সবাইকে ছাড়িয়ে সোহেল
আবাহনী কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি দ্রুতই মাঠ ছাড়লেন। পরাজয়ের জ্বালা সয়ে স্বাভাবিক হতে সময় দরকার। ফরাশগঞ্জ কোচ কামাল বাবু সাংবাদিক ভিড়ের মধ্যে ‘ছেলেদের জেদ ছিল জিততে হবে’—বলে যাচ্ছেন। সোহেল রানা তখন কোথায়?
সতীর্থরা কেউ এসে ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ছেন। কেউ তাঁকে কাঁধে তুলে নিতে চাইছেন। ফটো সাংবাদিকেরা সেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। যাঁর একমাত্র গোলে আবাহনীর টানা চতুর্থ পেশাদার লিগ শিরোপা মিশন তৃতীয় ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খেল, নারায়ণগঞ্জের সেই ২১ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকারকেই তো তখন ক্যামেরার লেন্স খুঁজবে!
তাঁর ওপর চোখটা প্রথম পড়ল মাচের নবম মিনিটে। স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলায় বসে জাতীয় দলের কোচ রবার্ট রুবচিচসহ গোটা স্টেডিয়াম নড়েচড়ে বসল। আবাহনীর বিপক্ষে গোল করে ফেলেছেন রুবচিচের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এই স্ট্রাইকার। তখনো প্রায় পুরো ম্যাচই বাকি। কিন্তু আবাহনী ওই গোল শোধ তো দিতে পারলই না, উপরন্তু শেষ দিকে সোহেল সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আকাশি-নীলদের পরাজয়ের ব্যবধান ২-০ হয়ে যায়!
একটা পাল্টা আক্রমণ থেকে সর্বনাশ ঘটবে, আবাহনী হয়তো ভাবতেও পারেনি। গত কয়েক বছর দক্ষতার সঙ্গে দেশসেরা দলের রক্ষণ সামলে আসা ঘানার বিশ্বস্ত সৈনিক সামাদ ইউসুফ এই প্রথম বড় একটা ভুল করে বসলেন। মাঝবৃত্ত থেকে খোকন দাসের ঠেলে দেওয়া বল জনসনের সঙ্গে ওয়াল করে বেরিয়ে গেলেন সোহেল। ওই সময় শেষ ডিফেন্ডার সামাদের উচিত ছিল সোহেলকে আটকে দেওয়া। কিন্তু বল কাড়তে গিয়ে সোহেলের গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি লিংকন-মামুনবিহীন আবাহনীর রক্ষণের এই স্তম্ভ।
পরের দৃশ্যটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। রকেটগতিতে আগুয়ান সোহেলকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও আবাহনী গোলরক্ষক জিয়া বলের নাগাল পেলেন না। জিয়াকে আসতে দেখে বক্সের মাথা থেকে দারুণ শটে লক্ষ্য ভেদ করলেন সোহেল (১-০)।
পেশাদার লিগে এটি আবাহনীর ৬৭তম ম্যাচে পঞ্চম হার—প্রথম লিগে খুলনা আবাহনী, দ্বিতীয় লিগে রহমতগঞ্জ-ব্রাদার্স, গতবার মোহামেডানের কাছে পরাজয়। চারটি পরাজয় নিয়েও আবাহনীই শিরোপা জিতেছে তিনবার। শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, চট্টগ্রাম আবাহনীকে অতিকষ্টে ১-০ গোলে হারিয়ে ফরাশগঞ্জের কাছে এই পরাজয়—হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের এবার কোথায় দাঁড় করায় কে জানে!
অধিনায়ক প্রাণতোষ দুবার, ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্ক অন্তত তিনবার গোলের কাছে গিয়েও কিছু করতে পারেননি। ফ্রাঙ্ক তো খালি পোস্টেই বল ঠেলতে পরেননি। তার ওপর ৬৫ মিনিটে ফরাশগঞ্জ স্ট্রাইকার কালু জনসনের সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠ ছাড়া গোলরক্ষক জিয়ার ডান হাত ভেঙে গেছে। এশিয়াডে ব্যথা পাওয়া আরেক গোলরক্ষক হিমেল দলের সঙ্গেই নেই। তৃতীয় গোলরক্ষক আনকোরা তরুণ সোহেলই ছিলেন ভরসা! দিনটাই আসলে বাজে গেছে আবাহনীর।
এসব নিয়ে ভাবনায় পড়ে যাওয়া আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস ম্যাচের পর সামাদকে দাঁড় করালেন কাঠগড়ায়, ‘ফ্রাঙ্ক-প্রাণতোষ মিস তো করেছেই, কিন্তু সামাদের ভুলটা মেনে নেওয়া কঠিন। এমন মিস ওকে মানায় না!’
