কাশ্মীর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার দাবি আলেমদের
ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দ শহরের আলেমদের প্রভাবশালী সংগঠন জামিয়াত-উলেমা-ই-হিন্দ (জেইউএইচ) জম্মু ও কাশ্মীরের বেসামরিক এলাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রত্যাহারের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ওই এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়ারও দাবি জানান সংগঠনটির আলেমরা। তাঁরা বলেছেন, ভারতের সঙ্গেই জন্মু ও কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ, পাকিস্তানের সঙ্গে নয়।
গত রোববার দেওবন্দে অনুষ্ঠিত কাশ্মীর সম্মেলনে এসব দাবি জানান সেখানকার আলেমরা। জেইউএইচ তাদের সম্মেলনে এবারই প্রথম কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। সম্মেলনে কাশ্মীর বিষয়ে ১১ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভ দমনে নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে সহিংসতা ভুলে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে যোগ দেওয়া আলেমরা বলেন, ‘ভারতের অন্যান্য মুসলিম নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে কাশ্মীরের মুসলিম নাগরিকদের স্বার্থ আমরা আলাদা করে দেখি না।’ কাশ্মীরে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে তাঁরা অন্যান্য সমমনা মুসলিম সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যাঁরা কাশ্মীরের বিভেদ চায়, সেসব শত্রুদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন তাঁরা।
জেইউএইচ একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করবে এই কমিশন। হারিয়ে যাওয়া ও নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার কাশ্মীরি কিশোর-তরুণদের খুঁজে বের করবে তারা। আলেমদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জননিরাপত্তা আইন বাতিল ও কাশ্মীরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ লাভ নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
কাশ্মীরের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ চালু রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আলেমরা। সংবিধানের কাঠামোর ভেতর থেকে সমস্যা নিরসনে অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।
এত দিন তাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন কেন—সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কামাল ফারুকি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করা মুসলিমদের জন্য স্বস্তিকর নয়। এসব নিয়ে আলোচনা করলে বিশেষভাবে চিহ্নিত এবং পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে।
ফারুকি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর বা অযোধ্যার ব্যাপারে আপসকামী মনোভাব রয়েছে দেশের। কাজেই ভারতীয় সংবিধানে থাকা বিধিগুলো মীমাংসার উপায় বাতলাবে। কাশ্মীরের ব্যাপক জনগোষ্ঠীও তা-ই চায়। কোনো বোকা পাকিস্তানের সঙ্গে যেতে চায়?
গত রোববার দেওবন্দে অনুষ্ঠিত কাশ্মীর সম্মেলনে এসব দাবি জানান সেখানকার আলেমরা। জেইউএইচ তাদের সম্মেলনে এবারই প্রথম কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে। সম্মেলনে কাশ্মীর বিষয়ে ১১ দফা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এতে জম্মু ও কাশ্মীরে বিক্ষোভ দমনে নেওয়া বিভিন্ন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করা হয়। একই সঙ্গে সহিংসতা ভুলে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে যোগ দেওয়া আলেমরা বলেন, ‘ভারতের অন্যান্য মুসলিম নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে কাশ্মীরের মুসলিম নাগরিকদের স্বার্থ আমরা আলাদা করে দেখি না।’ কাশ্মীরে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হতে তাঁরা অন্যান্য সমমনা মুসলিম সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যাঁরা কাশ্মীরের বিভেদ চায়, সেসব শত্রুদের প্রতিহত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন তাঁরা।
জেইউএইচ একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করবে এই কমিশন। হারিয়ে যাওয়া ও নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার কাশ্মীরি কিশোর-তরুণদের খুঁজে বের করবে তারা। আলেমদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জননিরাপত্তা আইন বাতিল ও কাশ্মীরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ লাভ নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
কাশ্মীরের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ চালু রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আলেমরা। সংবিধানের কাঠামোর ভেতর থেকে সমস্যা নিরসনে অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।
এত দিন তাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন কেন—সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কামাল ফারুকি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করা মুসলিমদের জন্য স্বস্তিকর নয়। এসব নিয়ে আলোচনা করলে বিশেষভাবে চিহ্নিত এবং পুলিশ ও গোয়েন্দাদের হাতে হয়রানির আশঙ্কা রয়েছে।
ফারুকি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর বা অযোধ্যার ব্যাপারে আপসকামী মনোভাব রয়েছে দেশের। কাজেই ভারতীয় সংবিধানে থাকা বিধিগুলো মীমাংসার উপায় বাতলাবে। কাশ্মীরের ব্যাপক জনগোষ্ঠীও তা-ই চায়। কোনো বোকা পাকিস্তানের সঙ্গে যেতে চায়?
No comments