লর্ডসেই ফিরে এল পাকিস্তান
লর্ডসেই শুরু হয়েছিল। টেস্ট ক্রিকেটে অতিথি পাখি হয়ে ওঠা পাকিস্তান তাদের ইংল্যান্ড সফরে সাদা পোশাকের শেষ লড়াইয়ের জন্য ফিরে এল সেই লর্ডসেই। এর মধ্যে চরিত্র অনুযায়ী পাকিস্তান এক ম্যাচে ভরাডুবির পর পরের ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও দুটি লজ্জাবনত পরাজয়ের পর ওভালে স্নায়ুক্ষয়ী ৪ উইকেটের জয়। ফলে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ হয়ে উঠল সিরিজ নির্ধারণী। একতরফা থেকে রূপ বদলে এভাবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সিরিজ মীমাংসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে—কে জানত!
জানা উচিত ছিল। কারণ দলটার নাম পাকিস্তান। যে দলটি তাদের দেশের রাজনীতির চেয়েও অনেক বেশি অস্থিতিশীল। ৩৫৪ রান আর ৯ উইকেটের দুটি বিশাল জয় দিয়ে শুরু করেছিল যে ইংল্যান্ড, সেই তারাই আজ মাঠে নামার আগে জোর দিয়ে বলতে পারছে না, ‘আমরা জিতব’। বরং কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার জয়ের আগে বেঁধে দিলেন বেশ কিছু শর্ত। তার প্রথমটা অবশ্যই গত ওভাল টেস্টে মতো ব্যাটিং না করা। ‘এত ভালো কন্ডিশনে ২৩০ আর ২২০ রান করে টেস্ট জেতার আশা করা যায় না’—ইংল্যান্ড কোচের সাফ জবাব।
এই সিরিজের পরই ‘মহান’ অ্যাশেজ। এ বছর টানা ছয়টি টেস্ট জিতেছিল বলে এবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অ্যাশেজ জিতে আসার স্বপ্ন বুনেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ওভাল টেস্টটা মনে হচ্ছে বাস্তবতার মাটিতে নামিয়ে এনেছে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দলকে। লর্ডস টেস্টটা তাই হয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের যোগ্যতা পরিমাপের শেষ মঞ্চ—আদৌ পন্টিংদের ডেরায় গিয়ে দাঁত বসানোর শক্তি স্ট্রাউসদের আছে কি না।
সিরিজের ফলাফল অনুযায়ী ইংল্যান্ড অবশ্যই সুবিধাজনক অবস্থানে। ২-১-এ এগিয়ে থাকায় লর্ডস টেস্ট ড্র হলেও সিরিজ জিতবে তারাই। কিন্তু শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর দৃষ্টান্ত তো পাকিস্তান গড়ে দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের সিরিজেই।
ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তা তাই থেকেই যাচ্ছে। তাদের সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। এই সিরিজেই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপের ভঙ্গুরতা দেখা গেছে তিনটি টেস্টেই। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে পড়ে গিয়েছিল শেষ ৬ উইকেট, এজবাস্টনে ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট, গত ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে তো ৯৪ রানে ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছিল প্রথম ৭ উইকেট!
