অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ বন্যাকে ‘মহাপ্লাবন’ বললেন মন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ায় বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের বান্ডাবার্গ শহর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরটির হাজার হাজার বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বন্যার এ ভয়াবহতাকে ‘মহাপ্লাবন’ বলে উল্লেখ করেছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে এমন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ায় কুইন্সল্যান্ডবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বন্যার তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া শহরগুলোয় খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রায় দুই লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত বান্ডাবার্গে কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আন্দ্রিউ ফ্রেসার সাংবাদিকদের বলেন, অনেক দিক থেকেই একে মহাপ্লাবন বলা যায়। গত শুক্রবার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, বন্যা-পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বন্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। রকহ্যাম্পটনে বন্যার যে ভয়াবহতা দেখেছি, তা আগে কোনো দিন দেখিনি। কুইন্সল্যান্ডের অনেক স্থানে মানুষ অনেক গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।’ রকহ্যাম্পটনে ফিজোরি নদীর তীর ভেঙে গেছে। জরুরি ত্রাণকর্মীরা সেখানে উদ্ধার-তৎপরতা চালাচ্ছেন। ভাঙন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় বহু বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। রকহ্যাম্পটনের বিমানবন্দরও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, বন্যায় খনি এলাকার মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু কোম্পানি চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে। ওয়েস্টার্ন ডাউনের মেয়র রে ব্রাউন বলেন, কন্ডামিন শহরে রেকর্ড বন্যা দেখা দিয়েছে এবং শহরটি এক সপ্তাহের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হতে পারে। মধ্য কুইন্সল্যান্ডের এমিরাল্ড শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা এবং নোগোয়া নদী প্লাবিত হয়ে প্রায় এক হাজার বাড়ি ডুবে গেছে।রকহ্যাম্পটনের মেয়র ব্র্যাড কনটার বলেন, ‘আমরা জানি আমরা আমাদের সাধ্যমতো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। যে সব মানুষ তাদের বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন, তাদের অধিকাংশকেই অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় শনিবার রকহ্যাম্পটন বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কা ছিল।
No comments