দুই জিয়নকাঠি
সেই একই দলই তো! খেলোয়াড় তালিকা তো সেটাই বলছে। বাংলাদেশে ছিলেন না স্টাইরিস-ওরাম, কিন্তু শুধু এই দুজনের অভাবে নিশ্চয়ই হোয়াইটওয়াশ হয়নি নিউজিল্যান্ড! ভারতে তো স্টাইরিসও ছিলেন। তার পরও ৫-০। দেশের মাটিতে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হার। এই দলটাই কোন জিয়নকাঠির ছোঁয়ায় এভাবে পাল্টে গেল বিশ্বকাপে এসে?
জিয়নকাঠিই। একটা নয় দুটি। কাঠি দুটির নাম জন রাইট ও অ্যালান ডোনাল্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগে মূল কোচ পরিবর্তন করা কোনো দলের জন্যই আদর্শ নয়। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ভারত সফরের পর গঠিত রিভিউ কমিটির সুপারিশে মার্ক গ্রেটব্যাচকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পরীক্ষিত একজনকে। পুরো ভিন্ন সংস্কৃতি, অচেনা-অজানা ভারতকে যেভাবে পাল্টে দিয়েছিলেন রাইট, সেটার ওপরই আস্থা রাখল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। পাকিস্তান সিরিজের আগে নিয়োগ দেওয়া হলো রাইটকে। হোয়াইটওয়াশের ধারা থেকে বের হয়ে লড়াই হলো ওই সিরিজে। বিশ্বকাপে তো সেরা চার দলেরই একটি। আজ জিতলে তো কথাই নেই, হারলেও বলতে হবে সত্যিই জাদু জানেন রাইট!
তবে এই জাদুর ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যাও আছে। ভারতেও যে মন্ত্র কাজে লাগিয়েছেন, নিজ দেশও সেটাই। কোচ রাইটের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় শক্তি, ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট।’ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফুলগুলোকে তুলে মালা গাঁথার দারুণ এক ক্ষমতা আছে তাঁর। আছে দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারার দক্ষতাও। বাংলাদেশে যে দলটাকেই মনে হচ্ছিল ছন্নছাড়া, ভারতে মনে হচ্ছিল উদ্ভ্রান্ত, সেই দলটাই বিশ্বকাপে কেমন দলীয় সমন্বয়ের আশ্চর্য উদাহরণ হয়ে গেল!
পরশু পি সারা ওভালে অনুশীলনের ফাঁকে রাইট নিজেও বলছিলেন এই দলীয় সমন্বয়ের কথা, ‘টিম ওয়ার্কটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট তো দলীয় খেলা। এক দিন-দুই দিন হয়তো এক-দুজন একাই আপনাকে জিতিয়ে দেবে, কিন্তু বেশির ভাগ দিন জেতাবে একটা দল হিসেবে খেলা। প্রতিভার তো অভাব নেই, কিন্তু তাদের যদি এক তারে বাঁধা না যায়, তাহলে লাভ নেই।’
হারানো আত্মবিশ্বাসটা খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন রাইট। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে তো শরীরী ভাষাটা খুব জরুরি। ডেকে আনা হলো তাই উপযুক্ত লোকটিকেই, খেলোয়াড়ি জীবনে যাঁকে বলা হতো ‘শ্বেতবজ্র।’ পাকিস্তান সিরিজের আগে বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হলো ডোনাল্ডকে। চুপসে যাওয়া কিউই পাখির ভেতরে যেন বারুদ জ্বেলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। কিছুদিন আগেও উপমহাদেশ সফরে ম্রিয়মাণ দলটাই এখন মাঠে কেমন আগ্রাসী! দলের সবাই স্বীকার করছেন, এতে সবচেয়ে বড় অবদান ডোনাল্ডের।
ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জ্যাকব ওরাম, ‘যখনই ও ক্যাম্পে এল, আমরা উঠে দাঁড়ালাম। ভাবতে শুরু করলাম, ইনি তো ডোনাল্ড, কিংবদন্তি! যখনই ও কথা বলা শুরু করল, সবাই মন দিয় শুনতে শুরু করল। ভিন্ন একটা কণ্ঠ, ভীষণ আগ্রাসী...।’ অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি অবশ্য ক্রিকেটারদের কম কৃতিত্ব দিতে রাজি নন। তবে সঙ্গে এটাও বললেন, এই দুজন দলে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটা দলের জন্য তো এমন সাপোর্ট স্টাফই প্রয়োজন, যাঁরা দলকে গাঁথতে পারবেন এক সুতোয়, যাঁরা জ্বালিয়ে দিতে পারবেন ভেতরের বারুদ। আজ নিউজিল্যান্ড হারুক বা জিতুক, এটা অন্তত নিশ্চিত এবার ঠিক হাতেই পড়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট।
জিয়নকাঠিই। একটা নয় দুটি। কাঠি দুটির নাম জন রাইট ও অ্যালান ডোনাল্ড। বিশ্বকাপের ঠিক আগে মূল কোচ পরিবর্তন করা কোনো দলের জন্যই আদর্শ নয়। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। পরিবর্তন ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ভারত সফরের পর গঠিত রিভিউ কমিটির সুপারিশে মার্ক গ্রেটব্যাচকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় পরীক্ষিত একজনকে। পুরো ভিন্ন সংস্কৃতি, অচেনা-অজানা ভারতকে যেভাবে পাল্টে দিয়েছিলেন রাইট, সেটার ওপরই আস্থা রাখল নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট। পাকিস্তান সিরিজের আগে নিয়োগ দেওয়া হলো রাইটকে। হোয়াইটওয়াশের ধারা থেকে বের হয়ে লড়াই হলো ওই সিরিজে। বিশ্বকাপে তো সেরা চার দলেরই একটি। আজ জিতলে তো কথাই নেই, হারলেও বলতে হবে সত্যিই জাদু জানেন রাইট!
