উত্তর আয়ারল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন ক্যামেরন by তানভীর আহমেদ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ১৯৭২ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ব্লাডি সানডে (রক্তাক্ত রোববার) শিরোনামে প্রকাশিত ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার সবাই ছিলেন নিরপরাধ। এর পরই প্রধানমন্ত্রী হাউস অব কমন্সে বলেন, ওই হত্যাকাণ্ড (ব্লাডি সানডে) ছিল অবিবেচনাপ্রসূত ও ভুল সিদ্ধান্ত। তাঁর সরকার ও ব্রিটেন ওই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি লন্ডনডেরিতে গণতান্ত্রিক আয়ারল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভরত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ব্রিটিশ নিরাপত্তারক্ষীরা সেদিন নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাদের করা প্রথম গুলির সেই রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেই উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ক্যামেরন বলেন, ঘটনার দিন সেনারা কোনো প্রকার সতর্ক বা সংকেত না দিয়েই নিরপরাধ আইরিশদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। সেই সময়ে পেট্রলবোমা ব্যবহারকারী ও পাথর ছুড়ে মারা সেনাসদস্যদের কাউকেই চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়নি। এ ছাড়া সেনাদের গুলি করার পেছনে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণও উপস্থাপন করা যায়নি। এমনকি দুঃখজনক সেই ঘটনায় সমবেদনা জানাতে সরকারি কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। ক্যামেরন মনে করেন, সেই সময়ে কিছু ব্রিটিশ সেনার আচরণ ছিল ভুল। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে কারণেই তাঁর সরকারের এই আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ।
উত্তর আয়ারল্যান্ডে সংঘটিত ওই রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৮ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সময় হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি লর্ড সেভিলের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল, যা সেভিল কমিশন নামে পরিচিত। কমিশন কয়েক শ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০০৪ সালে তদন্ত শেষ করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে তা ২০১০ সালে উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটেনের ইতিহাসে এটি ছিল দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল প্রতিবেদন, যা সম্পন্ন করতে খরচ হয়েছে ১৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড। আর সময় লেগেছে ১২ বছর।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি লন্ডনডেরিতে গণতান্ত্রিক আয়ারল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভরত বেসামরিক নাগরিকের ওপর ব্রিটিশ নিরাপত্তারক্ষীরা সেদিন নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিলেন। এ ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাদের করা প্রথম গুলির সেই রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করেই উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ক্যামেরন বলেন, ঘটনার দিন সেনারা কোনো প্রকার সতর্ক বা সংকেত না দিয়েই নিরপরাধ আইরিশদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। সেই সময়ে পেট্রলবোমা ব্যবহারকারী ও পাথর ছুড়ে মারা সেনাসদস্যদের কাউকেই চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়নি। এ ছাড়া সেনাদের গুলি করার পেছনে কোনো গ্রহণযোগ্য কারণও উপস্থাপন করা যায়নি। এমনকি দুঃখজনক সেই ঘটনায় সমবেদনা জানাতে সরকারি কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। ক্যামেরন মনে করেন, সেই সময়ে কিছু ব্রিটিশ সেনার আচরণ ছিল ভুল। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে কারণেই তাঁর সরকারের এই আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ।
উত্তর আয়ারল্যান্ডে সংঘটিত ওই রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৯৮ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সময় হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি লর্ড সেভিলের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল, যা সেভিল কমিশন নামে পরিচিত। কমিশন কয়েক শ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০০৪ সালে তদন্ত শেষ করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে তা ২০১০ সালে উপস্থাপন করা হয়। ব্রিটেনের ইতিহাসে এটি ছিল দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল প্রতিবেদন, যা সম্পন্ন করতে খরচ হয়েছে ১৯৫ মিলিয়ন পাউন্ড। আর সময় লেগেছে ১২ বছর।
No comments