পাকিস্তানের দুশ্চিন্তার কেন্দ্রেও ব্যাটিং। এই সিরিজেই দুবার ৮০ ও ৭২ রানে অলআউট হয়েছে তারা। সিরিজে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ‘সফল’ ব্যাটসম্যানটির (আজহার আলী) মোট রান ১৩০, গড় মাত্র ২৬। পাকিস্তানের পক্ষে সিরিজে ১০০ রান আর আছে কেবল ইমরান ফারহাতের (১০৭)।
সিরিজে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছে তাদের বোলিং আক্রমণ। বোলাররাই বারবার ম্যাচে ফিরিয়েছেন দলকে। ওভালের জয়টাও বোলারদের সৌজন্যেই। মোহাম্মদ আসিফের নিরীহ পেসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুইং, আঠারোর উদ্ধত অহংকার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া মোহাম্মদ আমির, আরেক নতুন আবিষ্কার ওয়াহাব রিয়াজ...পেসার-ত্রয়ীর সঙ্গে দুসরা নিয়ে আছেন সাঈদ আজমল। এরই মধ্যে পাকিস্তানের জন্য ‘মধুর সমস্যা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে উমর গুলের ফিট হয়ে ওঠার ইঙ্গিত! গত দুই টেস্টে পঞ্চম বোলারের ব্যবহার পাকিস্তান করেছে যৎসামান্যই। ফলে গুল ফিট হয়ে উঠলেও দলে জায়গা কীভাবে ফিরে পান সেটাই এখন দেখার।
জানা উচিত ছিল। কারণ দলটার নাম পাকিস্তান। যে দলটি তাদের দেশের রাজনীতির চেয়েও অনেক বেশি অস্থিতিশীল। ৩৫৪ রান আর ৯ উইকেটের দুটি বিশাল জয় দিয়ে শুরু করেছিল যে ইংল্যান্ড, সেই তারাই আজ মাঠে নামার আগে জোর দিয়ে বলতে পারছে না, ‘আমরা জিতব’। বরং কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার জয়ের আগে বেঁধে দিলেন বেশ কিছু শর্ত। তার প্রথমটা অবশ্যই গত ওভাল টেস্টে মতো ব্যাটিং না করা। ‘এত ভালো কন্ডিশনে ২৩০ আর ২২০ রান করে টেস্ট জেতার আশা করা যায় না’—ইংল্যান্ড কোচের সাফ জবাব।
এই সিরিজের পরই ‘মহান’ অ্যাশেজ। এ বছর টানা ছয়টি টেস্ট জিতেছিল বলে এবার অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অ্যাশেজ জিতে আসার স্বপ্ন বুনেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ওভাল টেস্টটা মনে হচ্ছে বাস্তবতার মাটিতে নামিয়ে এনেছে অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের দলকে। লর্ডস টেস্টটা তাই হয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের যোগ্যতা পরিমাপের শেষ মঞ্চ—আদৌ পন্টিংদের ডেরায় গিয়ে দাঁত বসানোর শক্তি স্ট্রাউসদের আছে কি না।
সিরিজের ফলাফল অনুযায়ী ইংল্যান্ড অবশ্যই সুবিধাজনক অবস্থানে। ২-১-এ এগিয়ে থাকায় লর্ডস টেস্ট ড্র হলেও সিরিজ জিতবে তারাই। কিন্তু শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর দৃষ্টান্ত তো পাকিস্তান গড়ে দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের সিরিজেই।
ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তা তাই থেকেই যাচ্ছে। তাদের সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। এই সিরিজেই ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপের ভঙ্গুরতা দেখা গেছে তিনটি টেস্টেই। ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭ রানে পড়ে গিয়েছিল শেষ ৬ উইকেট, এজবাস্টনে ৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট, গত ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসে তো ৯৪ রানে ইংল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছিল প্রথম ৭ উইকেট!
পাকিস্তানের দুশ্চিন্তার কেন্দ্রেও ব্যাটিং। এই সিরিজেই দুবার ৮০ ও ৭২ রানে অলআউট হয়েছে তারা। সিরিজে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের ‘সফল’ ব্যাটসম্যানটির (আজহার আলী) মোট রান ১৩০, গড় মাত্র ২৬। পাকিস্তানের পক্ষে সিরিজে ১০০ রান আর আছে কেবল ইমরান ফারহাতের (১০৭)।
সিরিজে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছে তাদের বোলিং আক্রমণ। বোলাররাই বারবার ম্যাচে ফিরিয়েছেন দলকে। ওভালের জয়টাও বোলারদের সৌজন্যেই। মোহাম্মদ আসিফের নিরীহ পেসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুইং, আঠারোর উদ্ধত অহংকার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া মোহাম্মদ আমির, আরেক নতুন আবিষ্কার ওয়াহাব রিয়াজ...পেসার-ত্রয়ীর সঙ্গে দুসরা নিয়ে আছেন সাঈদ আজমল। এরই মধ্যে পাকিস্তানের জন্য ‘মধুর সমস্যা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে উমর গুলের ফিট হয়ে ওঠার ইঙ্গিত! গত দুই টেস্টে পঞ্চম বোলারের ব্যবহার পাকিস্তান করেছে যৎসামান্যই। ফলে গুল ফিট হয়ে উঠলেও দলে জায়গা কীভাবে ফিরে পান সেটাই এখন দেখার।
No comments