মাশরাফির চোখে বিশ্বকাপ
ফিল্ডিং কোচ, বোলিং কোচ এসে যাওয়ার পরও সামান্য একটা শূন্যতা ছিল অনুশীলনে। কাউন্টি ক্রিকেটের ব্যস্ততায় যে পাওয়া যাচ্ছিল না সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেই! দেশে ফিরে এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে সেই সাকিবও কাল যোগ দিলেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের অনুশীলনে। আপাতদৃষ্টিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজের মনে হলেও যে অনুশীলন শেষ পর্যন্ত মিশবে বিশ্বকাপের সড়কে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার চোখে অবশ্য ‘আপাতদৃষ্টি’ বলে কিছু নেই। অক্টোবরের নিউজিল্যান্ড সিরিজ বা ডিসেম্বরের জিম্বাবুয়ে সিরিজকেও ছাপিয়ে তাঁর চোখ গিয়ে পড়ছে বিশ্বকাপে। এই দুটি সিরিজকে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন অধিনায়ক, ‘সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট থাকলেও আমরা ভালো করেই জানি আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান কী। এখানে যেকোনো ক্রিকেটার এক শ মেরে দেয়, ৫-৭ উইকেট পেয়ে যায়। বিশ্বকাপের আগের এই দুটি সিরিজ তাই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ দুটিকে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বলতে পারেন।’ আসন্ন দুই সিরিজে তাই ভালো খেলার বিকল্প দেখছেন না মাশরাফি, ‘সর্বস্ব দিয়ে খেলতে হবে। ভালো খেলে আত্মবিশ্বাসটাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেন শুধু আয়ারল্যান্ড বা স্কটল্যান্ডের দিকে না তাকিয়ে আমরা ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকাকেও (বিশ্বকাপে) হারাতে পারি।’
বিশ্বকাপের আগের ছয় মাস কোনো বিদেশ সফর করতে হচ্ছে না, এটাকেও একটা প্লাস পয়েন্ট মানছেন অধিনায়ক। খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে এটা সাহায্য করবে বলে তাঁর ধারণা, ‘গত বছর আমরা খুব বেশি ক্রিকেট খেলেছি। শেষের দিকে পারফরম্যান্স খারাপ করার এটা একটা কারণ। আমরা এখনো এতটা পেশাদার নই যে টানা ৫-৬ মাস পরিবারকে ছেড়ে থাকতে পারব। বিশ্বকাপের আগে আমরা শুধু হোম সিরিজ খেলব, সবাই পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারবে। এটা আমাদের মানসিকভাবে চাঙা রাখবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ শুরু আগামী ৫ অক্টোবর। নিউজিল্যান্ড দল চলে আসছে আগামীকাল রাতেই। তার আগে মাশরাফি জানালেন অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা। বোলিং কোচ অনুশীলনের শেষ দিকে যোগ দেওয়ায় পেস বোলাররা এই সিরিজেই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গেলেও ব্যাটিং-ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ আশাবাদী অধিনায়ক, ‘ফিল্ডিংয়ে চাইলে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করা যায় এবং এখানে আমাদের নিউজিল্যান্ড সিরিজেই ভালো করা উচিত। আর জেমি সিডন্স আসার পর ব্যাটিংয়ের অবস্থাও আগের চেয়ে অনেক ভালো। সিডন্স যেভাবে শিখিয়েছে তার ওপর আস্থা রেখে ব্যাটসম্যানরা কাজ করেছে, সেজন্য তারা ভালোও করছে।’
তবে মাশরাফি শুধু শেখায় বিশ্বাসী নন, শিক্ষাটা কাজে লাগানোই গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে, ‘যেটা শিখছি, সেটা যেন আসল সময়ে করতে পারি। এর জন্য আত্মবিশ্বাস দরকার। কোচরা সব বিষয়েই সমর্থন দিচ্ছেন। আমরাও নিজেরা নিজেদের সাহায্য করছি। এখন অপেক্ষা, ঠিকমতো ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করতে পারি কি না...।’
সিরিজের আগে দলের মধ্যে একটা ঘাটতিই দেখছেন মাশরাফি—তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি। তবে পরিবর্তক হিসেবে দলে আসা শাহরিয়ার নাফীসের ওপর যথেষ্টই আস্থা তাঁর, ‘তামিম বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। আমাদের মতো দলের জন্য এত বড় একজন খেলোয়াড়কে হারানো বিরাট ক্ষতি। তবে আমার পূর্ণ আস্থা আছে শাহরিয়ার নাফীসের ওপর। ও অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলেছে। ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে সবকিছুই চেনা তাঁর।’
উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলে আসা সাকিব কালই প্রথম যোগ দিলেন দলের সঙ্গে। নতুন কোচরা কেমন, অনুশীলন কেমন হচ্ছে সেসব নিয়ে তাই কোনো মন্তব্যে গেলেন না সহ-অধিনায়ক। তবে নিজের ব্যাপারে বললেন, কাউন্টির অভিজ্ঞতাটাই এখন তাঁর বড় আত্মবিশ্বাস, ‘কাউন্টিতে ভালো পারফর্ম করায় আত্মবিশ্বাস থাকবে। আর এই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে পারলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্যই ভালো কিছু করব।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার চোখে অবশ্য ‘আপাতদৃষ্টি’ বলে কিছু নেই। অক্টোবরের নিউজিল্যান্ড সিরিজ বা ডিসেম্বরের জিম্বাবুয়ে সিরিজকেও ছাপিয়ে তাঁর চোখ গিয়ে পড়ছে বিশ্বকাপে। এই দুটি সিরিজকে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন অধিনায়ক, ‘সামনে ঘরোয়া ক্রিকেট থাকলেও আমরা ভালো করেই জানি আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান কী। এখানে যেকোনো ক্রিকেটার এক শ মেরে দেয়, ৫-৭ উইকেট পেয়ে যায়। বিশ্বকাপের আগের এই দুটি সিরিজ তাই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ দুটিকে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বলতে পারেন।’ আসন্ন দুই সিরিজে তাই ভালো খেলার বিকল্প দেখছেন না মাশরাফি, ‘সর্বস্ব দিয়ে খেলতে হবে। ভালো খেলে আত্মবিশ্বাসটাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেন শুধু আয়ারল্যান্ড বা স্কটল্যান্ডের দিকে না তাকিয়ে আমরা ভারত বা দক্ষিণ আফ্রিকাকেও (বিশ্বকাপে) হারাতে পারি।’
বিশ্বকাপের আগের ছয় মাস কোনো বিদেশ সফর করতে হচ্ছে না, এটাকেও একটা প্লাস পয়েন্ট মানছেন অধিনায়ক। খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে চাঙা রাখতে এটা সাহায্য করবে বলে তাঁর ধারণা, ‘গত বছর আমরা খুব বেশি ক্রিকেট খেলেছি। শেষের দিকে পারফরম্যান্স খারাপ করার এটা একটা কারণ। আমরা এখনো এতটা পেশাদার নই যে টানা ৫-৬ মাস পরিবারকে ছেড়ে থাকতে পারব। বিশ্বকাপের আগে আমরা শুধু হোম সিরিজ খেলব, সবাই পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারবে। এটা আমাদের মানসিকভাবে চাঙা রাখবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ শুরু আগামী ৫ অক্টোবর। নিউজিল্যান্ড দল চলে আসছে আগামীকাল রাতেই। তার আগে মাশরাফি জানালেন অনুশীলন নিয়ে সন্তুষ্টির কথা। বোলিং কোচ অনুশীলনের শেষ দিকে যোগ দেওয়ায় পেস বোলাররা এই সিরিজেই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় না গেলেও ব্যাটিং-ফিল্ডিং নিয়ে দারুণ আশাবাদী অধিনায়ক, ‘ফিল্ডিংয়ে চাইলে খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করা যায় এবং এখানে আমাদের নিউজিল্যান্ড সিরিজেই ভালো করা উচিত। আর জেমি সিডন্স আসার পর ব্যাটিংয়ের অবস্থাও আগের চেয়ে অনেক ভালো। সিডন্স যেভাবে শিখিয়েছে তার ওপর আস্থা রেখে ব্যাটসম্যানরা কাজ করেছে, সেজন্য তারা ভালোও করছে।’
তবে মাশরাফি শুধু শেখায় বিশ্বাসী নন, শিক্ষাটা কাজে লাগানোই গুরুত্বপূর্ণ তাঁর কাছে, ‘যেটা শিখছি, সেটা যেন আসল সময়ে করতে পারি। এর জন্য আত্মবিশ্বাস দরকার। কোচরা সব বিষয়েই সমর্থন দিচ্ছেন। আমরাও নিজেরা নিজেদের সাহায্য করছি। এখন অপেক্ষা, ঠিকমতো ঠিক সময়ে ঠিক কাজটা করতে পারি কি না...।’
সিরিজের আগে দলের মধ্যে একটা ঘাটতিই দেখছেন মাশরাফি—তামিম ইকবালের অনুপস্থিতি। তবে পরিবর্তক হিসেবে দলে আসা শাহরিয়ার নাফীসের ওপর যথেষ্টই আস্থা তাঁর, ‘তামিম বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার। আমাদের মতো দলের জন্য এত বড় একজন খেলোয়াড়কে হারানো বিরাট ক্ষতি। তবে আমার পূর্ণ আস্থা আছে শাহরিয়ার নাফীসের ওপর। ও অনেক দিন বাংলাদেশ দলে খেলেছে। ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে সবকিছুই চেনা তাঁর।’
উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলে আসা সাকিব কালই প্রথম যোগ দিলেন দলের সঙ্গে। নতুন কোচরা কেমন, অনুশীলন কেমন হচ্ছে সেসব নিয়ে তাই কোনো মন্তব্যে গেলেন না সহ-অধিনায়ক। তবে নিজের ব্যাপারে বললেন, কাউন্টির অভিজ্ঞতাটাই এখন তাঁর বড় আত্মবিশ্বাস, ‘কাউন্টিতে ভালো পারফর্ম করায় আত্মবিশ্বাস থাকবে। আর এই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে পারলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্যই ভালো কিছু করব।’
No comments