নির্ভার ইংল্যান্ড, চাপে অস্ট্রেলিয়া
‘শাবাশ! দারুণ খেলছ। এগিয়ে যাও।’ সিডনি টেস্টের আগে খোদ জুলিয়া গিলার্ডের বাহবা পেলেন স্ট্রাউস। অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন স্ট্রাউসের স্ত্রীও |
ছবিটা কাল সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া দলের অনুশীলনের। ডান হাতটা আড়াআড়ি বুকের ওপর রেখে, বাঁ হাত উঁচিয়ে কী যেন দেখাচ্ছেন রিকি পন্টিং। পাশে দাঁড়ানো উসমান খাজা মনোযোগী শ্রোতা। পন্টিংয়ের মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ, বাঁ হাতের কনিষ্ঠায় বাঁধা ব্যান্ডেজ।
এই কনিষ্ঠাই আগামীকাল শুরু অ্যাশেজের শেষ টেস্টে খেলতে দিচ্ছে না পন্টিংকে। তাঁর বদলে দলে অভিষেক হতে চলেছে যাঁর, সেই খাজাকে যেন নিজ হাতে অভিষেক টেস্টের জন্য তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছেন পন্টিং। ফর্মটা যেমনই যাক, ১৫২টি টেস্ট ১২ হাজার ৩৬৩ রানের অভিজ্ঞতার মূল্য তো অপরিসীম।
খাজা কেমন করেন, সেই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। চোখ থাকবে আরেকজনের ওপর। মাইকেল বিয়ার। হুট করে দলে এসে আলোচনার জন্ম দেওয়া এই স্পিনারেরও অভিষেক হতে পারে কাল। সিডনির উইকেট বেশ স্পিনার-বান্ধব বলে বাড়তি একজন স্পিনার খেলাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্ন-উত্তর যুগে দশম টেস্ট স্পিনার হিসেবে অভিষেক হতে পারে এই মৌসুমে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই বাঁহাতি স্পিনারের।সিডনিতে ভালো স্পিন ধরতে পারে—এই খবরে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাওয়ার কথা গ্রায়েম সোয়ানের। গত বছর টেস্টে ৬৪ উইকেট নেওয়া এই ইংলিশ স্পিনার নতুন বছরের শুরুটাও দারুণভাবে করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। ২০১০-এর দিকে তাকিয়ে সোয়ান বলছেন, ‘আমার জন্য এটা ছিল স্বপ্নের বছর। জানুয়ারিতে বিয়ে করেছি, বিশ্বকাপ জিতেছি (টি-টোয়েন্টিতে), ডিসেম্বরে অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত হলো। ২০১১-ও এমন হলে আর কী চাই!’
নতুন বছরের কাছে অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া একটাই। সিরিজটা যেন অন্তত ড্র হয়। সিরিজ জেতার আশা তারা মেলবোর্নেই কবর দিয়ে এসেছে। এই ম্যাচ ড্র হলেই ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতার আনন্দে নাচবে ইংল্যান্ড। নিশ্চিত থাকুন, এবার আর ‘স্প্রিঙ্কলার ডান্স’ নয়, নাচটা হবে উদ্বাহু!ইংল্যান্ডের জেতার প্রশ্ন এখনই তোলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া যে মরিয়া চেষ্টা করবে সেটা ইংল্যান্ড জানে। তবে নিয়মিত অধিনায়ককে হারিয়ে ফেলা, মেলবোর্নের ইনিংস পরাজয়ের ধাক্কা সামলে অস্ট্রেলিয়া আসলেই কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেটাই এখন দেখার।রেকর্ড-টেকর্ড ঘেঁটে কিছু বলা মুশকিল। অস্ট্রেলিয়ার এই দল রেকর্ড নতুন করে যে লিখছে, অবশ্যই নেতিবাচক অর্থে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) গত ১৬ টেস্টের ১৪টিই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, হেরেছে মাত্র একটি। সর্বশেষ সেই পরাজয়টি এসেছিল ২০০৩ সালে। প্রতিপক্ষ? ইংল্যান্ড! মাইকেল ভনের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৮৩ আর অ্যান্ডি ক্যাডিকের ৯৪ রানে নেওয়া ৭ উইকেট বিশাল জয় এনে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।ওই জয় থেকে তো বটেই, সব মিলে এসসিজিতে তাদের রেকর্ড থেকেও প্রেরণা খুঁজে নিতে পারে স্ট্রাউসের দল। অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি টেস্ট তারা জিতেছে এ মাঠেই (৫৩ টেস্টের ২১টি জয়, ২৫টি পরাজয়)। আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড সিরিজ জিততে ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামবে না বলেও জানিয়েছে। ইংল্যান্ড যতটা নির্ভার, ততটাই চাপে অস্ট্রেলিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অবশ্য সুযোগ্য নেতার মতোই বলছেন, চাপের মধ্যে জ্বলে ওঠার পৌরুষ যে অস্ট্রেলিয়ার আছে, সেটা দেখিয়ে দেওয়ার এই তো সুযোগ। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ভরসা হয়ে থাকা মাইক হাসিও সতীর্থদের এই বলে অনুপ্রাণিত করছেন, ‘আমরা আবারও এক নম্বর হতে পারি এবং সেটা শুরু করে দিতে হবে এখান থেকেই।
