ইরানি স্পিকার বললেন ওবামা ‘বিশ্ব খলনায়ক’
গণতন্ত্রের প্রতি ইরানি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে তেহরান। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার বারাক ওবামাকে ‘বিশ্ব খলনায়ক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইরানের স্পিকার আলী লারিজানির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আইএসএনএ বলেছে, ‘ওবামার কী স্পর্ধা যে তিনি ইরানকে সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছেন? তাঁর এটা জানা উচিত যে তিনি একজন বিশ্ব খলনায়ক।’
আলী লারিজানি আরও বলেছেন, ‘মার্কিনরা যা করছে, তাতে “বিশ্ব শয়তানের পদক” পাওয়ার যোগ্য তারা।’ তিনি বলেন, ‘ওবামার জানা উচিত, তাঁর কোনো পরামর্শের দরকার নেই আমাদের। বরং দরকার, তিনি যা বলেন, তার ওপর বিশ্বাস স্থাপনের মতো সামর্থ্য অর্জন করা।’
ওবামা ইরান নিয়ে বিবিসির ফারসি ভাষার সার্ভিসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের এক দিন পরেই গত শনিবার আলী লারিজানি এসব কথা বলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক নিরসনে ইরানের জন্য কূটনৈতিক পথ এখনো খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান হোক, সেটাই আমরা চাই। আমি মনে করি, তাতে বরং ইরানেরই লাভ হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও লাভবান হবে।’ তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার এখনো সমাধান সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে এর জন্য ইরান সরকারের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
ইরানি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পক্ষে না বিপক্ষে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইরানি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে। যারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায় এবং মানবিক মর্যাদা অর্জনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায়, আমরা সব সময়ই তাদের সঙ্গে আছি।’
উল্লেখ্য, মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। আহমাদিনেজাদ পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ায় এই সম্পর্ক আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণদানকালে আহমাদিনেজাদ বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসতে রাজি তেহরান।
ইরানের স্পিকার আলী লারিজানির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আইএসএনএ বলেছে, ‘ওবামার কী স্পর্ধা যে তিনি ইরানকে সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছেন? তাঁর এটা জানা উচিত যে তিনি একজন বিশ্ব খলনায়ক।’
আলী লারিজানি আরও বলেছেন, ‘মার্কিনরা যা করছে, তাতে “বিশ্ব শয়তানের পদক” পাওয়ার যোগ্য তারা।’ তিনি বলেন, ‘ওবামার জানা উচিত, তাঁর কোনো পরামর্শের দরকার নেই আমাদের। বরং দরকার, তিনি যা বলেন, তার ওপর বিশ্বাস স্থাপনের মতো সামর্থ্য অর্জন করা।’
ওবামা ইরান নিয়ে বিবিসির ফারসি ভাষার সার্ভিসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের এক দিন পরেই গত শনিবার আলী লারিজানি এসব কথা বলেন।
ওই সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছিলেন, বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক নিরসনে ইরানের জন্য কূটনৈতিক পথ এখনো খোলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান হোক, সেটাই আমরা চাই। আমি মনে করি, তাতে বরং ইরানেরই লাভ হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও লাভবান হবে।’ তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার এখনো সমাধান সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে এর জন্য ইরান সরকারের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
ইরানি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের পক্ষে না বিপক্ষে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইরানি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে। যারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায় এবং মানবিক মর্যাদা অর্জনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায়, আমরা সব সময়ই তাদের সঙ্গে আছি।’
উল্লেখ্য, মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ২০০৫ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। আহমাদিনেজাদ পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ায় এই সম্পর্ক আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণদানকালে আহমাদিনেজাদ বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসতে রাজি তেহরান।
No comments