চ্যাম্পিয়নদের এই খেলা
আকস্মিক পরিবর্তনের এক বিশ্বকাপই বলতে পারেন এটাকে। একটা ম্যাচ সমতলে হচ্ছে, তো আরেকটা হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে। ডারবানে বিকেলের পড়ন্ত রোদে পাতলা পোশাক পরে কেউ আড্ডায় মেতে উঠছে আর কেউ কেপটাউনের হিমেল সন্ধ্যায় শীতে কাঁপছে।
এর মধ্যেই একের পর এক ফেবারিট দল শুরু করছে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান। আর্জেন্টিনার শুরুটা ভালোই হয়েছে। জার্মানিকে আর্জেন্টিনার চেয়েও ক্ষুরধার মনে হয়েছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালির অভিযান শুরু হয়েছে পরশু। এ বিশ্বকাপে শুরু থেকেই যেটা বেশি হচ্ছে, ইতালির ম্যাচেও তাই ঘটল—১-১ গোলে ড্র।
ইতালি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বরের দল। আর প্যারাগুয়ে ৩১ নম্বর। এর পরও পরশু প্যারাগুয়ের সঙ্গে ইতালির ১-১ গোলের ড্রকে অঘটন বলবে না কেউ। বলবে না ইতালির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণেই। বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতে হেরেছে, একটি ড্র করেছে। পরশুর ম্যাচটি দেখে মনে হয়েছে, শিরোপা ধরে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের মতো ইতালিকেও তাদের খেলায় আনতে হবে আকস্মিক পরিবর্তন। ইতালি অধিনায়ক ফ্যাবিও ক্যানাভারোও ম্যাচ শেষে বললেন জানা সে কথাটাই, ‘পরের দুই ম্যাচে অবশ্যই আমাদের আরও ভালো করতে হবে।’
ড্র ম্যাচেরও একটা সৌন্দর্য থাকে। কিন্তু ইতালি-প্যারাগুয়ের ম্যাচে ফুটবলীয় সৌন্দর্য খুব কমই চোখে পড়েছে। বরং ভুল পাসের ছড়াছড়ি ছিল আর ছিল ভুল গোলকিপিং। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে সেট পিসের মাধ্যমে। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইতালিই। ৩৯ মিনিটে অরেলিয়ানো তোরেসের লম্বা ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত হেডে গোলটি করেছেন আন্তলিন আলকারাজ। আসলে দুর্দান্ত ওই হেডটি আলকারাজ করতে পেরেছিলেন ক্যানাভারো আর ড্যানিয়েল ডি রসির ভুলের কারণেই। কী যে হয়েছিল রসি আর ক্যানাভারোর! দুজনের মাঝ থেকে লাফিয়ে উঠে আলকারাজ হেড করলেন আর তাঁরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন।
ভুলের দায়টা অবশ্য নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রসি, ‘আসলে আমি হঠাৎ করে অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলাম। ওকে মার্ক করার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। আমার এটা নিয়ে রাগ হচ্ছে, আমার নিজের ওপরও রাগ হচ্ছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে রাগ আর শাপমোচন দুটোই করলেন ডি রসি। কর্নার কিক থেকে সমতাসূচক গোলটি করেছেন রসি। তবে এই গোলটিও হয়েছে প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক জাস্তো ভিলারের ভুলে। কর্নার কিকের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি, আর এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাত্র ৩ গজ দূর থেকে বল জালে ঠেলেছেন রসি।
ভুল করেছেন, ভুল মোচন করেছেন; মন্টেলিভোকে সঙ্গে নিয়ে ইতালির মাঝমাঠটা ঠিকও রেখেছেন রসিই। পুরো ম্যাচেই ছিলেন ইতালির এই মিডফিল্ডার, ম্যাচ শেষেও। সমালোচনা করেছেন নিজের দল আর প্যারাগুয়ের খেলা নিয়ে, ‘প্যারাগুয়ে অতি রক্ষণাত্মক খেলেছে। তবে আমাদের দলও ২০০৬-এর মতো নয়। দলে টট্টির মতো কোনো খেলোয়াড় নেই এবার।’
ইতালিকে গত বিশ্বকাপ জেতানো লিপ্পির এ নিয়ে কোনো ভাবান্তর নেই। জিততে না পারার দুঃখে ডুবে আছেন তিনি, ‘এ রকম ম্যাচগুলো আমাদের জিততে হবে। জিততে পারিনি বলে খারাপ লাগছে।’ আরও একটা কারণে খারাপ লাগছে লিপ্পির—পিঠের ব্যথার জন্য প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামতে পারেননি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। তবে বুফন বলেছেন, দুই দিনের মধ্যেই সেরে উঠবেন তিনি। খেলতে পারবেন ২০ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দ্বিতীয় ম্যাচে।
অন্যদিকে, প্যারাগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্দো মার্টিনোর এই ম্যাচ নিয়ে কোনো আক্ষেপই নেই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ড্র করার আনন্দেই ভাসছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ড্র করতে পেরে খুশি আমি।’
