টাকার জন্য কোচ ম্যারাডোনা
ডিয়েগো ম্যারাডোনা কেন আর্জেন্টিনার কোচ হয়েছেন, বলুন তো? সহজ জবাব, আরেকটা বিশ্বকাপ জেতার জন্য। আরে না। আসল কারণ হলো, স্রেফ টাকা কামাতেই আর্জেন্টিনার কোচ হয়েছেন ম্যারাডোনা! এই ‘আসল কারণ’টার আবিষ্কারক আরেক ফুটবল কিংবদন্তি পেলে।
লারা-টেন্ডুলকার, ফেদেরার-নাদাল, ওয়ার্ন-মুরালিধরন—খেলাধুলায় কে যে সেরা, তা নিয়ে ছোট-বড় বিতর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু তাতে এসব খেলোয়াড়ের পারস্পরিক সম্পর্কে কি কোনো প্রভাব পড়ে? পেলে-ম্যারাডোনার ব্যাপারটা অন্য রকম। দুনিয়ার মানুষ বিতর্ক করে—পেলে, না ম্যারাডোনা। সঙ্গে এই দুই খেলোয়াড়ও নিজেদের মধ্যে মেতে ওঠেন কথার লড়াইয়ে।
সর্বশেষ লড়াইটা শুরু করছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কয়েক দিন আগেই পেলেকে ‘কালো এক ভদ্রলোক’ হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগ করেছিলেন, পেলে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ আয়োজনের সামর্থ্য নিয়ে একসময় প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই পেলে এখন আফ্রিকানদের প্রশংসা করছেন।
এমন আক্রমণ মুখ বুজে সহ্য করার কথা নয় পেলের। সাংবাদিকেরা প্রসঙ্গটা তাঁর কাছে তুলতেই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি উল্টো বললেন, ম্যারাডোনা নাকি তাঁকে খুব ভালোবাসেন, ‘আমি শুনেছি, ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েও আমার কথা মনে রেখেছে। তার মানে ও অবশ্যই আমাকে খুব ভালোবাসে।’
এই ভালোবাসা থেকেই পেলে বিভিন্ন সময় ম্যারাডোনাকে বিভিন্ন সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন। বলাই বাহুল্য সহায়তাটা অর্থনৈতিক, ‘ও আর্জেন্টিনায় যখন প্রথম টেলিভিশন শো (২০০৫ সালে) শুরু করল, তখন আমার সাহায্য দরকার হয়েছিল। আমি বুয়েনস এইরেসে গিয়ে ওর সঙ্গে ফুটবল খেলে ওকে সহায়তা করেছি। এরপর কিছু বিজ্ঞাপন করেও সাহায্য করেছি।’
এসব কাজে ম্যারাডোনা নিশ্চয়ই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। তার পরও ম্যারাডোনার অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি বলেই ধারণা পেলের। পেলের দাবি, আর্জেন্টিনার কোচের চাকরিটাও নাকি তিনি টাকার জন্য করছেন, ‘ম্যারাডোনা এই চাকরিটা নিয়েছে কারণ, ওর কাজের দরকার ছিল, টাকার দরকার ছিল।’
আর্জেন্টিনার কোচের চাকরি নিয়ে বাছাইপর্বে ম্যারাডোনা যে খুব ভালো করতে পারেননি, সে দুনিয়ার আর সবার মতো পেলেও দেখেছেন। কিন্তু এই ভালো না করার দায় তিনি ‘স্নেহভাজন’ ম্যারাডোনাকে দিচ্ছেন না, ‘আমি দেখেছি আর্জেন্টিনা কী রকম কষ্ট করে বাছাইপর্ব পার হয়েছে। কিন্তু এটা তো ম্যারাডোনার দোষ না। দোষ যারা ওকে এই দায়িত্বটা দিয়েছে তাদের!’
বুঝুন খোঁচার মাত্রাটা। এবার অপেক্ষা করুন, ম্যারাডোনার কাছ থেকে আরও কিছু আক্রমণ আসার।
লারা-টেন্ডুলকার, ফেদেরার-নাদাল, ওয়ার্ন-মুরালিধরন—খেলাধুলায় কে যে সেরা, তা নিয়ে ছোট-বড় বিতর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু তাতে এসব খেলোয়াড়ের পারস্পরিক সম্পর্কে কি কোনো প্রভাব পড়ে? পেলে-ম্যারাডোনার ব্যাপারটা অন্য রকম। দুনিয়ার মানুষ বিতর্ক করে—পেলে, না ম্যারাডোনা। সঙ্গে এই দুই খেলোয়াড়ও নিজেদের মধ্যে মেতে ওঠেন কথার লড়াইয়ে।
সর্বশেষ লড়াইটা শুরু করছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কয়েক দিন আগেই পেলেকে ‘কালো এক ভদ্রলোক’ হিসেবে চিহ্নিত করে অভিযোগ করেছিলেন, পেলে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ আয়োজনের সামর্থ্য নিয়ে একসময় প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই পেলে এখন আফ্রিকানদের প্রশংসা করছেন।
এমন আক্রমণ মুখ বুজে সহ্য করার কথা নয় পেলের। সাংবাদিকেরা প্রসঙ্গটা তাঁর কাছে তুলতেই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি উল্টো বললেন, ম্যারাডোনা নাকি তাঁকে খুব ভালোবাসেন, ‘আমি শুনেছি, ও দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েও আমার কথা মনে রেখেছে। তার মানে ও অবশ্যই আমাকে খুব ভালোবাসে।’
এই ভালোবাসা থেকেই পেলে বিভিন্ন সময় ম্যারাডোনাকে বিভিন্ন সাহায্য করেছেন বলেও জানালেন। বলাই বাহুল্য সহায়তাটা অর্থনৈতিক, ‘ও আর্জেন্টিনায় যখন প্রথম টেলিভিশন শো (২০০৫ সালে) শুরু করল, তখন আমার সাহায্য দরকার হয়েছিল। আমি বুয়েনস এইরেসে গিয়ে ওর সঙ্গে ফুটবল খেলে ওকে সহায়তা করেছি। এরপর কিছু বিজ্ঞাপন করেও সাহায্য করেছি।’
এসব কাজে ম্যারাডোনা নিশ্চয়ই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছেন। তার পরও ম্যারাডোনার অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি বলেই ধারণা পেলের। পেলের দাবি, আর্জেন্টিনার কোচের চাকরিটাও নাকি তিনি টাকার জন্য করছেন, ‘ম্যারাডোনা এই চাকরিটা নিয়েছে কারণ, ওর কাজের দরকার ছিল, টাকার দরকার ছিল।’
আর্জেন্টিনার কোচের চাকরি নিয়ে বাছাইপর্বে ম্যারাডোনা যে খুব ভালো করতে পারেননি, সে দুনিয়ার আর সবার মতো পেলেও দেখেছেন। কিন্তু এই ভালো না করার দায় তিনি ‘স্নেহভাজন’ ম্যারাডোনাকে দিচ্ছেন না, ‘আমি দেখেছি আর্জেন্টিনা কী রকম কষ্ট করে বাছাইপর্ব পার হয়েছে। কিন্তু এটা তো ম্যারাডোনার দোষ না। দোষ যারা ওকে এই দায়িত্বটা দিয়েছে তাদের!’
বুঝুন খোঁচার মাত্রাটা। এবার অপেক্ষা করুন, ম্যারাডোনার কাছ থেকে আরও কিছু আক্রমণ আসার।
No comments