১৮ বছরের অপেক্ষা
আঠারো বছর পর সরকারের দরবারে দাবিনামা পেশ করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এই সময়ে শিল্প খাতে ব্যাপক পরিবর্তন এলেও শ্রমিকদের অবস্থার তেমন বদল ঘটেনি। বরং অনেক ক্ষেত্রেই অবনতি হয়েছে। এসব বিষয়েই এক মাস আগে শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রীর কাছে আলোচনার সময় চেয়েছিলেন স্কপের নেতারা, কিন্তু সাড়া মেলেনি। বাংলাদেশের বৃহত্তম ও সর্বদলীয় শ্রমিক জোট হিসেবে স্কপ যথাযথ গুরুত্ব পাওয়ার দাবিদার। সরকারের উচিত শ্রমিকনেতাদের কথা শোনা এবং বাস্তবভিত্তিক দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া।
সব প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ নয়টি বিষয়ে আলোচনা করতে চায় স্কপ। পোশাকশিল্পে ইতিমধ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিল্পজগতের অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও একই প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। কেননা, গত ১৮ বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক গুণ বেড়েছে এবং শিল্প-মানচিত্রেও অনেক ভাঙন-গঠন চলেছে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে উৎপাদনী খাতের সমস্যা দূর করা জাতীয় স্বার্থেই দরকার।
স্কপ শ্রমিকদের জন্য সুস্থ ধারার ট্রেড ইউনিয়নের বিকাশ, ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা মজুরি, বন্ধ পাটকলগুলো চালু এবং পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ানো, চাকরির নিরাপত্তা, পেশাগত ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এবং প্রবাসী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় নয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে। পাশাপাশি তারা শ্রম আইনকেও যুগোপযোগী করতে চায়। এদিক থেকে দেখলে, সব কটি শ্রমিক সংগঠনের এই জাতীয়ভিত্তিক দাবিদাওয়া অবশ্যই আলোচনার যোগ্য। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯২ সালে স্কপ তৎকালীন সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছিল। পরের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকনেতারা।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বর্তমানে কয়েকটি প্রেশার গ্রুপ বা প্রভাবশালী গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কথা সরকারকে শুনতেও হয়। অথচ জনগণের বড় একটি অংশ শ্রমজীবী। অর্থনীতিতেও তাঁদের অবদান কম নয়। এ ছাড়া স্বাধীনতাসংগ্রামসহ গত ৪০ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামেও রয়েছে শ্রমিকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধাও ছিল এই স্কপ। শ্রমমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্প খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়াসী হবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
সব প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ নয়টি বিষয়ে আলোচনা করতে চায় স্কপ। পোশাকশিল্পে ইতিমধ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিল্পজগতের অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও একই প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। কেননা, গত ১৮ বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক গুণ বেড়েছে এবং শিল্প-মানচিত্রেও অনেক ভাঙন-গঠন চলেছে। এসব বিষয় আমলে নিয়ে উৎপাদনী খাতের সমস্যা দূর করা জাতীয় স্বার্থেই দরকার।
স্কপ শ্রমিকদের জন্য সুস্থ ধারার ট্রেড ইউনিয়নের বিকাশ, ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা মজুরি, বন্ধ পাটকলগুলো চালু এবং পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ানো, চাকরির নিরাপত্তা, পেশাগত ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা এবং প্রবাসী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় নয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে। পাশাপাশি তারা শ্রম আইনকেও যুগোপযোগী করতে চায়। এদিক থেকে দেখলে, সব কটি শ্রমিক সংগঠনের এই জাতীয়ভিত্তিক দাবিদাওয়া অবশ্যই আলোচনার যোগ্য। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৯৯২ সালে স্কপ তৎকালীন সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছিল। পরের প্রতিটি সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিকনেতারা।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বর্তমানে কয়েকটি প্রেশার গ্রুপ বা প্রভাবশালী গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কথা সরকারকে শুনতেও হয়। অথচ জনগণের বড় একটি অংশ শ্রমজীবী। অর্থনীতিতেও তাঁদের অবদান কম নয়। এ ছাড়া স্বাধীনতাসংগ্রামসহ গত ৪০ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামেও রয়েছে শ্রমিকদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধাও ছিল এই স্কপ। শ্রমমন্ত্রী তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্প খাতের সমস্যাগুলো সমাধানে প্রয়াসী হবেন বলেই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments