মূল্য-আয় অনুপাত ৪০-এর বেশি হলে ঋণসুবিধা নেই
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ঋণ বিতরণের সীমায় আবারও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে যেসব কোম্পানির শেয়ারের আয় অনুপাতে দাম বা পিই ৪০ পয়েন্টের বেশি হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার জন্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ঋণসুবিধা দিতে পারবে না। আগামী রোববার থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসইসি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে তারল্যপ্রবাহ এমনিতেই বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ঋণসুবিধা বাজারের তারল্যপ্রবাহকে আরও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যা বাজারের ঝুঁকিই বাড়াবে।
তা ছাড়া অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণেই ঋণসুবিধা দেওয়ার জন্য সীমা আরও কমিয়ে আনতে হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই যুক্তিতে পিই অনুপাত ৫০ পয়েন্টের বেশি হলে ঋণসুবিধা না দেওয়ার আদেশ জারি করেছিল এসইসি। এরও দুই মাস আগে, অর্থাৎ গত ৯ ডিসেম্বর ঋণসুবিধা সীমা হিসেবে পিই অনুপাত ৭৫ পয়েন্ট নির্ধারণ করে দেয় সংস্থাটি।
এসইসি সূত্র বলছে, আগের মতোই কোম্পানির সর্বশেষ ইপিএসের ভিত্তিতে পিই অনুপাত হিসাব করা হবে। এটি নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস হতে পারে, আবার অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে কোম্পানিটি সর্বশেষে কোন ইপিএসটি প্রকাশ করেছে, তার ওপর।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির পিই অনুপাত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে গেছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন, যা হয়তো তাদের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
কিন্তু এতে ব্যাংক ও বিদ্যুৎ খাতসহ বহুজাতিক যেসব কোম্পানির পিই অনুপাত তুলনামূলক কম, বিনিয়োগ সেইদিকে কেন্দ্রীভূত হবে। ফলে সূচক নিয়ন্ত্রণের যে লক্ষ্য নিয়ে এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্যকে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পিই অনুপাত পাওয়া যায়। যে কোম্পানির পিই যত বেশি সে কোম্পানিকে বিনিয়োগের জন্য তত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ ঘোষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ণীত পিই প্রকাশ করে থাকে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় গতকাল মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসইসি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে তারল্যপ্রবাহ এমনিতেই বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত ঋণসুবিধা বাজারের তারল্যপ্রবাহকে আরও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যা বাজারের ঝুঁকিই বাড়াবে।
তা ছাড়া অনেক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের ঋণসুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব কারণেই ঋণসুবিধা দেওয়ার জন্য সীমা আরও কমিয়ে আনতে হয়েছে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই যুক্তিতে পিই অনুপাত ৫০ পয়েন্টের বেশি হলে ঋণসুবিধা না দেওয়ার আদেশ জারি করেছিল এসইসি। এরও দুই মাস আগে, অর্থাৎ গত ৯ ডিসেম্বর ঋণসুবিধা সীমা হিসেবে পিই অনুপাত ৭৫ পয়েন্ট নির্ধারণ করে দেয় সংস্থাটি।
এসইসি সূত্র বলছে, আগের মতোই কোম্পানির সর্বশেষ ইপিএসের ভিত্তিতে পিই অনুপাত হিসাব করা হবে। এটি নিরীক্ষিত বার্ষিক ইপিএস হতে পারে, আবার অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে কোম্পানিটি সর্বশেষে কোন ইপিএসটি প্রকাশ করেছে, তার ওপর।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির পিই অনুপাত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে গেছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীরা এসব কোম্পানিতে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন, যা হয়তো তাদের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
কিন্তু এতে ব্যাংক ও বিদ্যুৎ খাতসহ বহুজাতিক যেসব কোম্পানির পিই অনুপাত তুলনামূলক কম, বিনিয়োগ সেইদিকে কেন্দ্রীভূত হবে। ফলে সূচক নিয়ন্ত্রণের যে লক্ষ্য নিয়ে এসইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্যকে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পিই অনুপাত পাওয়া যায়। যে কোম্পানির পিই যত বেশি সে কোম্পানিকে বিনিয়োগের জন্য তত ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ ঘোষিত ত্রৈমাসিক ইপিএসের ভিত্তিতে নির্ণীত পিই প্রকাশ করে থাকে।
No comments