীর্ঘ সভায় বসে। সভার পর বদলে যায় চার দিন আগে ঘোষিত ‘এ’ দল। যত দূর জানা গেছে, নির্বাচকদের দেওয়া জাতীয় দলেও হয়েছে ঘষামাজা। জুনায়েদকে বাদ দিয়ে শুভাগতকে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা টেকনিক্যাল কমিটিরই।
তবে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের দাবি, সব দলই নির্বাচক কমিটির করা। বোর্ড বা টেকনিক্যাল কমিটির কোনো হাত নেই। প্রশ্নটা তবু থাকে। কেউ ইনজুরিতে পড়েনি, কেউ খেলতে অপারগতাও প্রকাশ করেনি, কেউ কোথাও ডাবল সেঞ্চুরিও করেনি, তার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এ’ দল ঘোষণার চার দিনের মধ্যে কোনো কারণ, কোনো চাপ ছাড়াই কেন তাতে সংশোধনের প্রয়োজন পড়ল? চাপ-টাপ যদি না-ই থাকে, এটা নির্বাচক কমিটির অদূরদর্শিতাকেই তুলে ধরে।
পূর্বঘোষিত ‘এ’ দলে ছিলেন শুভাগত হোম ও নাদিফ চৌধুরী। নির্বাচকেরা তখনই জানতেন দু-এক দিনের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে জাতীয় দলও। শুভাগতকে জাতীয় দলে বিবেচনা করা হলে তাঁকে নিশ্চয়ই তখন ‘এ’ দলে নেওয়া হতো না। একইভাবে জুনায়েদ সিদ্দিককে প্রথমে ‘এ’ দলে না নেওয়াও তাঁকে জাতীয় দলে রাখার চিন্তা থেকেই। অথচ পরশু টেকনিক্যাল কমিটির সভার পর নতুন করে দেওয়া ‘এ’ দলের সহ-অধিনায়ক জুনায়েদ, শুভাগত ‘প্রমোশন’ পেয়ে জাতীয় দলে! নাদিফ চৌধুরী বাদ। তাঁর জায়গায় ‘এ’ দলে নাঈম ইসলাম।
‘এ’ দল-জাতীয় দল নিয়ে টানাহেঁচড়া করে নির্বাচকেরা বোঝালেন, নিজেদের কাজের ওপর নিজেদেরই আস্থা নেই। অথবা তাঁরা পুতুল মাত্র। দল-টল আসলে করে টেকনিক্যাল কমিটি। বর্তমান নির্বাচক কমিটির ব্যাপারে দ্বিতীয় ধারণাটা শুরু থেকেই থাকলেও বিশ্বকাপের দল নিয়ে অনড় অবস্থানের কারণে মনে হচ্ছিল, অবশেষে হয়তো পিঠে মেরুদণ্ডটা খুঁজে পেতে শুরু করেছেন। সর্বশেষ ঘটনার পর সেটি আর মনে হচ্ছে না।
শুভাগত হোম কেন ‘এ’ দল থেকে হঠাৎ জাতীয় দলে কিংবা জুনায়েদ কেন ‘এ’ দলে—এসবের চেয়েও বড় প্রশ্ন, এই অদলবদল আসলে কারা করছে? রফিকুল আলমের মতো বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা এবং টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনেরও দাবি, দল নির্বাচক কমিটিই করে। তবে তিনি বলেছেন, ‘শুভাগত হোমকে নিয়ে আমাদেরও প্রশ্ন ছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচক তাঁকে দলে রাখলে আমরা তো বাদ দিতে পারি না। আর “এ” দলে পরিবর্তন হয়েছে জাতীয় দলের কারণে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় আগে ঠিক হয়। তারপর “এ” দলের খেলোয়াড়।’
তাহলে নির্বাচক কমিটি কেন আগে ‘এ’ দল করল? বোর্ড থেকেই বা কেন আগে ‘এ’ দলটিই ঘোষণা করা হলো? আর ঘোষণাই যদি হবে তবে কেন তা রদবদলের প্রয়োজন পড়ল, তা-ও আবার টেকনিক্যাল কমিটির ম্যারাথন সভার পর! এসব ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা প্রধানের ব্যাখ্যা সত্যি হলে মানতেই হয়, বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডে আসলে কোনো শৃঙ্খলা নেই। ‘আগে যে “এ” দলটা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ওটা চূড়ান্ত কিছু ছিল না, খসড়া দল ছিল। আমি জানি না ওটা কীভাবে পত্রিকায় গেল। আমরা তো কোনো দল দিইনি’—বলেছেন এনায়েত হোসেন। বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল ঘোষণার পর সেটার দায়দায়িত্ব খোদ ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধানই নিচ্ছেন না!
বিসিবিতে কি তবে ভূত ঢুকল?
