রাশিয়ায় দাবানল আয়ত্তে আনতে লড়ছেন দমকলকর্মীরা
রাশিয়ার ভরোনেঝ শহরের উপকণ্ঠে দাবানল আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছেন দুজন দমকলকর্মী |
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবানল ঠেকাতে ১৬ হাজারের বেশি দমকলকর্মী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সাহায্য করতে গতকাল দুই হাজারের বেশি সেনাসদস্যকে পাঠানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কয়েক দশকের মধ্যে সম্প্রতি সবচেয়ে উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রচণ্ড তাপদাহ ও দাবানলে সেখানে ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।
প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে গত সপ্তাহে মস্কো ও আশপাশের এলাকায় দাবানল শুরু হয়। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি ৫৬টি হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ দিয়ে পানি ফেলা হচ্ছে। গতকালও এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর আয়তনের বনভূমির প্রায় ৪০০ স্থানে আগুন জ্বলছিল। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগের দিন ৩৮৭টি স্থানের আগুন নেভানো হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা শাখার প্রধান সের্গেই শাপোশনিকভের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, দাবানলের কবল থেকে দেশের বনভূমিকে রক্ষায় মোট দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ হাজার যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২৬টি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার রয়েছে। শাপোশনিকভ বলেন, এর আগে ১৯৭২, ১৯৮১ বা ২০০২ সালে যে ধরনের দাবানল বা অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলা করতে হয়েছিল, এবারের পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক জটিল।
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন গত শুক্রবার দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিজনি নভগরোদ এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে আগুনে ৩০০ বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ৫০০ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পুতিন ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিশ্রুতি দেন, শীতকালের মধ্যেই তাদের বাড়িগুলো আবার পুনর্গঠন করা হবে। তিনি আর্থিক সহায়তাও ঘোষণা করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল পর্যন্ত দাবানলে ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে গতকাল পুতিনের পরিদর্শন করা এলাকার একটি পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নভগরোদ এলাকায় আগুনে পুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। ভরনেজ অঞ্চলে এক দমকলকর্মীসহ পাঁচজন আগুনে পুড়ে মারা গেছে। রিয়াজান অঞ্চলের একটি গ্রামে মারা গেছে চারজন। মস্কোর কাছের একটি গ্রামে একজন দমকলকর্মী ও সাত স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আগুনে ২০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে পুরো রাশিয়ায় মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো জানায়নি জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া ভেঙে যাওয়া গাছ বা গাছের কাণ্ডে চাপা পড়ে মারা গেছে আরও ছয়জন। রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ২৩টি খরাকবলিত অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। গরমের কারণে সেখানকার নাগরিকেরা পুকুর, ঝরনা ও হ্রদে নেমে পড়ছে। ফলে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়ে গেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু শুক্রবারই রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৩৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে কয়েক দশকের মধ্যে সম্প্রতি সবচেয়ে উষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রচণ্ড তাপদাহ ও দাবানলে সেখানে ৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে।
প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে গত সপ্তাহে মস্কো ও আশপাশের এলাকায় দাবানল শুরু হয়। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি ৫৬টি হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ দিয়ে পানি ফেলা হচ্ছে। গতকালও এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর আয়তনের বনভূমির প্রায় ৪০০ স্থানে আগুন জ্বলছিল। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগের দিন ৩৮৭টি স্থানের আগুন নেভানো হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা শাখার প্রধান সের্গেই শাপোশনিকভের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, দাবানলের কবল থেকে দেশের বনভূমিকে রক্ষায় মোট দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া ২৫ হাজার যানবাহন ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২৬টি উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার রয়েছে। শাপোশনিকভ বলেন, এর আগে ১৯৭২, ১৯৮১ বা ২০০২ সালে যে ধরনের দাবানল বা অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলা করতে হয়েছিল, এবারের পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক জটিল।
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন গত শুক্রবার দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিজনি নভগরোদ এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানে আগুনে ৩০০ বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ৫০০ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পুতিন ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিশ্রুতি দেন, শীতকালের মধ্যেই তাদের বাড়িগুলো আবার পুনর্গঠন করা হবে। তিনি আর্থিক সহায়তাও ঘোষণা করেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল পর্যন্ত দাবানলে ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে গতকাল পুতিনের পরিদর্শন করা এলাকার একটি পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নভগরোদ এলাকায় আগুনে পুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩। ভরনেজ অঞ্চলে এক দমকলকর্মীসহ পাঁচজন আগুনে পুড়ে মারা গেছে। রিয়াজান অঞ্চলের একটি গ্রামে মারা গেছে চারজন। মস্কোর কাছের একটি গ্রামে একজন দমকলকর্মী ও সাত স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আগুনে ২০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে পুরো রাশিয়ায় মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো জানায়নি জরুরি পরিস্থিতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া ভেঙে যাওয়া গাছ বা গাছের কাণ্ডে চাপা পড়ে মারা গেছে আরও ছয়জন। রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ২৩টি খরাকবলিত অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। গরমের কারণে সেখানকার নাগরিকেরা পুকুর, ঝরনা ও হ্রদে নেমে পড়ছে। ফলে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাও বেড়ে গেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু শুক্রবারই রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৩৫ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে।
No comments