তৈরি হচ্ছে মেসির ক্লোন!
পারলে লিওনেল মেসির একটা ক্লোন করে রাখতেন ক্রিশ্চিনা কির্চনার। মাস কয়েক আগে এমন মন্তব্যই করেছিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। মেসির ক্লাব বার্সেলোনা এখন সেই ব্যবস্থাই করছে। মেসির ক্লোন তৈরির চেষ্টা!
না, গবেষণাগারে নয়; মেসির মতো ফুটবলার বানাতে বার্সেলোনার বিখ্যাত যুব প্রকল্প কাজ করছে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বার্সেলোনা জুনিয়র লুজান। বুয়েনস এইরেসে এই ফুটবল স্কুল ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রতিভাদের পরিচর্যা করছে। বার্সেলোনার লক্ষ্য, এই কিশোর ফুটবলাররা যেন আর্জেন্টিনায় তাদের পরিবারের পাশে থেকেই আর্জেন্টাইন ফুটবলের ছন্দ রপ্ত করতে পারে। যাতে এদের থেকে উঠে আসতে পারে আগামী দিনের মেসি, ম্যারাডোনা, মারিও কেম্পেস কিংবা এনরিকে ওমার সিভরির মতো তারকা।প্রকল্পের পরিচালক হোর্হে র্যাফো রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আর্জেন্টাইন ফুটবলের যে মান, স্বাতন্ত্র্য; সেই উৎসে থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবলের নির্যাসটা ধরে রেখে আমরা আগামীর ম্যারাডোনা মেসি, কেম্পেস, সিভরিদের খুঁজছি। যখন আমরা ৯, ১০ কিংবা ১১ বছর বয়সীদের নিয়ে কাজ করি, তখন জানি না, সে ভবিষ্যতে আসলেই ভালো ফুটবলার হতে পারবে কি না। কিন্তু আমরা এটা জানি, সে একজন ভালো মানুষ হবে নিশ্চিত।’আর্জেন্টিনায় বার্সেলোনার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা ড্যানিয়েল ভিতালি মেসির উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘ও যখন আর্জেন্টিনা ছাড়ে, বয়স ছিল মাত্র ১২। এই বিচ্ছেদ ওর এবং ওর পরিবারের জন্যও ছিল বেদনাদায়ক। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য তাই এই কিশোরদের যেন এত কম বয়সে দেশ ছাড়তে না হয়। আমরা চাই, ওরা নিজেদের পরিবেশে, পরিবার-পরিজনদের পাশে এবং দেশে থেকেই নিজেদের বিকাশ ঘটাক।’পুরো আর্জেন্টিনায় ছড়িয়ে আছে এই প্রকল্পের প্রতিভা অন্বেষকেরা (স্কাউট)। এই স্কাউটরা ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী ফুটবলারদের বেছে নিয়ে আসে এই প্রকল্পে। এখানকার শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে পড়াশোনা করতে হয় বুয়েনস এইরেসের সেরা স্কুলগুলোর একটিতে। একাডেমিক এই পড়াশোনার পাশাপাশি চলে ফুটবল প্রশিক্ষণ। ৪৫ জন ছাত্র আবাসিক। বাকি ১৫০ জন থাকে তাদের পরিবারের সঙ্গে।আবাসিক ছাত্রদের সবাই বুয়েনস এইরেসের ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র। এরা বছরে পাঁচবার ছুটি কাটাতে যেতে পারে তাদের পরিবারের কাছে। অন্য সময়ে বছরে তিন থেকে চারবার তাদের পরিবারের সদস্যরাও ক্যাম্পে এসে দেখে যায় সন্তানদের।
‘আমরা সব সময় বলি, দুটো টুর্নামেন্টে আমরা খেলছি। একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট, অন্যটা মানবিক। কেউ ফুটবলার হবে; কেউ হবে স্থপতি, আইনজীবী কিংবা হিসাবরক্ষক’—আর দশটা যুব প্রকল্পের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য বোঝাতে বলেছেন র্যাফো।
না, গবেষণাগারে নয়; মেসির মতো ফুটবলার বানাতে বার্সেলোনার বিখ্যাত যুব প্রকল্প কাজ করছে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বার্সেলোনা জুনিয়র লুজান। বুয়েনস এইরেসে এই ফুটবল স্কুল ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রতিভাদের পরিচর্যা করছে। বার্সেলোনার লক্ষ্য, এই কিশোর ফুটবলাররা যেন আর্জেন্টিনায় তাদের পরিবারের পাশে থেকেই আর্জেন্টাইন ফুটবলের ছন্দ রপ্ত করতে পারে। যাতে এদের থেকে উঠে আসতে পারে আগামী দিনের মেসি, ম্যারাডোনা, মারিও কেম্পেস কিংবা এনরিকে ওমার সিভরির মতো তারকা।প্রকল্পের পরিচালক হোর্হে র্যাফো রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আর্জেন্টাইন ফুটবলের যে মান, স্বাতন্ত্র্য; সেই উৎসে থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবলের নির্যাসটা ধরে রেখে আমরা আগামীর ম্যারাডোনা মেসি, কেম্পেস, সিভরিদের খুঁজছি। যখন আমরা ৯, ১০ কিংবা ১১ বছর বয়সীদের নিয়ে কাজ করি, তখন জানি না, সে ভবিষ্যতে আসলেই ভালো ফুটবলার হতে পারবে কি না। কিন্তু আমরা এটা জানি, সে একজন ভালো মানুষ হবে নিশ্চিত।’আর্জেন্টিনায় বার্সেলোনার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা ড্যানিয়েল ভিতালি মেসির উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘ও যখন আর্জেন্টিনা ছাড়ে, বয়স ছিল মাত্র ১২। এই বিচ্ছেদ ওর এবং ওর পরিবারের জন্যও ছিল বেদনাদায়ক। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য তাই এই কিশোরদের যেন এত কম বয়সে দেশ ছাড়তে না হয়। আমরা চাই, ওরা নিজেদের পরিবেশে, পরিবার-পরিজনদের পাশে এবং দেশে থেকেই নিজেদের বিকাশ ঘটাক।’পুরো আর্জেন্টিনায় ছড়িয়ে আছে এই প্রকল্পের প্রতিভা অন্বেষকেরা (স্কাউট)। এই স্কাউটরা ৯ থেকে ১৬ বছর বয়সী ফুটবলারদের বেছে নিয়ে আসে এই প্রকল্পে। এখানকার শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে পড়াশোনা করতে হয় বুয়েনস এইরেসের সেরা স্কুলগুলোর একটিতে। একাডেমিক এই পড়াশোনার পাশাপাশি চলে ফুটবল প্রশিক্ষণ। ৪৫ জন ছাত্র আবাসিক। বাকি ১৫০ জন থাকে তাদের পরিবারের সঙ্গে।আবাসিক ছাত্রদের সবাই বুয়েনস এইরেসের ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র। এরা বছরে পাঁচবার ছুটি কাটাতে যেতে পারে তাদের পরিবারের কাছে। অন্য সময়ে বছরে তিন থেকে চারবার তাদের পরিবারের সদস্যরাও ক্যাম্পে এসে দেখে যায় সন্তানদের।
‘আমরা সব সময় বলি, দুটো টুর্নামেন্টে আমরা খেলছি। একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট, অন্যটা মানবিক। কেউ ফুটবলার হবে; কেউ হবে স্থপতি, আইনজীবী কিংবা হিসাবরক্ষক’—আর দশটা যুব প্রকল্পের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য বোঝাতে বলেছেন র্যাফো।
No comments