আজ জয়াবর্ধনের দিন?
৭ ইনিংসে ২১ রান, গড় ৩! দুঃস্বপ্ন বললেও কম বলা হয়। প্রথম বিশ্বকাপটা (২০০৩) মাহেলা জয়াবর্ধনের জন্য ছিল এমনই। তাঁর মানের একজন ব্যাটসম্যান কীভাবে টানা এত ম্যাচ বাজে খেলতে পারেন, তা নিয়ে তখন অনেক আলোচনা-গবেষণাও হয়েছিল। সেই দুঃস্বপ্ন অনেকটাই ভুলিয়ে দিলেন গত বিশ্বকাপে। স্বপ্নের মতো হয়নি অবশ্য, তবে ১১ ম্যাচে ৬০.৮৮ গড়ে ৫৪৮ রান, বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক, দারুণ কিছু তো বটেই। আর এবার?
১০০, ২, ২৩, ৯, ৬৬—৪০ গড়ে ২০০ রান। দুই ম্যাচে সফল, তিন ম্যাচে ব্যর্থ। জয়াবর্ধনের তৃতীয় বিশ্বকাপকে বলা যায় প্রথম দুই বিশ্বকাপের একটা মিশ্রণ। ভালো-খারাপের মাঝামাঝি। তবে আজ যখন মাঠে নামবেন, নিশ্চয়ই ভালো করার একটা বাড়তি তাগিদ থাকবে তাঁর। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, নিজেতে অনুপ্রাণিত করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড...জয়াবর্ধনের নিশ্চয়ই মনে পড়বে ৪ বছর আগে স্যাবাইনা পার্কের সেই দিনটির কথা, যেদিন তাঁর ব্যাটে খুন হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল-স্বপ্ন!
২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে জ্যামাইকায় মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। জয়াবর্ধনে যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, লড়াই চলছিল সমানে সমান। শ্রীলঙ্কার রান ১৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭। শুরুতে জয়াবর্ধনেকে দেখে মোটেও বোঝার উপায় ছিল না ‘খুন’ করার ইচ্ছা নিয়ে নেমেছেন। এক দিকে উপুল থারাঙ্গা মারছেন, আরেক দিকে তিনি উইকেট আঁকড়ে আছেন। দলীয় ১১১ রানের মাথায় যখন দারুণ খেলতে থাকা থারাঙ্গা আউট (৭৪ বলে ৭৩), ম্যাচ খানিকটা হেলে পড়ল কিউইদের দিকে। জয়াবর্ধনের ব্যাটে তখনো তাড়া নেই। একপর্যায়ে ৪৭ বলে ১৭ রান, চার নেই একটিও!
৩০ ওভারের পর হঠাৎ যেন বুঝতে পারলেন সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, ৪৮তম বল পেলেন প্রথম চার। স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটতে থাকল। ৭৬ বলে ফিফটি, পরের ফিফটি মাত্র ২৮ বলে। শেষ পর্যন্ত ১০৯ বলে অপরাজিত ১১৫, ১০ চার, ৩ ছয়। শেষ ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ১০২ রানের ৬৯-ই জয়াবর্ধনের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংস শেষেই মোটামুটি ম্যাচ শেষ। ২৮৯ রান এই যুগে মোটেও ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। কিন্তু ভাস-মালিঙ্গা-ফার্নান্ডো-মুরালিসমৃদ্ধ বোলিং আক্রমণের সামনে কিউই ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ওই স্কোর একটু বেশি-ই ছিল, যেটা প্রমাণিতও হয়েছে পরে।
এবার শুরু করেছিলেন কানাডার বিপক্ষে ৮০ বলে সেঞ্চুরি করে। পরের ম্যাচে শোয়েব আখতারের দুর্দান্ত এক ইনকাটারে বোল্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থিতু হওয়ার পর আচমকা রানআউট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেমেছিলেন একেবারে শেষ দিকে। মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার রানে ফিরলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটিংয়ে নামার দরকারই হয়নি।
জয়াবর্ধনের মিশ্র টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠলেই কুমার সাঙ্গাকারা হাসেন, পাত্তাই দিতে চান না। তাঁর কাছে এই টুর্নামেন্টে জয়াবর্ধনেও খেলছেন ‘গ্রেট’ ব্যাটসম্যানের মতো। লঙ্কান অধিনায়ক আশা করছেন, আজই সংশয়বাদীদের জবাব দিয়ে দেবেন জয়াবর্ধনে, ‘ও হলো বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, আমাদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান। অরবিন্দ ডি সিলভার পরেই জয়াবর্ধনে, এই দুজন শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের সেরা দুই ব্যাটসম্যান। মাহেলা কখনোই চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হয় না, ও জানে কোন মুহূর্তে জ্বলে উঠতে হয়।’
প্রায় এক যুগ ধরে জাতীয় দলে সতীর্থ, ব্যক্তিগত জীবনেও দুজন খুব কাছের বন্ধু। জয়াবর্ধনেকে সাঙ্গাকারার চেয়ে ভালো আর কে চেনেন? তিনি যখন বলেছেন, চার বছর আগের স্যাবাইনা পার্কই আজ না ফিরে আসে প্রেমাদাসায়!
