বিদেশ থেকে পরমাণু প্রযুক্তি কিনতে পারবে ভারত
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গতকাল বুধবার সে দেশের বহুল আলোচিত পরমাণু বিলটি অনুমোদন করেছে। এ বিল অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিদেশি বেসরকারি পরমাণু প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ভারতের দেড় হাজার কোটি বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আণবিক শক্তি বাজারে ঢোকার সুযোগ সৃষ্টি হলো।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির একটি অংশ হচ্ছে এ পরমাণু বিল। বিলটি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে দীর্ঘ বিতর্কের পর সাংসদদের কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিলটি অনুমোদিত হয়েছে।
বিলটি অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বলেছেন, এ বিল অনুমোদনের ফলে তিন দশকের বিতর্কের অবসান হয়েছে। বিলটি ঝুলে থাকায় ভারত বিদেশ থেকে পরমাণু চুল্লি ও জ্বালানি কিনতে পারেনি। ভারত এখন তার পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচির আরও বিস্তৃতির জন্য অন্য আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যে অংশ নিতে পারবে।
বিলটি এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে। সেখানে বিলটি অনায়াসে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পর রাষ্ট্রপতি সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
১৯৭৪ সাল থেকে বিদেশ হতে ভারতের পরমাণু প্রযুক্তি ও জ্বালানি কেনা বন্ধ রয়েছে। নিজেদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষর না করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এ জটিলতার অবসান হয় দুই বছর আগে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঐতিহাসিক সেই পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। এ চুক্তির ফলে বিদেশ থেকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি আমদানির বিশেষ অধিকার পায় ভারত।
অনুমোদনের আগে বিলটিতে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে বিলের আলোচ্য ধারায় বলা হয়েছিল, বিদেশি কোনো কোম্পানি তখনই ক্ষতিপূরণ দেবে যদি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ‘ইচ্ছাকৃত’ বলে প্রমাণিত হয়। দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত কি না, তা প্রমাণ করা দুঃসাধ্য বলে এ বিলের বিরোধিতা করেছিল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এ ধারাটি পরিবর্তন করায় তাতে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। সংশোধিত ধারায় ‘ইচ্ছাকৃত’ প্রত্যয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজেপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট, সরকার বিজেপির দেওয়া পরামর্শ বিলে সংযোজন করেছে।’
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির একটি অংশ হচ্ছে এ পরমাণু বিল। বিলটি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পার্লামেন্টে দীর্ঘ বিতর্কের পর সাংসদদের কণ্ঠভোটের মাধ্যমে বিলটি অনুমোদিত হয়েছে।
বিলটি অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে বলেছেন, এ বিল অনুমোদনের ফলে তিন দশকের বিতর্কের অবসান হয়েছে। বিলটি ঝুলে থাকায় ভারত বিদেশ থেকে পরমাণু চুল্লি ও জ্বালানি কিনতে পারেনি। ভারত এখন তার পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচির আরও বিস্তৃতির জন্য অন্য আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যে অংশ নিতে পারবে।
বিলটি এখন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাঠানো হবে। সেখানে বিলটি অনায়াসে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পর রাষ্ট্রপতি সই করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
১৯৭৪ সাল থেকে বিদেশ হতে ভারতের পরমাণু প্রযুক্তি ও জ্বালানি কেনা বন্ধ রয়েছে। নিজেদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষর না করায় এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এ জটিলতার অবসান হয় দুই বছর আগে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঐতিহাসিক সেই পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। এ চুক্তির ফলে বিদেশ থেকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি আমদানির বিশেষ অধিকার পায় ভারত।
অনুমোদনের আগে বিলটিতে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে বিলের আলোচ্য ধারায় বলা হয়েছিল, বিদেশি কোনো কোম্পানি তখনই ক্ষতিপূরণ দেবে যদি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি ‘ইচ্ছাকৃত’ বলে প্রমাণিত হয়। দুর্ঘটনা ইচ্ছাকৃত কি না, তা প্রমাণ করা দুঃসাধ্য বলে এ বিলের বিরোধিতা করেছিল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এ ধারাটি পরিবর্তন করায় তাতে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। সংশোধিত ধারায় ‘ইচ্ছাকৃত’ প্রত্যয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজেপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‘আমরা খুবই সন্তুষ্ট, সরকার বিজেপির দেওয়া পরামর্শ বিলে সংযোজন করেছে।’
No comments