ফরাশগঞ্জ: সুজন, রাজীব, আমাদি, জাকির (জুয়েল), মোখলেস, খোকন, সোহেল, হামিদ, বিপ্লব, সৈকত (মামুন), কালু জনসন।
আবাহনী: জিয়া (সোহেল), সামাদ, নজরুল, সিরাজী, অরূপ, আমিনু, চৌমিন (জিতু/সোহাগ), প্রাণতোষ, উজ্জ্বল, ইব্রাহিম, ফ্রাঙ্ক।
সতীর্থরা কেউ এসে ঘাড়ে লাফিয়ে পড়ছেন। কেউ তাঁকে কাঁধে তুলে নিতে চাইছেন। ফটো সাংবাদিকেরা সেই ছবি তুলতে ব্যস্ত। যাঁর একমাত্র গোলে আবাহনীর টানা চতুর্থ পেশাদার লিগ শিরোপা মিশন তৃতীয় ম্যাচেই বড়সড় ধাক্কা খেল, নারায়ণগঞ্জের সেই ২১ বছর বয়সী তরুণ স্ট্রাইকারকেই তো তখন ক্যামেরার লেন্স খুঁজবে!
তাঁর ওপর চোখটা প্রথম পড়ল মাচের নবম মিনিটে। স্টেডিয়ামের চতুর্থ তলায় বসে জাতীয় দলের কোচ রবার্ট রুবচিচসহ গোটা স্টেডিয়াম নড়েচড়ে বসল। আবাহনীর বিপক্ষে গোল করে ফেলেছেন রুবচিচের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের এই স্ট্রাইকার। তখনো প্রায় পুরো ম্যাচই বাকি। কিন্তু আবাহনী ওই গোল শোধ তো দিতে পারলই না, উপরন্তু শেষ দিকে সোহেল সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আকাশি-নীলদের পরাজয়ের ব্যবধান ২-০ হয়ে যায়!
একটা পাল্টা আক্রমণ থেকে সর্বনাশ ঘটবে, আবাহনী হয়তো ভাবতেও পারেনি। গত কয়েক বছর দক্ষতার সঙ্গে দেশসেরা দলের রক্ষণ সামলে আসা ঘানার বিশ্বস্ত সৈনিক সামাদ ইউসুফ এই প্রথম বড় একটা ভুল করে বসলেন। মাঝবৃত্ত থেকে খোকন দাসের ঠেলে দেওয়া বল জনসনের সঙ্গে ওয়াল করে বেরিয়ে গেলেন সোহেল। ওই সময় শেষ ডিফেন্ডার সামাদের উচিত ছিল সোহেলকে আটকে দেওয়া। কিন্তু বল কাড়তে গিয়ে সোহেলের গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি লিংকন-মামুনবিহীন আবাহনীর রক্ষণের এই স্তম্ভ।
পরের দৃশ্যটা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। রকেটগতিতে আগুয়ান সোহেলকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও আবাহনী গোলরক্ষক জিয়া বলের নাগাল পেলেন না। জিয়াকে আসতে দেখে বক্সের মাথা থেকে দারুণ শটে লক্ষ্য ভেদ করলেন সোহেল (১-০)।
পেশাদার লিগে এটি আবাহনীর ৬৭তম ম্যাচে পঞ্চম হার—প্রথম লিগে খুলনা আবাহনী, দ্বিতীয় লিগে রহমতগঞ্জ-ব্রাদার্স, গতবার মোহামেডানের কাছে পরাজয়। চারটি পরাজয় নিয়েও আবাহনীই শিরোপা জিতেছে তিনবার। শেখ জামাল ধানমন্ডির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র, চট্টগ্রাম আবাহনীকে অতিকষ্টে ১-০ গোলে হারিয়ে ফরাশগঞ্জের কাছে এই পরাজয়—হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নদের এবার কোথায় দাঁড় করায় কে জানে!
অধিনায়ক প্রাণতোষ দুবার, ঘানাইয়ান স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্ক অন্তত তিনবার গোলের কাছে গিয়েও কিছু করতে পারেননি। ফ্রাঙ্ক তো খালি পোস্টেই বল ঠেলতে পরেননি। তার ওপর ৬৫ মিনিটে ফরাশগঞ্জ স্ট্রাইকার কালু জনসনের সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠ ছাড়া গোলরক্ষক জিয়ার ডান হাত ভেঙে গেছে। এশিয়াডে ব্যথা পাওয়া আরেক গোলরক্ষক হিমেল দলের সঙ্গেই নেই। তৃতীয় গোলরক্ষক আনকোরা তরুণ সোহেলই ছিলেন ভরসা! দিনটাই আসলে বাজে গেছে আবাহনীর।
এসব নিয়ে ভাবনায় পড়ে যাওয়া আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস ম্যাচের পর সামাদকে দাঁড় করালেন কাঠগড়ায়, ‘ফ্রাঙ্ক-প্রাণতোষ মিস তো করেছেই, কিন্তু সামাদের ভুলটা মেনে নেওয়া কঠিন। এমন মিস ওকে মানায় না!’
ফরাশগঞ্জ: সুজন, রাজীব, আমাদি, জাকির (জুয়েল), মোখলেস, খোকন, সোহেল, হামিদ, বিপ্লব, সৈকত (মামুন), কালু জনসন।
আবাহনী: জিয়া (সোহেল), সামাদ, নজরুল, সিরাজী, অরূপ, আমিনু, চৌমিন (জিতু/সোহাগ), প্রাণতোষ, উজ্জ্বল, ইব্রাহিম, ফ্রাঙ্ক।
No comments