দেশ থেকে জরুরি আইন তুলে নিচ্ছে সিরিয়া
সিরিয়া চলমান সংকট নিরসনে শিগগিরই দেশটি থেকে জরুরি আইন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯৬৩ সাল থেকে দেশটিতে জরুরি আইন জারি রয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির পার্লামেন্ট দেশজুড়ে বিক্ষোভ এবং গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে তাঁর প্রতিশ্রুত সংস্কার পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে বলেছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, এ মুহূর্তে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের কোনো ইচ্ছা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগর লাতাকিয়ায় গত শনিবার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভে সহিংস ঘটনার পর সেখানে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাসদস্যদের গতকাল শহরের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভে এখানে গুলিতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়। তবে সরকার বলছে, লাতাকিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য সশস্ত্র অপরাধীরাই দায়ী, সরকার নয়।
সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও জরুরি আইন তুলে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দেশটির মানবাধিকারকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞ রাদওয়ান জিয়াদেহ বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির পর এ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তনই আসেনি। বর্তমানে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন এই মানবাধিকারকর্মী। ১৯৬৩ সালে বাথ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে জরুরি আইন জারি রয়েছে। এ আইনের বলে কোনো অভিযোগ ব্যতিরেকেই যে কাউকে আটক করা যায়। এ ছাড়া আইনটি আরও কয়েকটি আইনের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গোপন পুলিশ বাহিনীকে সুরক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা বুথাইনা শাবান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জরুরি আইন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কখন তা কার্যকর হবে, তা তিনি জানেন না। এই উপদেষ্টা আরও বলেন, যখনই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে, তখনই ওই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
বুথাইনা শাবান আরও বলেন, যেসব মৌলবাদী দেশে ধর্মীয় সহাবস্থান ধ্বংস করতে চায়, তারাই সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে। তিনি বলেন, তবে তারা আবারও ব্যর্থ হবে।
দেশটিতে অস্থিতিশীলতার বিস্তারিত বিবরণ এবং নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। কারণ, সরকার বিদেশি সাংবাদিকদের সিরিয়ায় প্রবেশ নিষেধ করেছে এবং কাজ করতে দিচ্ছে না।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, শনিবারের হত্যাকাণ্ডের আগেই দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬১-তে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, এই মুহূর্তে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের কোনো ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। সিবিএস টেলিভিশনের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গত রোববার এ কথা বলেন।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর নগর লাতাকিয়ায় গত শনিবার সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভে সহিংস ঘটনার পর সেখানে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। সেনাসদস্যদের গতকাল শহরের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায়। বিক্ষোভে এখানে গুলিতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়। তবে সরকার বলছে, লাতাকিয়ার হত্যাকাণ্ডের জন্য সশস্ত্র অপরাধীরাই দায়ী, সরকার নয়।
সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও জরুরি আইন তুলে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দেশটির মানবাধিকারকর্মী ও আইন বিশেষজ্ঞ রাদওয়ান জিয়াদেহ বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির পর এ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তনই আসেনি। বর্তমানে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছেন এই মানবাধিকারকর্মী। ১৯৬৩ সালে বাথ পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে জরুরি আইন জারি রয়েছে। এ আইনের বলে কোনো অভিযোগ ব্যতিরেকেই যে কাউকে আটক করা যায়। এ ছাড়া আইনটি আরও কয়েকটি আইনের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গোপন পুলিশ বাহিনীকে সুরক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টা বুথাইনা শাবান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জরুরি আইন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কখন তা কার্যকর হবে, তা তিনি জানেন না। এই উপদেষ্টা আরও বলেন, যখনই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে, তখনই ওই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
বুথাইনা শাবান আরও বলেন, যেসব মৌলবাদী দেশে ধর্মীয় সহাবস্থান ধ্বংস করতে চায়, তারাই সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে রয়েছে। তিনি বলেন, তবে তারা আবারও ব্যর্থ হবে।
দেশটিতে অস্থিতিশীলতার বিস্তারিত বিবরণ এবং নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। কারণ, সরকার বিদেশি সাংবাদিকদের সিরিয়ায় প্রবেশ নিষেধ করেছে এবং কাজ করতে দিচ্ছে না।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, শনিবারের হত্যাকাণ্ডের আগেই দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬১-তে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, এই মুহূর্তে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের কোনো ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। সিবিএস টেলিভিশনের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গত রোববার এ কথা বলেন।
No comments