এর মধ্যেই একের পর এক ফেবারিট দল শুরু করছে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান। আর্জেন্টিনার শুরুটা ভালোই হয়েছে। জার্মানিকে আর্জেন্টিনার চেয়েও ক্ষুরধার মনে হয়েছে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালির অভিযান শুরু হয়েছে পরশু। এ বিশ্বকাপে শুরু থেকেই যেটা বেশি হচ্ছে, ইতালির ম্যাচেও তাই ঘটল—১-১ গোলে ড্র।
ইতালি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বরের দল। আর প্যারাগুয়ে ৩১ নম্বর। এর পরও পরশু প্যারাগুয়ের সঙ্গে ইতালির ১-১ গোলের ড্রকে অঘটন বলবে না কেউ। বলবে না ইতালির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণেই। বিশ্বকাপের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতে হেরেছে, একটি ড্র করেছে। পরশুর ম্যাচটি দেখে মনে হয়েছে, শিরোপা ধরে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের মতো ইতালিকেও তাদের খেলায় আনতে হবে আকস্মিক পরিবর্তন। ইতালি অধিনায়ক ফ্যাবিও ক্যানাভারোও ম্যাচ শেষে বললেন জানা সে কথাটাই, ‘পরের দুই ম্যাচে অবশ্যই আমাদের আরও ভালো করতে হবে।’
ড্র ম্যাচেরও একটা সৌন্দর্য থাকে। কিন্তু ইতালি-প্যারাগুয়ের ম্যাচে ফুটবলীয় সৌন্দর্য খুব কমই চোখে পড়েছে। বরং ভুল পাসের ছড়াছড়ি ছিল আর ছিল ভুল গোলকিপিং। ম্যাচের দুটি গোলই হয়েছে সেট পিসের মাধ্যমে। প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইতালিই। ৩৯ মিনিটে অরেলিয়ানো তোরেসের লম্বা ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত হেডে গোলটি করেছেন আন্তলিন আলকারাজ। আসলে দুর্দান্ত ওই হেডটি আলকারাজ করতে পেরেছিলেন ক্যানাভারো আর ড্যানিয়েল ডি রসির ভুলের কারণেই। কী যে হয়েছিল রসি আর ক্যানাভারোর! দুজনের মাঝ থেকে লাফিয়ে উঠে আলকারাজ হেড করলেন আর তাঁরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন।
ভুলের দায়টা অবশ্য নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রসি, ‘আসলে আমি হঠাৎ করে অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলাম। ওকে মার্ক করার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। আমার এটা নিয়ে রাগ হচ্ছে, আমার নিজের ওপরও রাগ হচ্ছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে রাগ আর শাপমোচন দুটোই করলেন ডি রসি। কর্নার কিক থেকে সমতাসূচক গোলটি করেছেন রসি। তবে এই গোলটিও হয়েছে প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক জাস্তো ভিলারের ভুলে। কর্নার কিকের ফ্লাইট বুঝতে পারেননি, আর এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাত্র ৩ গজ দূর থেকে বল জালে ঠেলেছেন রসি।
ভুল করেছেন, ভুল মোচন করেছেন; মন্টেলিভোকে সঙ্গে নিয়ে ইতালির মাঝমাঠটা ঠিকও রেখেছেন রসিই। পুরো ম্যাচেই ছিলেন ইতালির এই মিডফিল্ডার, ম্যাচ শেষেও। সমালোচনা করেছেন নিজের দল আর প্যারাগুয়ের খেলা নিয়ে, ‘প্যারাগুয়ে অতি রক্ষণাত্মক খেলেছে। তবে আমাদের দলও ২০০৬-এর মতো নয়। দলে টট্টির মতো কোনো খেলোয়াড় নেই এবার।’
ইতালিকে গত বিশ্বকাপ জেতানো লিপ্পির এ নিয়ে কোনো ভাবান্তর নেই। জিততে না পারার দুঃখে ডুবে আছেন তিনি, ‘এ রকম ম্যাচগুলো আমাদের জিততে হবে। জিততে পারিনি বলে খারাপ লাগছে।’ আরও একটা কারণে খারাপ লাগছে লিপ্পির—পিঠের ব্যথার জন্য প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামতে পারেননি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। তবে বুফন বলেছেন, দুই দিনের মধ্যেই সেরে উঠবেন তিনি। খেলতে পারবেন ২০ জুন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের দ্বিতীয় ম্যাচে।
অন্যদিকে, প্যারাগুয়ের আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্দো মার্টিনোর এই ম্যাচ নিয়ে কোনো আক্ষেপই নেই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ড্র করার আনন্দেই ভাসছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি নিয়ে আমাদের অনেক আশা ছিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ড্র করতে পেরে খুশি আমি।’
No comments