আগামী বাজেট হতে পারে এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা
আগামী ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আয়তন হবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৮ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে ধার্য করা হবে।
গত রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পদ কমিটি ও রাজস্ব সমন্বয় কাউন্সিলের আলাদা বৈঠকে প্রাথমিকভাবে বাজেটের এসব দিক ঠিক করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন।
সূত্র জানায়, উভয় বৈঠকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি খাতে ব্যয়, ভর্তুকি বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, বাড়তি আয়ের সংস্থান প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি বছরের মূল বাজেটে ২০ শতাংশেরও বেশি হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্য, কৃষিপণ্য ও সারে আগামী দিনেও ভর্তুকি দেবে সরকার। এতে বিপুল পরিমাণ বাড়তি অঙ্ক গুণতে হবে।
এই ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও সমানতালে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আহরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটের আকার এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিপির আকার ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত হয়ে এডিপির আকার অবশ্য ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
প্রতিবছরের রেওয়াজ অনুযায়ী, আগামী জুনে অর্থমন্ত্রী দেশের ৪০তম এ বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। আরেক হিসেবে এটিকে ৪১তম বাজেটও বলা যায়। কারণ, দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২ সালের ৩০ জুন একসঙ্গে ১৯৭১-৭২ এবং ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছিলেন।
বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেই বিবেচনায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে আসবে না বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রাথমিক প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ থেকে ৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হার সাড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু অর্থবছরের সাত মাসের মাথায় এসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
অব্যাহত মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনোভাবেই অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার এই সীমার মধ্যে থাকবে না।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবার চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, সরকার মোট ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পদ কমিটি ও রাজস্ব সমন্বয় কাউন্সিলের আলাদা বৈঠকে প্রাথমিকভাবে বাজেটের এসব দিক ঠিক করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন।
সূত্র জানায়, উভয় বৈঠকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি খাতে ব্যয়, ভর্তুকি বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি, বাড়তি আয়ের সংস্থান প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি বছরের মূল বাজেটে ২০ শতাংশেরও বেশি হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে বলা হয়েছে, খাদ্যপণ্য, কৃষিপণ্য ও সারে আগামী দিনেও ভর্তুকি দেবে সরকার। এতে বিপুল পরিমাণ বাড়তি অঙ্ক গুণতে হবে।
এই ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাও সমানতালে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব আহরণের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটের আকার এক লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিপির আকার ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত হয়ে এডিপির আকার অবশ্য ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
প্রতিবছরের রেওয়াজ অনুযায়ী, আগামী জুনে অর্থমন্ত্রী দেশের ৪০তম এ বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। আরেক হিসেবে এটিকে ৪১তম বাজেটও বলা যায়। কারণ, দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২ সালের ৩০ জুন একসঙ্গে ১৯৭১-৭২ এবং ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট দিয়েছিলেন।
বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেই বিবেচনায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সহনশীল পর্যায়ে আসবে না বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রাথমিক প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ থেকে ৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতির বার্ষিক হার সাড়ে ৬ শতাংশ হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু অর্থবছরের সাত মাসের মাথায় এসে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
অব্যাহত মূল্যস্ফীতির চাপ বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনোভাবেই অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার এই সীমার মধ্যে থাকবে না।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আবার চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, সরকার মোট ঘাটতি প্রাক্কলন করেছে ৩৪ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকার ২৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
২০০৯-১০ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে ঘাটতি অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১৮ হাজার ৯৯ কোটি টাকা, যা ছিল মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৬২ শতাংশ।
No comments