আইভরি কোস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
আইভরি কোস্টে যেকোনো সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট লঅন্ত বাগবোকে পদত্যাগ করতে গত শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন দেশটির আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আলাসেন ওয়েতাহা। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি প্রেসিডেন্ট বাগবো। তিনি বলেন, তাঁর পদত্যাগের কারণে দেশ বড় ধরনের সহিংসতার মুখে পড়তে পারে।এদিকে ব্রিটেন বলেছে, জাতিসংঘ অনুমোদন দিলে আইভরি কোস্টে সামরিক অভিযান চালানোর পক্ষে সমর্থন দেওয়া হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইভরি কোস্টে অভিযান চালানো পশ্চিম আফ্রিকার লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের চেয়ে কঠিন হবে।জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দূত নভি পিল্লাই জানিয়েছেন, আইভরি কোস্টে দুটি গণকবরের খবর তাঁদের কাছে এসেছে। তবে মানবাধিকার দলকে ওই অঞ্চলে যেতে দেওয়া হয়নি।
নভি পিল্লাইয়ের এই তথ্য প্রকাশের পর আলাসেন ওয়েতাহার প্রধানমন্ত্রী গিল্লেউম সোরো প্রেসিডেন্ট বাগবোকে শুক্রবারের মধ্যে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন বছর শুরুর আগেই পদত্যাগ করলে তাঁর (বাগবো) উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু হবে না। তবে প্রেসিডেন্ট বাগবো জাতির উদ্দেশে দেওয়া নতুন বছরের ভাষণে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা ছাড়ছি না।’ তিনি বলেন, ‘ওয়েতাহা ও তাঁর পক্ষের কিছু বিশ্ব নেতা আমার বিরুদ্ধে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যানার ব্যবহার করছেন।’প্রেসিডেন্ট বাগবোর বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইসিওডব্লিউএএসের সামরিক অভিযান প্রসঙ্গে নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ ইয়েরিমাহ জানান, আগামীকাল সোমবার ইসিওডব্লিউএএসের প্রতিনিধিরা আবারও আইভরি কোস্ট যাওয়ার কথা।
ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষ থেকে বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস গত মঙ্গলবার আইভরি কোস্ট সফর করেন। তাঁরা বাগবো ও ওয়েতাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই তাঁদের আইভরি কোস্ট ত্যাগ করতে হয়।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ বলেন, লন্ডন বাগবোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে। তবে তাতে অবশ্যই জাতিসংঘের অনুমোদন থাকতে হবে। তিনি বলেন, পরাজয় মেনে বাগবোর উচিত ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, বাগবোর পদত্যাগ করা উচিত।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাগবো। ওয়েতাহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
নভি পিল্লাইয়ের এই তথ্য প্রকাশের পর আলাসেন ওয়েতাহার প্রধানমন্ত্রী গিল্লেউম সোরো প্রেসিডেন্ট বাগবোকে শুক্রবারের মধ্যে পদত্যাগ করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নতুন বছর শুরুর আগেই পদত্যাগ করলে তাঁর (বাগবো) উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু হবে না। তবে প্রেসিডেন্ট বাগবো জাতির উদ্দেশে দেওয়া নতুন বছরের ভাষণে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতা ছাড়ছি না।’ তিনি বলেন, ‘ওয়েতাহা ও তাঁর পক্ষের কিছু বিশ্ব নেতা আমার বিরুদ্ধে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যানার ব্যবহার করছেন।’প্রেসিডেন্ট বাগবোর বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইসিওডব্লিউএএসের সামরিক অভিযান প্রসঙ্গে নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষাবিষয়ক মুখপাত্র কর্নেল মোহাম্মদ ইয়েরিমাহ জানান, আগামীকাল সোমবার ইসিওডব্লিউএএসের প্রতিনিধিরা আবারও আইভরি কোস্ট যাওয়ার কথা।
ইসিওডব্লিউএএসের পক্ষ থেকে বেনিনের প্রেসিডেন্ট থমাস ইউয়েয়ি বোনি, সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ভেরোনা রদ্রিগেজ পিরেস গত মঙ্গলবার আইভরি কোস্ট সফর করেন। তাঁরা বাগবো ও ওয়েতাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সমঝোতা ছাড়াই তাঁদের আইভরি কোস্ট ত্যাগ করতে হয়।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ বলেন, লন্ডন বাগবোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে। তবে তাতে অবশ্যই জাতিসংঘের অনুমোদন থাকতে হবে। তিনি বলেন, পরাজয় মেনে বাগবোর উচিত ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, বাগবোর পদত্যাগ করা উচিত।
গত ২৮ নভেম্বর আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির স্বাধীন নির্বাচন কমিশন বিরোধীদলীয় প্রার্থী ওয়েতাহাকে জয়ী ঘোষণা করে। কিন্তু ওই ফল প্রত্যাখ্যান করে সাংবিধানিক পরিষদের সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বাগবো। ওয়েতাহাও পৃথকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
No comments