১০০, ২, ২৩, ৯, ৬৬—৪০ গড়ে ২০০ রান। দুই ম্যাচে সফল, তিন ম্যাচে ব্যর্থ। জয়াবর্ধনের তৃতীয় বিশ্বকাপকে বলা যায় প্রথম দুই বিশ্বকাপের একটা মিশ্রণ। ভালো-খারাপের মাঝামাঝি। তবে আজ যখন মাঠে নামবেন, নিশ্চয়ই ভালো করার একটা বাড়তি তাগিদ থাকবে তাঁর। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, নিজেতে অনুপ্রাণিত করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কিন্তু বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড...জয়াবর্ধনের নিশ্চয়ই মনে পড়বে ৪ বছর আগে স্যাবাইনা পার্কের সেই দিনটির কথা, যেদিন তাঁর ব্যাটে খুন হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের ফাইনাল-স্বপ্ন!
২০০৭ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে জ্যামাইকায় মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। জয়াবর্ধনে যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, লড়াই চলছিল সমানে সমান। শ্রীলঙ্কার রান ১৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭। শুরুতে জয়াবর্ধনেকে দেখে মোটেও বোঝার উপায় ছিল না ‘খুন’ করার ইচ্ছা নিয়ে নেমেছেন। এক দিকে উপুল থারাঙ্গা মারছেন, আরেক দিকে তিনি উইকেট আঁকড়ে আছেন। দলীয় ১১১ রানের মাথায় যখন দারুণ খেলতে থাকা থারাঙ্গা আউট (৭৪ বলে ৭৩), ম্যাচ খানিকটা হেলে পড়ল কিউইদের দিকে। জয়াবর্ধনের ব্যাটে তখনো তাড়া নেই। একপর্যায়ে ৪৭ বলে ১৭ রান, চার নেই একটিও!
৩০ ওভারের পর হঠাৎ যেন বুঝতে পারলেন সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, ৪৮তম বল পেলেন প্রথম চার। স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটতে থাকল। ৭৬ বলে ফিফটি, পরের ফিফটি মাত্র ২৮ বলে। শেষ পর্যন্ত ১০৯ বলে অপরাজিত ১১৫, ১০ চার, ৩ ছয়। শেষ ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ১০২ রানের ৬৯-ই জয়াবর্ধনের ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংস শেষেই মোটামুটি ম্যাচ শেষ। ২৮৯ রান এই যুগে মোটেও ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। কিন্তু ভাস-মালিঙ্গা-ফার্নান্ডো-মুরালিসমৃদ্ধ বোলিং আক্রমণের সামনে কিউই ব্যাটিং লাইনআপের জন্য ওই স্কোর একটু বেশি-ই ছিল, যেটা প্রমাণিতও হয়েছে পরে।
এবার শুরু করেছিলেন কানাডার বিপক্ষে ৮০ বলে সেঞ্চুরি করে। পরের ম্যাচে শোয়েব আখতারের দুর্দান্ত এক ইনকাটারে বোল্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে থিতু হওয়ার পর আচমকা রানআউট, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেমেছিলেন একেবারে শেষ দিকে। মুম্বাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবার রানে ফিরলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটিংয়ে নামার দরকারই হয়নি।
জয়াবর্ধনের মিশ্র টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠলেই কুমার সাঙ্গাকারা হাসেন, পাত্তাই দিতে চান না। তাঁর কাছে এই টুর্নামেন্টে জয়াবর্ধনেও খেলছেন ‘গ্রেট’ ব্যাটসম্যানের মতো। লঙ্কান অধিনায়ক আশা করছেন, আজই সংশয়বাদীদের জবাব দিয়ে দেবেন জয়াবর্ধনে, ‘ও হলো বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, আমাদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান। অরবিন্দ ডি সিলভার পরেই জয়াবর্ধনে, এই দুজন শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের সেরা দুই ব্যাটসম্যান। মাহেলা কখনোই চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হয় না, ও জানে কোন মুহূর্তে জ্বলে উঠতে হয়।’
প্রায় এক যুগ ধরে জাতীয় দলে সতীর্থ, ব্যক্তিগত জীবনেও দুজন খুব কাছের বন্ধু। জয়াবর্ধনেকে সাঙ্গাকারার চেয়ে ভালো আর কে চেনেন? তিনি যখন বলেছেন, চার বছর আগের স্যাবাইনা পার্কই আজ না ফিরে আসে প্রেমাদাসায়!
No comments