যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করার মতো শক্তি অর্জন করতে যাচ্ছে চীন
চীনের একটি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলেছে, চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মেনে নেওয়া না-নেওয়াকে চীন পাত্তা দিচ্ছে না। খুব শিগগিরই চীন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করার মতো সামরিক শক্তি অর্জন করবে। চীন আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়িয়ে প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করছে বলেও খবর বেরিয়েছে। অন্যদিকে, বাজেট ঘাটতি পোষাণোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ খাতে বিপুল পরিমাণ ব্যয় সংকোচনের ঘোষণা দিয়েছে।মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস আগামীকাল রোববার চীন সফরে আসছেন। তাঁর সফরের আগেই গত বৃহস্পতিবার সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস চীন রাডার ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম জে-২০ জঙ্গি বিমান (স্টিলথ ফাইটার জেট) তৈরি করেছে বলে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চীন সরকার এ খবরকে ‘গুজব’ বলে আখ্যায়িত করলেও বেশির ভাগ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ওই খবরকে সত্য বলে মনে করছেন।গত সপ্তাহে মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ডের প্রধান রবার্ট উইলার্ড জাপানি একটি দৈনিককে বলেন, চীন রণতরী বিধ্বংসী ‘ক্যারিয়ার কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং নিজেদের জলসীমার বাইরেও সামরিক প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে গতকাল শুক্রবার গ্লোবাল টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে বলেছে, নতুন অস্ত্র সরঞ্জামের (জে-২০) খবর সত্য হোক বা না হোক চীন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করার মতো প্রথম শ্রেণীর সমরাস্ত্র শিগগিরই অর্জন করতে সক্ষম হবে।এদিকে গতকাল শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্র সিডনি হেরাল্ড মর্নিং উইকিলিকসের নথির ফাঁস করা মার্কিন নথির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, সেনাশক্তি বাড়ানোসহ সামরিক খাতের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি গোপন করছে চীন। অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন বলে ওই নথিতে বলা হয়েছে।নথিতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার কৌশলগত মূল্যায়নে দেখা গেছে, চীন ২০০৬ সালে তিন হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে বলে ঘোষণা দিলেও তাদের প্রকৃত ব্যয় ছিল সাত হাজার কোটি মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় মূল্যায়ন দপ্তর ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে আত্মরক্ষার জন্য ও তাইওয়ানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে চীন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে।নাইন-ইলেভেনের পর এই প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যয় কমাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ খাতে ব্যয় আগামী পাঁচ বছরে প্রায় আট হাজার কোটি ডলার কমিয়ে আনা হবে। সেই সঙ্গে সেনাসংখ্যা কমছে ৪৭ হাজার।
No comments