রফিকুল আলম, আকরাম খান আর জাহিদ রাজ্জাককে নিয়ে বর্তমান নির্বাচক কমিটি তাদের সময়ের সবচেয়ে হাস্যকর কাজটা করল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ‘এ’ দল আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জাতীয় দল ঘোষণা করতে গিয়ে। গত ২২ মার্চ মোহাম্মদ আশরাফুলকে অধিনায়ক করে ‘এ’ দল ঘোষণা হয়েছিল। কথা ছিল দু-এক দিনের মধ্যে ঘোষিত হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জাতীয় দলও। গত পরশু নির্বাচকদের কাছ থেকে সেই দলটি পেয়ে টেকনিক্যাল কমিটি দীর্ঘ সভায় বসে। সভার পর বদলে যায় চার দিন আগে ঘোষিত ‘এ’ দল। যত দূর জানা গেছে, নির্বাচকদের দেওয়া জাতীয় দলেও হয়েছে ঘষামাজা। জুনায়েদকে বাদ দিয়ে শুভাগতকে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা টেকনিক্যাল কমিটিরই।
তবে প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমের দাবি, সব দলই নির্বাচক কমিটির করা। বোর্ড বা টেকনিক্যাল কমিটির কোনো হাত নেই। প্রশ্নটা তবু থাকে। কেউ ইনজুরিতে পড়েনি, কেউ খেলতে অপারগতাও প্রকাশ করেনি, কেউ কোথাও ডাবল সেঞ্চুরিও করেনি, তার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এ’ দল ঘোষণার চার দিনের মধ্যে কোনো কারণ, কোনো চাপ ছাড়াই কেন তাতে সংশোধনের প্রয়োজন পড়ল? চাপ-টাপ যদি না-ই থাকে, এটা নির্বাচক কমিটির অদূরদর্শিতাকেই তুলে ধরে।
পূর্বঘোষিত ‘এ’ দলে ছিলেন শুভাগত হোম ও নাদিফ চৌধুরী। নির্বাচকেরা তখনই জানতেন দু-এক দিনের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে জাতীয় দলও। শুভাগতকে জাতীয় দলে বিবেচনা করা হলে তাঁকে নিশ্চয়ই তখন ‘এ’ দলে নেওয়া হতো না। একইভাবে জুনায়েদ সিদ্দিককে প্রথমে ‘এ’ দলে না নেওয়াও তাঁকে জাতীয় দলে রাখার চিন্তা থেকেই। অথচ পরশু টেকনিক্যাল কমিটির সভার পর নতুন করে দেওয়া ‘এ’ দলের সহ-অধিনায়ক জুনায়েদ, শুভাগত ‘প্রমোশন’ পেয়ে জাতীয় দলে! নাদিফ চৌধুরী বাদ। তাঁর জায়গায় ‘এ’ দলে নাঈম ইসলাম।
‘এ’ দল-জাতীয় দল নিয়ে টানাহেঁচড়া করে নির্বাচকেরা বোঝালেন, নিজেদের কাজের ওপর নিজেদেরই আস্থা নেই। অথবা তাঁরা পুতুল মাত্র। দল-টল আসলে করে টেকনিক্যাল কমিটি। বর্তমান নির্বাচক কমিটির ব্যাপারে দ্বিতীয় ধারণাটা শুরু থেকেই থাকলেও বিশ্বকাপের দল নিয়ে অনড় অবস্থানের কারণে মনে হচ্ছিল, অবশেষে হয়তো পিঠে মেরুদণ্ডটা খুঁজে পেতে শুরু করেছেন। সর্বশেষ ঘটনার পর সেটি আর মনে হচ্ছে না।
শুভাগত হোম কেন ‘এ’ দল থেকে হঠাৎ জাতীয় দলে কিংবা জুনায়েদ কেন ‘এ’ দলে—এসবের চেয়েও বড় প্রশ্ন, এই অদলবদল আসলে কারা করছে? রফিকুল আলমের মতো বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা এবং টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনেরও দাবি, দল নির্বাচক কমিটিই করে। তবে তিনি বলেছেন, ‘শুভাগত হোমকে নিয়ে আমাদেরও প্রশ্ন ছিল। কিন্তু প্রধান নির্বাচক তাঁকে দলে রাখলে আমরা তো বাদ দিতে পারি না। আর “এ” দলে পরিবর্তন হয়েছে জাতীয় দলের কারণে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় আগে ঠিক হয়। তারপর “এ” দলের খেলোয়াড়।’
তাহলে নির্বাচক কমিটি কেন আগে ‘এ’ দল করল? বোর্ড থেকেই বা কেন আগে ‘এ’ দলটিই ঘোষণা করা হলো? আর ঘোষণাই যদি হবে তবে কেন তা রদবদলের প্রয়োজন পড়ল, তা-ও আবার টেকনিক্যাল কমিটির ম্যারাথন সভার পর! এসব ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা প্রধানের ব্যাখ্যা সত্যি হলে মানতেই হয়, বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডে আসলে কোনো শৃঙ্খলা নেই। ‘আগে যে “এ” দলটা পত্রিকায় ছাপা হয়েছে ওটা চূড়ান্ত কিছু ছিল না, খসড়া দল ছিল। আমি জানি না ওটা কীভাবে পত্রিকায় গেল। আমরা তো কোনো দল দিইনি’—বলেছেন এনায়েত হোসেন। বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দল ঘোষণার পর সেটার দায়দায়িত্ব খোদ ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধানই নিচ্ছেন না!
বিসিবিতে কি তবে ভূত ঢুকল?
No comments