স্বাধীনতার পক্ষে দক্ষিণ সুদানে ব্যাপক সাড়া
স্বাধীনতার পক্ষে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে দক্ষিণ সুদানের বাসিন্দারা। গত শনিবার সরকারিভাবে ঘোষিত একটি কেন্দ্রের ফলাফল থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এতে ৬৪০ জন ভোটারের ৯৭ শতাংশই স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন। এদিকে সুদানের ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা বলেছেন, গণভোটে দক্ষিণ সুদানের বাসিন্দারা স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিলে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির তা মেনে নেবেন। গত সপ্তাহের গণভোটের সময় ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সহনশীলতার পরিচয় দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সুদানের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর সুদান ও খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুদানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার একটি কেন্দ্রের সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ সুদানের ওই কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা ফেডরিকো ভুনি ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, এ কেন্দ্রের ভোটাররা স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর কেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। একটি ব্যালটে কোনো সিল ছিল না। ১৩ জন ভোটার ঐক্যবদ্ধ সুদানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬২৬ জন ভোটার।
গত শুক্রবার শেষ হওয়া সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এ গণভোটের চূড়ান্ত ফল জানা যাবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। তবে ভোট নিয়ে কোনো ওজর-আপত্তি করা হলে ফল ঘোষণা করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফল স্বাধীনতার পক্ষে এলে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে আগামী ৯ জুলাই। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সংগীত ও পতাকা ঠিক করা হয়ে গেছে। তবে স্বাধীন দেশ হিসেবে দক্ষিণ সুদানের নাম কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।
এদিকে সুদানের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাবি আবদুল আতি শনিবার বলেছেন, গণভোটে দক্ষিণ সুদানের পক্ষ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া বা একসঙ্গে থাকার—যে রায়ই আসুক না কেন, তাদের দল তা মেনে নেবে। প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের দল গণভোটের যেকোনো ফলাফলকে মেনে নিতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, গণভোট শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট বশির দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা সফর করেন। সে সময় তিনি গণভোটের ফল মেনে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। দক্ষিণ সুদানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, ‘সুদান ভাগ হয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব কষ্ট পাব। তবে আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করতে পারি, সেটিও হবে আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
নুবায় বিক্ষোভ: উত্তর সুদানের নুবা পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ করেছে। এ এলাকাটি উত্তর সুদানের অন্তর্ভুক্ত হলেও একসময় এটি ছিল দক্ষিণ সুদানের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি।
গণভোটের ফলাফল গণনা শুরু হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সুদানের সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে গণভোট অনুষ্ঠান সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্য জানান।
মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর সুদান ও খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে চলা সংঘাত অবসানের জন্য গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুদানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার একটি কেন্দ্রের সরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ সুদানের ওই কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা ফেডরিকো ভুনি ফলাফল ঘোষণার সময় বলেন, এ কেন্দ্রের ভোটাররা স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর কেন্দ্রে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। একটি ব্যালটে কোনো সিল ছিল না। ১৩ জন ভোটার ঐক্যবদ্ধ সুদানের পক্ষে রায় দিয়েছেন। স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬২৬ জন ভোটার।
গত শুক্রবার শেষ হওয়া সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এ গণভোটের চূড়ান্ত ফল জানা যাবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। তবে ভোট নিয়ে কোনো ওজর-আপত্তি করা হলে ফল ঘোষণা করা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফল স্বাধীনতার পক্ষে এলে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে আগামী ৯ জুলাই। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সংগীত ও পতাকা ঠিক করা হয়ে গেছে। তবে স্বাধীন দেশ হিসেবে দক্ষিণ সুদানের নাম কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।
এদিকে সুদানের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাবি আবদুল আতি শনিবার বলেছেন, গণভোটে দক্ষিণ সুদানের পক্ষ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া বা একসঙ্গে থাকার—যে রায়ই আসুক না কেন, তাদের দল তা মেনে নেবে। প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের দল গণভোটের যেকোনো ফলাফলকে মেনে নিতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, গণভোট শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট বশির দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবা সফর করেন। সে সময় তিনি গণভোটের ফল মেনে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। দক্ষিণ সুদানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, ‘সুদান ভাগ হয়ে গেলে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব কষ্ট পাব। তবে আমরা যদি শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করতে পারি, সেটিও হবে আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
নুবায় বিক্ষোভ: উত্তর সুদানের নুবা পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ করেছে। এ এলাকাটি উত্তর সুদানের অন্তর্ভুক্ত হলেও একসময় এটি ছিল দক্ষিণ সুদানের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি।
গণভোটের ফলাফল গণনা শুরু হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সুদানের সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে গণভোট অনুষ্ঠান সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্য জানান।
No comments