জয়ের ভেতর আরও জয়
হাত আর পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দর্শক হয়ে আছেন তামিম ইকবাল-মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাচ শেষে ভিআইপি গ্যালারিতে অটোগ্রাফশিকারিদের জটলায় পড়ে না গেলে বোঝাই যেত না কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ আশরাফুলও ছিলেন। এই তিন ক্রিকেটারকেই মাঠের বাইরে রেখে বাংলাদেশ কত সহজেই না আরেকবার হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকে!
কোচ জেমি সিডন্স কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ার কথাটা বারবার বলেন। মাশরাফি, আশরাফুল ও তামিমকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে কিছুটা তৃপ্ত তিনি হতেই পারেন তাই। দল মাঠ ছাড়ার আগেই কোনো এক ফাঁকে হোটেলে ফিরে যাওয়ায় কাল কোচের মুখ থেকে তৃপ্তির কথাটা শোনা যায়নি। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, এমন বাংলাদেশ দলেরই স্বপ্ন দেখেন তাঁরা, ‘ড্রেসিংরুমে আমিও এটা নিয়ে ভেবেছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়লে সবাই আরও ভালো খেলার চিন্তা করবে। বড় দলগুলোয় বাইরেও অনেক ভালো ক্রিকেটার থাকে, যেটা আমাদের কিছুদিন আগেও ছিল না। এখন দলে কাউকে আনলেই সে ভালো খেলছে।’
‘ভালোর কোনো শেষ নেই’ কথাটা ভালো খেলার পরও অতৃপ্তির হাহাকার রেখে দেয়। দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেই ‘আরও ভালো’র ডাক দিছে উচ্চকণ্ঠে। ইমরুল কয়েসের সঙ্গে ১২৭ রানের ওপেনিং জুটি আর নিজে ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পরও তাই শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়কের অতৃপ্তি, ‘আবির ভাই (শাহরিয়ার) খুবই ভালো ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু ভালো একটা পরিকল্পনা করে নিলে উনি ১০০ করতে পারতেন। ৯৯ করা এক জিনিস আর ১০০ করা আরেক জিনিস। সেটা ওনাকে পরের ম্যাচের জন্য আরও উজ্জীবিত করত।’
১০ উইকেটে জেতার পরিস্থিতি থেকে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জয়, শেষ পাওয়ার প্লের বাজে বোলিং—এ রকম আরও কিছু অতৃপ্তিও ভিড় করেছে ২-০-তে এগিয়ে যাওয়ার দিন শেষে। তবে শেষ পর্যন্ত দিনটা জয়ের, যে দিনটার শেষে সিরিজ জয়ের স্বপ্নেরও আনাগোনা অধিনায়কের চোখে, ‘৪-০-তে সিরিজ অবশ্যই জেতা সম্ভব। কেন সম্ভব না? আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। তবে এটাই আমাদের সেরা খেলা নয়। এর চেয়েও ভালো ব্যাটিং-বোলিং করার সামর্থ্য আছে আমাদের। সেটা করতে পারলে ৪-০-তে সিরিজ জয় অবশ্যই সম্ভব।’
পর পর দুই ম্যাচ জিতে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। নিজেদের ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে পরিচিত কন্ডিশনের সুবিধাটাকেও এই সাফল্যের প্রভাবক বলছেন অধিনায়ক, ‘নিজেদের মাটিতে গত কয়েকটা সিরিজেই আমরা ভালো খেলছি। উইকেট থেকে বেশি সুবিধা না পেলেও কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারছি। গরমটা আমাদের চেয়ে ওদেরই (নিউজিল্যান্ড) সমস্যায় ফেলছে বেশি। এ ছাড়া এক মাস ধরে আমরা মিরপুরে অনুশীলন করেছি। এগুলো অবশ্যই সাহায্য করেছে।’
ভেট্টোরি শুরু থেকেই বলছেন সাকিব তাঁদের জন্য বড় হুমকি এবং সাকিবও তখন থেকেই বলে আসছেন, তাঁর ভাবনাটা ঠিক এ রকম নয়। দল হিসেবে ভালো খেলাটাই বরং বড়। সেটা বাংলাদেশ খেলছেও এই সিরিজে। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টের কথা বলতে গিয়েও সাকিব বললেন সেটাই, ‘সুহাস (শফিউল) প্রথম ওভারেই ম্যাককালামের উইকেট নিয়েছে, ওটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ ছাড়া আমরা তিন স্পিনারই ভালো বল করেছি। প্রথম ১০ ওভারে কম রানে আটকে রাখতে পারলে মাঝের ওভারগুলোয় এসে ওদের পক্ষে খেলা কঠিন হয়ে যায়। সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
সান্ত্বনা-টান্তনার ব্যাপারগুলোয় বাংলাদেশ ‘প্রাপক’ই হয়ে থাকে সব সময়। জেতার পরও প্রতিপক্ষ সৌজন্য দেখিয়ে বলে ‘বাংলাদেশ ভালো দল’। এবার ওলটপালট হলো এই জায়গাটিতেও। বাংলাদেশে ‘বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতি’ নিতে আসা নিউজিল্যান্ড দল সম্পর্কে সাকিবের মূল্যায়ন, ‘ওদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার অনভিজ্ঞ। তবে ভেট্টোরি, ম্যাককালাম, রাইডার আর টেলর..এই চারজন আছে অভিজ্ঞ। তার পরও আমি বলব দলটা খারাপ না। জিততে হলে ওদের সবাইকেই আউট করতে হবে।’
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও জিতলেন বোধ হয় সাকিবই।
কোচ জেমি সিডন্স কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ার কথাটা বারবার বলেন। মাশরাফি, আশরাফুল ও তামিমকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে কিছুটা তৃপ্ত তিনি হতেই পারেন তাই। দল মাঠ ছাড়ার আগেই কোনো এক ফাঁকে হোটেলে ফিরে যাওয়ায় কাল কোচের মুখ থেকে তৃপ্তির কথাটা শোনা যায়নি। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, এমন বাংলাদেশ দলেরই স্বপ্ন দেখেন তাঁরা, ‘ড্রেসিংরুমে আমিও এটা নিয়ে ভেবেছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়লে সবাই আরও ভালো খেলার চিন্তা করবে। বড় দলগুলোয় বাইরেও অনেক ভালো ক্রিকেটার থাকে, যেটা আমাদের কিছুদিন আগেও ছিল না। এখন দলে কাউকে আনলেই সে ভালো খেলছে।’
‘ভালোর কোনো শেষ নেই’ কথাটা ভালো খেলার পরও অতৃপ্তির হাহাকার রেখে দেয়। দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা সেই ‘আরও ভালো’র ডাক দিছে উচ্চকণ্ঠে। ইমরুল কয়েসের সঙ্গে ১২৭ রানের ওপেনিং জুটি আর নিজে ৭৩ রানের ইনিংস খেলার পরও তাই শাহরিয়ার নাফীসের ব্যাটিং নিয়ে অধিনায়কের অতৃপ্তি, ‘আবির ভাই (শাহরিয়ার) খুবই ভালো ব্যাটিং করেছেন। কিন্তু ভালো একটা পরিকল্পনা করে নিলে উনি ১০০ করতে পারতেন। ৯৯ করা এক জিনিস আর ১০০ করা আরেক জিনিস। সেটা ওনাকে পরের ম্যাচের জন্য আরও উজ্জীবিত করত।’
১০ উইকেটে জেতার পরিস্থিতি থেকে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জয়, শেষ পাওয়ার প্লের বাজে বোলিং—এ রকম আরও কিছু অতৃপ্তিও ভিড় করেছে ২-০-তে এগিয়ে যাওয়ার দিন শেষে। তবে শেষ পর্যন্ত দিনটা জয়ের, যে দিনটার শেষে সিরিজ জয়ের স্বপ্নেরও আনাগোনা অধিনায়কের চোখে, ‘৪-০-তে সিরিজ অবশ্যই জেতা সম্ভব। কেন সম্ভব না? আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলছি। তবে এটাই আমাদের সেরা খেলা নয়। এর চেয়েও ভালো ব্যাটিং-বোলিং করার সামর্থ্য আছে আমাদের। সেটা করতে পারলে ৪-০-তে সিরিজ জয় অবশ্যই সম্ভব।’
পর পর দুই ম্যাচ জিতে উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। নিজেদের ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে পরিচিত কন্ডিশনের সুবিধাটাকেও এই সাফল্যের প্রভাবক বলছেন অধিনায়ক, ‘নিজেদের মাটিতে গত কয়েকটা সিরিজেই আমরা ভালো খেলছি। উইকেট থেকে বেশি সুবিধা না পেলেও কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারছি। গরমটা আমাদের চেয়ে ওদেরই (নিউজিল্যান্ড) সমস্যায় ফেলছে বেশি। এ ছাড়া এক মাস ধরে আমরা মিরপুরে অনুশীলন করেছি। এগুলো অবশ্যই সাহায্য করেছে।’
ভেট্টোরি শুরু থেকেই বলছেন সাকিব তাঁদের জন্য বড় হুমকি এবং সাকিবও তখন থেকেই বলে আসছেন, তাঁর ভাবনাটা ঠিক এ রকম নয়। দল হিসেবে ভালো খেলাটাই বরং বড়। সেটা বাংলাদেশ খেলছেও এই সিরিজে। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টের কথা বলতে গিয়েও সাকিব বললেন সেটাই, ‘সুহাস (শফিউল) প্রথম ওভারেই ম্যাককালামের উইকেট নিয়েছে, ওটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ ছাড়া আমরা তিন স্পিনারই ভালো বল করেছি। প্রথম ১০ ওভারে কম রানে আটকে রাখতে পারলে মাঝের ওভারগুলোয় এসে ওদের পক্ষে খেলা কঠিন হয়ে যায়। সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
সান্ত্বনা-টান্তনার ব্যাপারগুলোয় বাংলাদেশ ‘প্রাপক’ই হয়ে থাকে সব সময়। জেতার পরও প্রতিপক্ষ সৌজন্য দেখিয়ে বলে ‘বাংলাদেশ ভালো দল’। এবার ওলটপালট হলো এই জায়গাটিতেও। বাংলাদেশে ‘বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতি’ নিতে আসা নিউজিল্যান্ড দল সম্পর্কে সাকিবের মূল্যায়ন, ‘ওদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার অনভিজ্ঞ। তবে ভেট্টোরি, ম্যাককালাম, রাইডার আর টেলর..এই চারজন আছে অভিজ্ঞ। তার পরও আমি বলব দলটা খারাপ না। জিততে হলে ওদের সবাইকেই আউট করতে হবে।’
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও জিতলেন বোধ হয় সাকিবই।
No comments