আইসিবিকে ২০০ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল রোববার আবারও ধসের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আর্থিক খাতের কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তৎপরতায় সেই শঙ্কা কিছুটা সামাল দেওয়া গেছে। কিন্তু মূল্যসূচকের পতন ঠেকানো যায়নি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের প্রথম থেকেই সূচক কমতে শুরু করে। বেলা দেড়টার মধ্যে সূচক ৩১২ পয়েন্ট পড়ে যায়। এ অবস্থায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরেকটি ধসের আতঙ্ক ভর করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক শেয়ার কেনা শুরু করে। এতে সূচক আবার বাড়তে থাকে। অবশ্য দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪১ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে নেমে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইসিবি গতকাল ১৫৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। এর মধ্যে ১২৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব এবং ইউনিট ফান্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ কোষ বা পোর্টফোলিতে।
প্রতিষ্ঠানটির তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিওতে কেনা হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার। আর আইসিবির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক আইসিবি সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পৃথকভাবে ৭৬ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
সব মিলিয়ে আইসিবির মাধ্যমে ২৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। তার মানে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশই করেছে আইসিবি। ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ১৬৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আইসিবিকে ২০০ কোটি টাকা জোগান দিয়েছে। গতকালের ধস ঠেকাতে এ টাকা কাজে লাগানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সমর্থন দিতে আইসিবি প্রস্তুত রয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বর্তমান বাজারের দুটি প্রধান সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য-সংকট। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে তারল্য-সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাজারে একের পর এক বড় ধরনের সূচক পতনের ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে শুরু করে।
শেষ পর্যন্ত গত সোমবার বাজারে বড় ধরনের ধস হলে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে তারল্য বাড়াতে কয়েকটি নীতি শিথিল করার ঘোষণা দেয়। এতে আশ্বস্ত হয়ে পরের দিন বিনিয়োগকারীরা অতি প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে ওই দিন দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ সূচক বাড়ে। কিন্তু এর পরপরই বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেনি। তাই বাজার আবার কমতে শুরু করে।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসে ফোন করে বিক্রির চাপ না বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বাজারের এ পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো আচরণ করছে, যা খুবই দুঃখজনক। দরপতনের সময় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিওতে শেয়ার কেনার কথা। কিন্তু তারা সবাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যেন তারা সবাই সর্বনিম্ন দরপতনের অপেক্ষা করছে।
এসইসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝতে চাইছে না যে, অব্যাহত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়ে গেলে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেনের প্রথম থেকেই সূচক কমতে শুরু করে। বেলা দেড়টার মধ্যে সূচক ৩১২ পয়েন্ট পড়ে যায়। এ অবস্থায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরেকটি ধসের আতঙ্ক ভর করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক শেয়ার কেনা শুরু করে। এতে সূচক আবার বাড়তে থাকে। অবশ্য দিনশেষে সাধারণ মূল্যসূচক ১৪১ পয়েন্ট কমে সাত হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে নেমে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইসিবি গতকাল ১৫৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। এর মধ্যে ১২৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয় প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব এবং ইউনিট ফান্ড ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ কোষ বা পোর্টফোলিতে।
প্রতিষ্ঠানটির তিনটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের পোর্টফোলিওতে কেনা হয়েছে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার। আর আইসিবির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা ১৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
এ ছাড়া সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক আইসিবি সিকিউরিটিজের মাধ্যমে পৃথকভাবে ৭৬ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
সব মিলিয়ে আইসিবির মাধ্যমে ২৩৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। তার মানে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২১ শতাংশই করেছে আইসিবি। ডিএসইতে গতকাল এক হাজার ১৬৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আইসিবিকে ২০০ কোটি টাকা জোগান দিয়েছে। গতকালের ধস ঠেকাতে এ টাকা কাজে লাগানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আইসিবির মহাব্যবস্থাপক ইফতেখার-উজ-জামান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও সমর্থন দিতে আইসিবি প্রস্তুত রয়েছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, বর্তমান বাজারের দুটি প্রধান সমস্যা হলো বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য-সংকট। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে তারল্য-সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাজারে একের পর এক বড় ধরনের সূচক পতনের ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমতে শুরু করে।
শেষ পর্যন্ত গত সোমবার বাজারে বড় ধরনের ধস হলে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে তারল্য বাড়াতে কয়েকটি নীতি শিথিল করার ঘোষণা দেয়। এতে আশ্বস্ত হয়ে পরের দিন বিনিয়োগকারীরা অতি প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে ওই দিন দেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ সূচক বাড়ে। কিন্তু এর পরপরই বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারেন, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেনি। তাই বাজার আবার কমতে শুরু করে।
বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসে ফোন করে বিক্রির চাপ না বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসইসির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বাজারের এ পরিস্থিতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মতো আচরণ করছে, যা খুবই দুঃখজনক। দরপতনের সময় সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলোর মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিওতে শেয়ার কেনার কথা। কিন্তু তারা সবাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যেন তারা সবাই সর্বনিম্ন দরপতনের অপেক্ষা করছে।
এসইসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বুঝতে চাইছে না যে, অব্যাহত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারিয়ে গেলে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
No comments