প্রতিরক্ষা ব্যয় ও সেনা হ্রাসের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে দেশটি সামরিক খাতে ব্যয় সাত হাজার ৮০০ কোটি ডলার কমাবে। সেনা সংখ্যা হ্রাস করবে ৪৭ হাজার। ব্যয়বহুল সামরিক প্রযুক্তি খাতেও খরচ কমিয়ে দেবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস গত বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর এ ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে ২০০১ সালে আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিল। মন্দার কবলে পড়া মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙা করতে ওবামা প্রশাসন আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন খাতে সরকারি ব্যয় ১০ হাজার কোটি ডলার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট গেটস বলেন, মন্দার কবলে পড়া দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকেও ভূমিকা রাখতে হবে । তাই তারা আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন। গেটস জানান, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তাঁরা ১০০-এর বেশি জেনারেল ও পতাকাধারী কর্মকর্তার পদ বিলুপ্ত করবেন অথবা তাঁদের অবসরে পাঠাবেন। এ ছাড়া জননিরাপত্তায় নিয়োজিত আরও ২০০ জন কর্মকর্তার পদ বিলুপ্ত করা হবে। এতে যে ব্যয় সংকোচন হবে তা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।গেটস জানান, নতুন পরিকল্পনার আওতায় আগামী পাঁচ বছরে সেনা সংখ্যা ছয় শতাংশ হ্রাস করা হবে। অত্যাধুনিক এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান নির্মাণের পেছনে যে ভতুর্কি দেওয়া হয় সেটা কমানো হবে। এ ছাড়া উভচর যান নির্মাণ, সেনাবাহিনীর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ প্রভৃতি খাতেও খরচ কমিয়ে আনা হবে।গেটস বলেন, ৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে বেহিসেবি খরচ করার যে সংস্কৃতি শুরু করেছিল সেটা থেকে তাঁরা বের হয়ে আসতে চান।তবে কংগ্রেস সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাসের ওবামা প্রশাসনের এ উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সমর্থন করবে কি না তা স্পষ্ট নয়। মার্কিন আইন প্রণেতারা সচরাচর প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর বিষয়টি সমর্থন করেন না।এদিকে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ওবামা প্রশাসন কংগ্রেসের কাছে ৫৫ হাজার ৩০০ কোটি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছরের চেয়ে এ অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার কম। এর মধ্যে অবশ্য ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের ব্যয়ভার ধরা হয়নি।
প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর বিষটিকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেক মার্কিন নীতিনির্ধারক। প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড ম্যাককোয়েন এরই মধ্যে বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের এ উদ্যোগে তিনি খুশি নন। ব্যয় কমানোর যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে তা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে ২০০১ সালে আল-কায়েদার সন্ত্রাসী হামলার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিল। মন্দার কবলে পড়া মার্কিন অর্থনীতিকে চাঙা করতে ওবামা প্রশাসন আগামী পাঁচ বছরে বিভিন্ন খাতে সরকারি ব্যয় ১০ হাজার কোটি ডলার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এ প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রবার্ট গেটস বলেন, মন্দার কবলে পড়া দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনীকেও ভূমিকা রাখতে হবে । তাই তারা আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন। গেটস জানান, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তাঁরা ১০০-এর বেশি জেনারেল ও পতাকাধারী কর্মকর্তার পদ বিলুপ্ত করবেন অথবা তাঁদের অবসরে পাঠাবেন। এ ছাড়া জননিরাপত্তায় নিয়োজিত আরও ২০০ জন কর্মকর্তার পদ বিলুপ্ত করা হবে। এতে যে ব্যয় সংকোচন হবে তা তাঁদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।গেটস জানান, নতুন পরিকল্পনার আওতায় আগামী পাঁচ বছরে সেনা সংখ্যা ছয় শতাংশ হ্রাস করা হবে। অত্যাধুনিক এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান নির্মাণের পেছনে যে ভতুর্কি দেওয়া হয় সেটা কমানো হবে। এ ছাড়া উভচর যান নির্মাণ, সেনাবাহিনীর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ প্রভৃতি খাতেও খরচ কমিয়ে আনা হবে।গেটস বলেন, ৯/১১ পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে বেহিসেবি খরচ করার যে সংস্কৃতি শুরু করেছিল সেটা থেকে তাঁরা বের হয়ে আসতে চান।তবে কংগ্রেস সামরিক খাতে ব্যয় হ্রাসের ওবামা প্রশাসনের এ উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সমর্থন করবে কি না তা স্পষ্ট নয়। মার্কিন আইন প্রণেতারা সচরাচর প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর বিষয়টি সমর্থন করেন না।এদিকে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ওবামা প্রশাসন কংগ্রেসের কাছে ৫৫ হাজার ৩০০ কোটি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছরের চেয়ে এ অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার কম। এর মধ্যে অবশ্য ইরাক, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের ব্যয়ভার ধরা হয়নি।
প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর বিষটিকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেক মার্কিন নীতিনির্ধারক। প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান হাওয়ার্ড ম্যাককোয়েন এরই মধ্যে বলেছেন, ওবামা প্রশাসনের এ উদ্যোগে তিনি খুশি নন। ব্যয় কমানোর যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে তা ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।
No comments