তবে এই জাদুর ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যাও আছে। ভারতেও যে মন্ত্র কাজে লাগিয়েছেন, নিজ দেশও সেটাই। কোচ রাইটের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় শক্তি, ‘ম্যান ম্যানেজমেন্ট।’ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ফুলগুলোকে তুলে মালা গাঁথার দারুণ এক ক্ষমতা আছে তাঁর। আছে দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারার দক্ষতাও। বাংলাদেশে যে দলটাকেই মনে হচ্ছিল ছন্নছাড়া, ভারতে মনে হচ্ছিল উদ্ভ্রান্ত, সেই দলটাই বিশ্বকাপে কেমন দলীয় সমন্বয়ের আশ্চর্য উদাহরণ হয়ে গেল!
পরশু পি সারা ওভালে অনুশীলনের ফাঁকে রাইট নিজেও বলছিলেন এই দলীয় সমন্বয়ের কথা, ‘টিম ওয়ার্কটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট তো দলীয় খেলা। এক দিন-দুই দিন হয়তো এক-দুজন একাই আপনাকে জিতিয়ে দেবে, কিন্তু বেশির ভাগ দিন জেতাবে একটা দল হিসেবে খেলা। প্রতিভার তো অভাব নেই, কিন্তু তাদের যদি এক তারে বাঁধা না যায়, তাহলে লাভ নেই।’
হারানো আত্মবিশ্বাসটা খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন রাইট। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে তো শরীরী ভাষাটা খুব জরুরি। ডেকে আনা হলো তাই উপযুক্ত লোকটিকেই, খেলোয়াড়ি জীবনে যাঁকে বলা হতো ‘শ্বেতবজ্র।’ পাকিস্তান সিরিজের আগে বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হলো ডোনাল্ডকে। চুপসে যাওয়া কিউই পাখির ভেতরে যেন বারুদ জ্বেলে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। কিছুদিন আগেও উপমহাদেশ সফরে ম্রিয়মাণ দলটাই এখন মাঠে কেমন আগ্রাসী! দলের সবাই স্বীকার করছেন, এতে সবচেয়ে বড় অবদান ডোনাল্ডের।
ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা জ্যাকব ওরাম, ‘যখনই ও ক্যাম্পে এল, আমরা উঠে দাঁড়ালাম। ভাবতে শুরু করলাম, ইনি তো ডোনাল্ড, কিংবদন্তি! যখনই ও কথা বলা শুরু করল, সবাই মন দিয় শুনতে শুরু করল। ভিন্ন একটা কণ্ঠ, ভীষণ আগ্রাসী...।’ অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি অবশ্য ক্রিকেটারদের কম কৃতিত্ব দিতে রাজি নন। তবে সঙ্গে এটাও বললেন, এই দুজন দলে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটা দলের জন্য তো এমন সাপোর্ট স্টাফই প্রয়োজন, যাঁরা দলকে গাঁথতে পারবেন এক সুতোয়, যাঁরা জ্বালিয়ে দিতে পারবেন ভেতরের বারুদ। আজ নিউজিল্যান্ড হারুক বা জিতুক, এটা অন্তত নিশ্চিত এবার ঠিক হাতেই পড়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট।
No comments