ভোট হোক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ -চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন
কাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর পাশাপাশি সারা দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ থাকা অস্বাভাবিক নয়। চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর ও জাতীয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি হিসেবে বিবেচিত। ৪১টি ওয়ার্ডে বিভক্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর পদে ১৫৩ এবং ১৪টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আটজন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মোহাম্মদ মন্জুর আলমের মধ্যে। এই নির্বাচন অরাজনৈতিকভাবে অনুষ্ঠিত হলেও এ দুই প্রার্থীর পেছনে রয়েছে যথাক্রমে মহাজোট ও চারদলীয় জোটের সক্রিয় সমর্থন।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে নিয়েছে, তাতে আপত্তির কিছু নেই। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো অরাজনৈতিক হলেও প্রতিটি নির্বাচনই রাজনৈতিক চেহারা পেয়ে থাকে। দেখার বিষয়, একটি অবাধ নির্বাচনের জন্য যে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, তা আছে কি না। শুরু থেকে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকায় আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা তেমন ঘটেনি। প্রাক-নির্বাচন পরিবেশও মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, তা অনেকাংশে নির্ভর করছে ভোটকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কোনো রকম গাফিলতি দেখানো চলবে না।
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতিমধ্যে র্যাব, পুলিশ, বিডিআরের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভোটারেরা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোট গ্রহণের সময় যাতে কেন্দ্রে কোনো অঘটন না ঘটে কিংবা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনে কে জয়ী বা পরাজিত হলেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কি না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হলে বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছে, তার যথার্থ জবাব হবে নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু করা। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে বিরোধী দল অভিযোগ করার সুযোগ পায়। একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে জয়-পরাজয় সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। কিন্তু যেকোনো মূল্যে নির্বাচনী ফল নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা দেশের বিবদমান রাজনীতিকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে। অন্যদিকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রায়ও কারও পক্ষে না গেলে তা নিয়ে রাজপথ গরম করার অপসংস্কৃতিও পরিহার করতে হবে। জনগণ যে রায় দেবেন, তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, নির্বাচকমণ্ডলী নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাঁদের পছন্দসই প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন, সেই নিশ্চয়তাই চায় চট্টগ্রামবাসী।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে নিয়েছে, তাতে আপত্তির কিছু নেই। আমাদের দেশে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো অরাজনৈতিক হলেও প্রতিটি নির্বাচনই রাজনৈতিক চেহারা পেয়ে থাকে। দেখার বিষয়, একটি অবাধ নির্বাচনের জন্য যে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, তা আছে কি না। শুরু থেকে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে থাকায় আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা তেমন ঘটেনি। প্রাক-নির্বাচন পরিবেশও মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, তা অনেকাংশে নির্ভর করছে ভোটকালীন পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কোনো রকম গাফিলতি দেখানো চলবে না।
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ইতিমধ্যে র্যাব, পুলিশ, বিডিআরের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভোটারেরা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোট গ্রহণের সময় যাতে কেন্দ্রে কোনো অঘটন না ঘটে কিংবা স্বার্থান্বেষী মহল যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনে কে জয়ী বা পরাজিত হলেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে কি না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হলে বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছে, তার যথার্থ জবাব হবে নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু করা। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে বিরোধী দল অভিযোগ করার সুযোগ পায়। একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে জয়-পরাজয় সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। কিন্তু যেকোনো মূল্যে নির্বাচনী ফল নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা দেশের বিবদমান রাজনীতিকে চরম সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে। অন্যদিকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের রায়ও কারও পক্ষে না গেলে তা নিয়ে রাজপথ গরম করার অপসংস্কৃতিও পরিহার করতে হবে। জনগণ যে রায় দেবেন, তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীর। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, নির্বাচকমণ্ডলী নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে তাঁদের পছন্দসই প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন, সেই নিশ্চয়তাই চায় চট্টগ্রামবাসী।
No comments