গোল করে তেভেজ, না করেও দ্রগবা
গত মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ৩৭ গোল করেছিলেন চেলসির দিদিয়ের দ্রগবা। ম্যানচেস্টার সিটির কার্লোস তেভেজও ভালোই করেছিলেন। তবে দ্রগবার মতো নয়। এবারও দ্রগবার শুরুটা দারুণ হলেও শেষ পর্যন্ত দুজন যেন উল্টো পথের যাত্রী! নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন দ্রগবা। তেভেজ আবির্ভূত স্বমহিমায়।পরশু উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৪-৩ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন তেভেজ। কিন্তু ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে চেলসির ২-০ গোলের জয়ে গোলহীনও থেকেছেন দ্রগবা। দুজনের দুই রকম দিন গেলেও একটা জায়গায় তেভেজ-দ্রগবার মিল। দুজনেই ভেসেছেন তাঁদের গুরুর প্রশংসায়। গোল না পেলেও দ্রগবার পারফরম্যান্সে খুশি চেলসি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তেভেজের ওপর মানচিনির বিরক্তি একেবারেই উধাও, বরং আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারে মুগ্ধতা ক্রমেই বাড়ছে সিটি কোচের।দ্রগবার শুরুটা এবারও দুর্দান্তই হয়েছিল। লিগের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্টব্রমের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক। কিন্তু এর পরই আক্রান্ত হন ম্যালেরিয়ায়, যেটি কেড়ে নিয়ে যায় তাঁর দুর্দান্ত সেই ফর্মটাও। ওই হ্যাটট্রিকের পর ২২ ম্যাচে করতে পেরেছেন মাত্র ৬ গোল। অবস্থা এখন এমনই যে, দ্রগবার প্রথম একাদশে জায়গা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে। তবে ব্ল্যাকবার্নের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখছেন আনচেলত্তি, ‘দিদিয়ের ওর সেরা ফর্মের কাছাকাছি চলে এসেছে। গোল না করলেও ও দারুণ খেলেছে।’তেভেজের ব্যাপারটা ভালো খেলা না-খেলা নয়। হঠাৎ করে ম্যান সিটি ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েই সমর্থকদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত বদলে সমর্থকদের আবারও জয় করার মতো খেলাই খেলে যাচ্ছেন। তেভেজকে দেখে মানচিনির মুগ্ধতা তাই কমছেই না, ‘আমি ওকে নিয়ে ভীষণ খুশি। দারুণ দুটি গোল করেছে ও। বিশেষ করে প্রথম গোলটি তো ছিল অসাধারণ।’এই জোড়া গোলে ম্যানইউর বারবেতভের সঙ্গে যৌথভাবে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ (১৪) গোলদাতা এখন তেভেজ। আর ১২ ঘণ্টার জন্য হলেও সিটি উঠে গিয়েছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ওদিকে ওয়েস্টহামকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে আছে আর্সেনালও। পয়েন্ট তালিকার তিনে থাকা দলটির জন্য সুখবর, ডাচ স্ট্রাইকার রবিন ফন পার্সির ফর্মে ফেরা। লিগের প্রথম ১৭ ম্যাচের ৭টি খেলে কোনো গোল পাননি। পরশু এক ম্যাচেই করলেন ২ গোল। ইংল্যান্ডে তেভেজ-ফন পার্সির মতো ইতালিতে জোড়া গোল পেয়েছেন স্যামুয়েল ইতোও। সঙ্গে স্টানকোভিচ ও মিলিতোর গোলে বোলোনিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার মিলান।
No comments