এই কনিষ্ঠাই আগামীকাল শুরু অ্যাশেজের শেষ টেস্টে খেলতে দিচ্ছে না পন্টিংকে। তাঁর বদলে দলে অভিষেক হতে চলেছে যাঁর, সেই খাজাকে যেন নিজ হাতে অভিষেক টেস্টের জন্য তৈরি করার দায়িত্ব নিয়েছেন পন্টিং। ফর্মটা যেমনই যাক, ১৫২টি টেস্ট ১২ হাজার ৩৬৩ রানের অভিজ্ঞতার মূল্য তো অপরিসীম।
খাজা কেমন করেন, সেই আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়া। চোখ থাকবে আরেকজনের ওপর। মাইকেল বিয়ার। হুট করে দলে এসে আলোচনার জন্ম দেওয়া এই স্পিনারেরও অভিষেক হতে পারে কাল। সিডনির উইকেট বেশ স্পিনার-বান্ধব বলে বাড়তি একজন স্পিনার খেলাতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্ন-উত্তর যুগে দশম টেস্ট স্পিনার হিসেবে অভিষেক হতে পারে এই মৌসুমে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই বাঁহাতি স্পিনারের।সিডনিতে ভালো স্পিন ধরতে পারে—এই খবরে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাওয়ার কথা গ্রায়েম সোয়ানের। গত বছর টেস্টে ৬৪ উইকেট নেওয়া এই ইংলিশ স্পিনার নতুন বছরের শুরুটাও দারুণভাবে করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। ২০১০-এর দিকে তাকিয়ে সোয়ান বলছেন, ‘আমার জন্য এটা ছিল স্বপ্নের বছর। জানুয়ারিতে বিয়ে করেছি, বিশ্বকাপ জিতেছি (টি-টোয়েন্টিতে), ডিসেম্বরে অ্যাশেজ ধরে রাখা নিশ্চিত হলো। ২০১১-ও এমন হলে আর কী চাই!’
নতুন বছরের কাছে অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া একটাই। সিরিজটা যেন অন্তত ড্র হয়। সিরিজ জেতার আশা তারা মেলবোর্নেই কবর দিয়ে এসেছে। এই ম্যাচ ড্র হলেই ২৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জেতার আনন্দে নাচবে ইংল্যান্ড। নিশ্চিত থাকুন, এবার আর ‘স্প্রিঙ্কলার ডান্স’ নয়, নাচটা হবে উদ্বাহু!ইংল্যান্ডের জেতার প্রশ্ন এখনই তোলাটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অস্ট্রেলিয়া যে মরিয়া চেষ্টা করবে সেটা ইংল্যান্ড জানে। তবে নিয়মিত অধিনায়ককে হারিয়ে ফেলা, মেলবোর্নের ইনিংস পরাজয়ের ধাক্কা সামলে অস্ট্রেলিয়া আসলেই কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেটাই এখন দেখার।রেকর্ড-টেকর্ড ঘেঁটে কিছু বলা মুশকিল। অস্ট্রেলিয়ার এই দল রেকর্ড নতুন করে যে লিখছে, অবশ্যই নেতিবাচক অর্থে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) গত ১৬ টেস্টের ১৪টিই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, হেরেছে মাত্র একটি। সর্বশেষ সেই পরাজয়টি এসেছিল ২০০৩ সালে। প্রতিপক্ষ? ইংল্যান্ড! মাইকেল ভনের দ্বিতীয় ইনিংসের ১৮৩ আর অ্যান্ডি ক্যাডিকের ৯৪ রানে নেওয়া ৭ উইকেট বিশাল জয় এনে দিয়েছিল ইংল্যান্ডকে।ওই জয় থেকে তো বটেই, সব মিলে এসসিজিতে তাদের রেকর্ড থেকেও প্রেরণা খুঁজে নিতে পারে স্ট্রাউসের দল। অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি টেস্ট তারা জিতেছে এ মাঠেই (৫৩ টেস্টের ২১টি জয়, ২৫টি পরাজয়)। আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড সিরিজ জিততে ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামবে না বলেও জানিয়েছে। ইংল্যান্ড যতটা নির্ভার, ততটাই চাপে অস্ট্রেলিয়া। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক অবশ্য সুযোগ্য নেতার মতোই বলছেন, চাপের মধ্যে জ্বলে ওঠার পৌরুষ যে অস্ট্রেলিয়ার আছে, সেটা দেখিয়ে দেওয়ার এই তো সুযোগ। এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ভরসা হয়ে থাকা মাইক হাসিও সতীর্থদের এই বলে অনুপ্রাণিত করছেন, ‘আমরা আবারও এক নম্বর হতে পারি এবং সেটা শুরু করে দিতে হবে এখান থেকেই।
No comments