ড্রয়ে শেষ হলো রোনালদো-দ্রগবা
ম্যাচের ঘড়িতে তখন দশ মিনিট। ২৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শট লাগল বাঁয়ের পোস্টে। হতাশায় মাথায় হাত পর্তুগিজ অধিনায়কের। বেঞ্চে বসা আইভরিকোস্ট অধিনায়ক দিদিয়ের দ্রগবা ফেললেন স্বস্তির নিঃশ্বাস, বুকে ক্রুশ এঁকে কৃতজ্ঞতা জানালেন ঈশ্বরকে। ম্যাচ শেষে এই দ্রগবা কি হতাশায় মাথায় হাত দিয়েছেন, আর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রোনালদো? গোলশূন্য ড্র ম্যাচে যে জেতার মতোই খেলেছিল আইভরিকোস্ট।
পর্তুগাল বিশ্বের তিন নম্বর দল, আইভরিকোস্ট ২৭। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারটি পর্তুগালের। তবে আইভরিকোস্টও ফেলনা নয় মোটেও। বরং কোলো তোরে, সলোমন কালু, ইয়া তোরোর মতো তারকাদের নিয়ে গড়া। এঁদের সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা দ্রগবা তো আছেনই। দ্রগবা অবশ্য কাল মাঠে নেমেছেন ৬৬ মিনিটে। ভাঙা হাত পুরো সারেনি। আহত অংশে বিশেষ আবরণ পরে কাল মাঠে নেমেছিলেন। অধিনায়ককে পেয়ে যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ‘এলিফ্যান্টস’রা। পর্তুগালও কিছু পাল্টা আক্রমণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোল পায়নি কোনো দলই।
পর্তুগাল নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল ওই একটাই। শেষ পর্যন্ত পোস্টে লেগে শুধু বলটাই ফেরেনি, জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর গোলের জন্য সুদীর্ঘ অপেক্ষাটাও আরও প্রলম্বিতই হচ্ছে। মেজাজও হারিয়ে ফেলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। গাই ডিমেলের দিকে বুনো-ভঙ্গিতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁকে ফাউল করে ফেলে দেওয়ার পর। ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয় দুজনকেই। এই ম্যাচে রোনালদোর সেই ঝলকও দেখা যায়নি। মেসি প্রথম ম্যাচেই গা থেকে বার্সেলোনা-খেলোয়াড়ের তকমা খসে ফেলেছিলেন। রোনালদোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরও।
ম্যাচ শেষে আইভরিকোস্টের কোচ সভেন গোরান এরিকসনের কণ্ঠে দুটো পয়েন্ট না-পাওয়ার হতাশাই ঝরল, ‘জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারণ, আমরাই এই ম্যাচে বেশি সুযোগ তৈরি করেছি।’ পর্তুগাল কোচ কার্লোস কুইরোজ অবশ্য দাবি করলেন, ম্যাচের পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েই খেলেছে তাঁর দল, ‘এরিকসন এমনভাবে জাল বিছিয়েছিলেন, যেন আমরা কোনো ভুল করি। কিন্তু সেই ফাঁদে আমরা পা দিইনি। মনে রাখবেন, এটা গ্রুপ অব ডেথের লড়াই। উত্তর কোরিয়ার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে ব্রাজিল, পর্তুগাল আর আইভরিকোস্ট—এই তিন যোগ্য দলের মাত্র দুটি।’
কথার লড়াইয়ে দুই কোচই হারতে চাননি। যেমন মাঠে দুই মহাতারকা রোনালদো-দ্রগবার লড়াইটাও হয়েছে ড্র।
পর্তুগাল বিশ্বের তিন নম্বর দল, আইভরিকোস্ট ২৭। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারটি পর্তুগালের। তবে আইভরিকোস্টও ফেলনা নয় মোটেও। বরং কোলো তোরে, সলোমন কালু, ইয়া তোরোর মতো তারকাদের নিয়ে গড়া। এঁদের সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা দ্রগবা তো আছেনই। দ্রগবা অবশ্য কাল মাঠে নেমেছেন ৬৬ মিনিটে। ভাঙা হাত পুরো সারেনি। আহত অংশে বিশেষ আবরণ পরে কাল মাঠে নেমেছিলেন। অধিনায়ককে পেয়ে যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ‘এলিফ্যান্টস’রা। পর্তুগালও কিছু পাল্টা আক্রমণ করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোল পায়নি কোনো দলই।
পর্তুগাল নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল ওই একটাই। শেষ পর্যন্ত পোস্টে লেগে শুধু বলটাই ফেরেনি, জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর গোলের জন্য সুদীর্ঘ অপেক্ষাটাও আরও প্রলম্বিতই হচ্ছে। মেজাজও হারিয়ে ফেলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। গাই ডিমেলের দিকে বুনো-ভঙ্গিতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁকে ফাউল করে ফেলে দেওয়ার পর। ফলে হলুদ কার্ড দেখতে হয় দুজনকেই। এই ম্যাচে রোনালদোর সেই ঝলকও দেখা যায়নি। মেসি প্রথম ম্যাচেই গা থেকে বার্সেলোনা-খেলোয়াড়ের তকমা খসে ফেলেছিলেন। রোনালদোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরও।
ম্যাচ শেষে আইভরিকোস্টের কোচ সভেন গোরান এরিকসনের কণ্ঠে দুটো পয়েন্ট না-পাওয়ার হতাশাই ঝরল, ‘জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারণ, আমরাই এই ম্যাচে বেশি সুযোগ তৈরি করেছি।’ পর্তুগাল কোচ কার্লোস কুইরোজ অবশ্য দাবি করলেন, ম্যাচের পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েই খেলেছে তাঁর দল, ‘এরিকসন এমনভাবে জাল বিছিয়েছিলেন, যেন আমরা কোনো ভুল করি। কিন্তু সেই ফাঁদে আমরা পা দিইনি। মনে রাখবেন, এটা গ্রুপ অব ডেথের লড়াই। উত্তর কোরিয়ার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে ব্রাজিল, পর্তুগাল আর আইভরিকোস্ট—এই তিন যোগ্য দলের মাত্র দুটি।’
কথার লড়াইয়ে দুই কোচই হারতে চাননি। যেমন মাঠে দুই মহাতারকা রোনালদো-দ্রগবার লড়াইটাও হয়েছে ড্র।
No comments