ফুটবলে পাঁচ বিদেশির পক্ষে-বিপক্ষে
বিদেশি ফুটবলারের কোটা নিয়ে দেশে অনেকবারই অনেক রকম সিদ্ধান্ত হয়েছে। কখনো বন্ধ, কখনো দুজন, কখনো তিনজন....একসময় সংখ্যাটা পাঁচও ছিল। আগামী বাংলাদেশ লিগে বিদেশি ফুটবলারের কোটা বেড়ে আবার ৫ জন হয়ে গেছে!
একটা অভিনবত্ব আছে বাফুফের নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে। একটি দল ৫ খেলোয়াড় খেলাতে পারবে, তবে একজন হতে হবে গোলরক্ষক। গোলরক্ষক না খেলালে সর্বোচ্চ ৪ জন খেলানো যাবে। নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৫-১৬ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে নেওয়ায় ‘সংকটে’ পড়েছে আবাহনী-মোহামেডান। তার ওপর মুক্তিযোদ্ধাও ভালো দল গড়ছে। দুই প্রধান পড়ে গেছে আরও বেকায়দায়। অনেকে বলছেন, বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা বাড়িয়ে আবাহনী-মোহামেডানের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাফুফে। কিন্তু দেশের ফুটবলের জন্য কি এটি ভালো হলো?
মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ভূঁইয়া প্রশ্ন শুনে বললেন, ‘আমরাই তো চেয়েছি বিদেশি খেলোয়াড় বাড়াতে।’ তাঁর যুক্তি, ‘শেখ জামাল ও মুক্তিযোদ্ধা টিম করার পর খেলোয়াড়ই তো নেই, আমরা কাদের নিয়ে মাঠে নামব? মোহামেডানের মতো দল ১১ জন খেলোয়াড় খুঁজে পায় না মাঠে নামাতে! এই অবস্থায় বিদেশি না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। আমি বলব, শেখ জামালের উচিত হয়নি প্রায় সব খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়া। তাহলে এই অবস্থাটা হতো না।’
আবাহনীরও একই মত। দেশে মানসম্মত খেলোয়াড় কমে গেছে দাবি করে বিদেশি খেলোয়াড় বাড়ানোটাকে যৌক্তিকই বলছে দলটি। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাসের (রুপু) বক্তব্য, ‘এটার ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের বসে থাকা তো দেশের ফুটবলের জন্য ক্ষতিকারকই। কিন্তু অন্যদিকে দেখুন, দেশি খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বিদেশিদের সঙ্গে। তবে গোলরক্ষক খেলানোর সিদ্ধান্তটা মানতে পারছি না আমরা। ১২ দলে ১২ বিদেশি গোলরক্ষক খেললে দেশ থেকে গোলরক্ষকই তো হারিয়ে যাবে!’
গত পরশু ক্লাবে ২১ জন বিদেশিকে ট্রায়ালে ডেকেছিল যে ব্রাদার্স, সেই দলের ম্যানেজার আমের খান বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা বাড়ানোর বিপক্ষে, ‘আমাদের ফুটবলে এখন মানসম্মত খেলোয়াড়ের খুব অভাব। এখনকার বিদেশিরা হয়তো আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে দৈহিক শক্তিতে এগিয়ে। কিন্তু টেকনিক্যালি কোনো পার্থক্য নেই। শুনেছি, স্থানীয় খেলোয়াড়ের হাট বসানোর পরও শেখ জামাল ৪ জন বিদেশি আনছে। এমন হলে তো আমাদের অনেক খেলোয়াড় হারিয়ে যাবে।’
এই উপলব্ধিটা সবারই কমবেশি আছে। আবাহনী-মোহামেডান হয়তো পরিস্থিতির দায় মেটাতে এর পক্ষেই। কিন্তু খেলোয়াড়েরা এর বিপক্ষে। আমিনুল যেমন বললেন, ‘৫ জনের বিদেশি কোটা মোটেও ঠিক হয়নি। এমনিতেই দেশে খেলোয়াড়-সংকট, তার ওপর বিদেশি বাড়ালে খেলোয়াড় উঠে আসবে না। স্থানীয়রা বসে থাকবে, যা ফুটবলের জন্য শুভ নয়।’
তরুণ ওয়ালি ফয়সাল একরকম অনুনয়ই করলেন বাফুফের কাছে, ‘দয়া করে বিদেশি কোটা কমিয়ে দিন। প্রতি দলে ৫ জন করে বিদেশি খেললে ১২ দলে ৬০ জন স্থানীয় খেলোয়াড় বসে থাকবে। একজন খেলোয়াড় বসে থাকা মানে তার ক্যারিয়ারটাই হুমকিতে পড়বে। বিদেশি কোটা সর্বোচ্চ ২ জন হতে পারে।’
মুক্তিযোদ্ধার কোচ মারুফুল হকও এটি মানতে পারছেন না, ‘আমি মোটেও ৫ জন বিদেশি সমর্থন করি না। দেশে খেলোয়াড়-সংকট হলে গতবার কীভাবে খেলা হলো? সিদ্ধান্তটা মোটেও ভালো হয়নি।’ তবে মোহামেডানের কোচ শফিকুল ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি দুই ভূমিকাতে দুই রকম, ‘সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমি বিদেশি ফুটবলার কোটা বাড়ানোর পক্ষে নই। বড়জোর ২-৩ জন বিদেশি হতে পারে। তবে কোচ হিসেবে আমি তো বিদেশি ফুটবলার পাওয়ার সুবিধাটা নিতেই চাইব।’
বাইরে থেকে সব দেখে জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু বলছেন, ‘আমার মনে হয় না এটা ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
একটা অভিনবত্ব আছে বাফুফের নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তে। একটি দল ৫ খেলোয়াড় খেলাতে পারবে, তবে একজন হতে হবে গোলরক্ষক। গোলরক্ষক না খেলালে সর্বোচ্চ ৪ জন খেলানো যাবে। নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৫-১৬ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে নেওয়ায় ‘সংকটে’ পড়েছে আবাহনী-মোহামেডান। তার ওপর মুক্তিযোদ্ধাও ভালো দল গড়ছে। দুই প্রধান পড়ে গেছে আরও বেকায়দায়। অনেকে বলছেন, বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা বাড়িয়ে আবাহনী-মোহামেডানের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাফুফে। কিন্তু দেশের ফুটবলের জন্য কি এটি ভালো হলো?
মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেন ভূঁইয়া প্রশ্ন শুনে বললেন, ‘আমরাই তো চেয়েছি বিদেশি খেলোয়াড় বাড়াতে।’ তাঁর যুক্তি, ‘শেখ জামাল ও মুক্তিযোদ্ধা টিম করার পর খেলোয়াড়ই তো নেই, আমরা কাদের নিয়ে মাঠে নামব? মোহামেডানের মতো দল ১১ জন খেলোয়াড় খুঁজে পায় না মাঠে নামাতে! এই অবস্থায় বিদেশি না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। আমি বলব, শেখ জামালের উচিত হয়নি প্রায় সব খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়া। তাহলে এই অবস্থাটা হতো না।’
আবাহনীরও একই মত। দেশে মানসম্মত খেলোয়াড় কমে গেছে দাবি করে বিদেশি খেলোয়াড় বাড়ানোটাকে যৌক্তিকই বলছে দলটি। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাসের (রুপু) বক্তব্য, ‘এটার ভালো-মন্দ দুটি দিক আছে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের বসে থাকা তো দেশের ফুটবলের জন্য ক্ষতিকারকই। কিন্তু অন্যদিকে দেখুন, দেশি খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে বিদেশিদের সঙ্গে। তবে গোলরক্ষক খেলানোর সিদ্ধান্তটা মানতে পারছি না আমরা। ১২ দলে ১২ বিদেশি গোলরক্ষক খেললে দেশ থেকে গোলরক্ষকই তো হারিয়ে যাবে!’
গত পরশু ক্লাবে ২১ জন বিদেশিকে ট্রায়ালে ডেকেছিল যে ব্রাদার্স, সেই দলের ম্যানেজার আমের খান বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা বাড়ানোর বিপক্ষে, ‘আমাদের ফুটবলে এখন মানসম্মত খেলোয়াড়ের খুব অভাব। এখনকার বিদেশিরা হয়তো আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে দৈহিক শক্তিতে এগিয়ে। কিন্তু টেকনিক্যালি কোনো পার্থক্য নেই। শুনেছি, স্থানীয় খেলোয়াড়ের হাট বসানোর পরও শেখ জামাল ৪ জন বিদেশি আনছে। এমন হলে তো আমাদের অনেক খেলোয়াড় হারিয়ে যাবে।’
এই উপলব্ধিটা সবারই কমবেশি আছে। আবাহনী-মোহামেডান হয়তো পরিস্থিতির দায় মেটাতে এর পক্ষেই। কিন্তু খেলোয়াড়েরা এর বিপক্ষে। আমিনুল যেমন বললেন, ‘৫ জনের বিদেশি কোটা মোটেও ঠিক হয়নি। এমনিতেই দেশে খেলোয়াড়-সংকট, তার ওপর বিদেশি বাড়ালে খেলোয়াড় উঠে আসবে না। স্থানীয়রা বসে থাকবে, যা ফুটবলের জন্য শুভ নয়।’
তরুণ ওয়ালি ফয়সাল একরকম অনুনয়ই করলেন বাফুফের কাছে, ‘দয়া করে বিদেশি কোটা কমিয়ে দিন। প্রতি দলে ৫ জন করে বিদেশি খেললে ১২ দলে ৬০ জন স্থানীয় খেলোয়াড় বসে থাকবে। একজন খেলোয়াড় বসে থাকা মানে তার ক্যারিয়ারটাই হুমকিতে পড়বে। বিদেশি কোটা সর্বোচ্চ ২ জন হতে পারে।’
মুক্তিযোদ্ধার কোচ মারুফুল হকও এটি মানতে পারছেন না, ‘আমি মোটেও ৫ জন বিদেশি সমর্থন করি না। দেশে খেলোয়াড়-সংকট হলে গতবার কীভাবে খেলা হলো? সিদ্ধান্তটা মোটেও ভালো হয়নি।’ তবে মোহামেডানের কোচ শফিকুল ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি দুই ভূমিকাতে দুই রকম, ‘সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমি বিদেশি ফুটবলার কোটা বাড়ানোর পক্ষে নই। বড়জোর ২-৩ জন বিদেশি হতে পারে। তবে কোচ হিসেবে আমি তো বিদেশি ফুটবলার পাওয়ার সুবিধাটা নিতেই চাইব।’
বাইরে থেকে সব দেখে জাতীয় দলের সাবেক কোচ গোলাম সারোয়ার টিপু বলছেন, ‘আমার মনে হয় না এটা ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
No comments