কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে বড় অনিয়মের অভিযোগ
ভারতে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমস ঘিরে ব্যাপক অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির একটি সরকারি নজরদারি সংস্থা। সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন (সিভিসি) নামের ওই সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গেমসের প্রস্তুতিকে ঘিরে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থার অনিয়মের নজির পেয়েছেন তাঁরা।
৩ থেকে ১৪ অক্টোবর কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এটি ভারতে এ পর্যন্ত আয়োজিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর।
সিভিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, গেমসের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সংস্থাটি ১৪টি প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পায়। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘গেমস-সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি আমরা। আমাদের কর্মকর্তাদের পর্যালোচনার পর এ ব্যাপারে আরও তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গেমস-সংক্রান্ত সব দরপত্র আহ্বান ও পণ্য ক্রয় প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার প্রত্যায়ুশ সিনহা জানিয়েছিলেন, বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে গেমস-সংক্রান্ত সব প্রকল্পকে নজরদারিতে রেখেছে সিভিসি। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন চুক্তি ও কর্মসূচির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, নয়াদিল্লির পৌর কর্তৃপক্ষ, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের মতো সরকারি কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ও কমনওয়েলথ গেমসের ব্যয় নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। সিভিসির মতো সিবিআইয়ের কাছেও বিভিন্ন উৎস থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তের জন্য অভিযোগগুলো সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছে সিভিসি।
এদিকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের নেতারা এ কথা ভেবে শঙ্কিত যে, গেমসের প্রস্তুতিকে ঘিরে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২০০৩ সালে কমনওয়েলথ গেমস ২০১০-এর আয়োজক নির্বাচিত হয় ভারত। ওই সময় হিসাব করা হয়েছিল সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ দেশগুলোর এ ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনে ৬৩৫ কোটি রুপি খরচ হতে পারে। এর বিপরীতে আয় হতে পারে ৮৪০ কোটি রুপি। কিন্তু ২০০৭ সালের আগস্টে পর্যালোচনার পর খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৬৭ কোটি রুপি। ২০০৮ সালের হিসাবে তা এক হাজার ৭৮০ কোটি রুপি ধার্য হয়। এর পরও খরচ বেড়েই চলছে।
আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০০৯ সালের মে মাসের মধ্যে গেমসের প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরের এক বছর অনুশীলনের জন্য রাখার কথা। কিন্তু এখন থেকে মাত্র কয়েক দিন আগে দিল্লিতে প্রথম স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এই দেরির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ ছাড় করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে।
অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কমনওয়েলথ গেমসের প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম চন্দ্রশেখরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ থেকে ১৪ অক্টোবর কমনওয়েলথ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এটি ভারতে এ পর্যন্ত আয়োজিত সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর।
সিভিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, গেমসের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সংস্থাটি ১৪টি প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পায়। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘গেমস-সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছি আমরা। আমাদের কর্মকর্তাদের পর্যালোচনার পর এ ব্যাপারে আরও তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গেমস-সংক্রান্ত সব দরপত্র আহ্বান ও পণ্য ক্রয় প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে। এর আগে চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার প্রত্যায়ুশ সিনহা জানিয়েছিলেন, বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে গেমস-সংক্রান্ত সব প্রকল্পকে নজরদারিতে রেখেছে সিভিসি। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বিভিন্ন চুক্তি ও কর্মসূচির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, নয়াদিল্লির পৌর কর্তৃপক্ষ, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের মতো সরকারি কর্তৃপক্ষের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয়ও কমনওয়েলথ গেমসের ব্যয় নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। সিভিসির মতো সিবিআইয়ের কাছেও বিভিন্ন উৎস থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তের জন্য অভিযোগগুলো সিবিআইয়ের কাছে পাঠিয়েছে সিভিসি।
এদিকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের নেতারা এ কথা ভেবে শঙ্কিত যে, গেমসের প্রস্তুতিকে ঘিরে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২০০৩ সালে কমনওয়েলথ গেমস ২০১০-এর আয়োজক নির্বাচিত হয় ভারত। ওই সময় হিসাব করা হয়েছিল সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ দেশগুলোর এ ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজনে ৬৩৫ কোটি রুপি খরচ হতে পারে। এর বিপরীতে আয় হতে পারে ৮৪০ কোটি রুপি। কিন্তু ২০০৭ সালের আগস্টে পর্যালোচনার পর খরচ নির্ধারণ করা হয় ৭৬৭ কোটি রুপি। ২০০৮ সালের হিসাবে তা এক হাজার ৭৮০ কোটি রুপি ধার্য হয়। এর পরও খরচ বেড়েই চলছে।
আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০০৯ সালের মে মাসের মধ্যে গেমসের প্রকল্পগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরের এক বছর অনুশীলনের জন্য রাখার কথা। কিন্তু এখন থেকে মাত্র কয়েক দিন আগে দিল্লিতে প্রথম স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এই দেরির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ ছাড় করা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে।
অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কমনওয়েলথ গেমসের প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম চন্দ্রশেখরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments