ভারতের টেন্ডুলকার বিজয়াভিযান
শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দেখে বড় হয়েছেন। টেন্ডুলকারই ছিল ধ্যানজ্ঞান। সেই টেন্ডুলকারের সঙ্গে খেলবেন, এটা ছিল কল্পনাতীত। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির সময় অভিনন্দন জানাচ্ছেন সেই টেন্ডুলকারই, মুরালি বিজয়ের যেন অনেকটা ঘোরের মতো লাগে। টেন্ডুলকারের সঙ্গে এত লম্বা সময় ব্যাটিং করেছেন, বিজয় নাকি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না!
নিজেকে এমন এক উচ্চতায়ই নিয়ে গেছেন টেন্ডুলকার যে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দের চেয়ে তরুণ এক ক্রিকেটার বেশি রোমাঞ্চিত হচ্ছেন তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থাকতে পেরে! বিজয়ের প্রথম সেঞ্চুরি বলেই তাঁকে শুরুতে আনা, না হলে কালকের চিন্নাস্বামী তো শুধুই টেন্ডুলকারময়। কয়েক বছর ধরেই তিনি মাঠে নামা মানেই নানা রেকর্ড। এক গাদা রেকর্ড হলো আধুনিক ডনের ৪৯তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিনটিতেও। গড়েছেন টেস্টে সবচেয়ে বেশি দেড় শতাধিক রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড, পেছনে ফেলেছেন একসময়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রায়ান লারাকে (১৯)। এই ২০টি দেড় শ রানের ইনিংসের ৬টিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, যেটি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছুঁয়েছেন ৩ হাজার রান। বিজয়ের সঙ্গে তাঁর ৩০৮ রানের জুটিটি তৃতীয় উইকেটে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সর্বোচ্চ, সব জুটি মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
কাল দিনের প্রথম তিন বলের দুটি চার মেরে লিটল মাস্টার বুঝিয়ে দেন দিনটা হতে যাচ্ছে তাঁরই। সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম সেশনেই। ৯৩ থেকে হরিজকে ছয় মেরে করেছিলেন ৯৯। পরের ওভারে অল্পের জন্য ব্যাটের কানা ছোঁয়নি জনসনের একটি ডেলিভারি। পরের ওভারে আবারও পেলেন হরিজকে, বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে পৌঁছে গেছেন ৪৯তম সেঞ্চুরিতে। এই নিয়ে টেস্ট ক্যারিযারে পাঁচবার ছয় মেরে সেঞ্চুরি পেলেন টেন্ডুলকার।
আরেক পাশে আস্থার প্রতীক হয়ে ছিলেন বিজয়। দলে নিয়মিত হলেও একাদশে সুযোগ মেলে নিয়মিত ওপেনাররা কেউ চোট পেলে। কিন্তু একাদশে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা যে তাঁর আছে, বুঝিয়ে দিলেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরির কাছাকাছিই গিয়ে শুধু একটু গুটিয়ে গিয়েছিলেন। ৮৯ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন, ৯১ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে লেগেছে ৩৪ বল। এটুকু ছাড়া পুরো ইনিংসটাই ছিল দারুণ। টেন্ডুলকার-বিজয়ের দৃঢ়তায় প্রথম দুই সেশনে উইকেটেরই দেখা পায়নি অস্ট্রলিয়া।
ভারতীয়দের জন্য দুর্দান্ত এক দিনে ভাগ্য সহায় হয়নি শুধু অভিষিক্ত চেতেশ্বর পূজারার। বিজয় আউট হওয়ার পর উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই দারুণ এক চার মেরেছিলেন। কিন্তু পরের বলটি এত নিচু হয়ে যায় যে, ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। এলবিডব্লু হয়ে যান।
নিজেকে এমন এক উচ্চতায়ই নিয়ে গেছেন টেন্ডুলকার যে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির আনন্দের চেয়ে তরুণ এক ক্রিকেটার বেশি রোমাঞ্চিত হচ্ছেন তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থাকতে পেরে! বিজয়ের প্রথম সেঞ্চুরি বলেই তাঁকে শুরুতে আনা, না হলে কালকের চিন্নাস্বামী তো শুধুই টেন্ডুলকারময়। কয়েক বছর ধরেই তিনি মাঠে নামা মানেই নানা রেকর্ড। এক গাদা রেকর্ড হলো আধুনিক ডনের ৪৯তম টেস্ট সেঞ্চুরির দিনটিতেও। গড়েছেন টেস্টে সবচেয়ে বেশি দেড় শতাধিক রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড, পেছনে ফেলেছেন একসময়ের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রায়ান লারাকে (১৯)। এই ২০টি দেড় শ রানের ইনিংসের ৬টিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, যেটি ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। ইতিহাসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছুঁয়েছেন ৩ হাজার রান। বিজয়ের সঙ্গে তাঁর ৩০৮ রানের জুটিটি তৃতীয় উইকেটে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সর্বোচ্চ, সব জুটি মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
কাল দিনের প্রথম তিন বলের দুটি চার মেরে লিটল মাস্টার বুঝিয়ে দেন দিনটা হতে যাচ্ছে তাঁরই। সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম সেশনেই। ৯৩ থেকে হরিজকে ছয় মেরে করেছিলেন ৯৯। পরের ওভারে অল্পের জন্য ব্যাটের কানা ছোঁয়নি জনসনের একটি ডেলিভারি। পরের ওভারে আবারও পেলেন হরিজকে, বল গ্যালারিতে পাঠিয়ে পৌঁছে গেছেন ৪৯তম সেঞ্চুরিতে। এই নিয়ে টেস্ট ক্যারিযারে পাঁচবার ছয় মেরে সেঞ্চুরি পেলেন টেন্ডুলকার।
আরেক পাশে আস্থার প্রতীক হয়ে ছিলেন বিজয়। দলে নিয়মিত হলেও একাদশে সুযোগ মেলে নিয়মিত ওপেনাররা কেউ চোট পেলে। কিন্তু একাদশে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা যে তাঁর আছে, বুঝিয়ে দিলেন এই টেস্টেই। সেঞ্চুরির কাছাকাছিই গিয়ে শুধু একটু গুটিয়ে গিয়েছিলেন। ৮৯ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন, ৯১ থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে লেগেছে ৩৪ বল। এটুকু ছাড়া পুরো ইনিংসটাই ছিল দারুণ। টেন্ডুলকার-বিজয়ের দৃঢ়তায় প্রথম দুই সেশনে উইকেটেরই দেখা পায়নি অস্ট্রলিয়া।
ভারতীয়দের জন্য দুর্দান্ত এক দিনে ভাগ্য সহায় হয়নি শুধু অভিষিক্ত চেতেশ্বর পূজারার। বিজয় আউট হওয়ার পর উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই দারুণ এক চার মেরেছিলেন। কিন্তু পরের বলটি এত নিচু হয়ে যায় যে, ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। এলবিডব্লু হয়ে যান।
No comments