মাঠে নামছে ‘সুন্দর’ স্পেন by পবিত্র কুন্ডু,
রোলাঁ গাঁরোর লাল সুরকির কোর্ট নয়। বাদামি মাটির আয়তক্ষেত্রও নয় যে টেনিস-শ্রেষ্ঠ রজার ফেদেরারকে রাফায়েল নাদাল তাঁর রাজ্যপাটে প্রশংসার ফুল দিয়ে নিজের মহত্ত্ব প্রকাশ করবেন। এটা ফুটবল, বিশাল ঘাসের আয়তক্ষেত্র। জোহানেসবার্গ থেকে ডারবানের দূরত্ব যেমন ১৪০০ কিলোমিটার, এখানে স্পেন হয়তো এগিয়ে আছে সুইজারল্যান্ডের চেয়ে।
এখানে জাভি, ইনিয়েস্তা, ভিয়াদের প্লে-স্টেশনের খেলোয়াড় মনে হতে পারে ত্রানকুইলো বারনেত্তা বা স্টেফান লিস্টানিয়ারদের কাছে। যে ‘জার্মান ফক্স’ সুইজারল্যান্ডের বন্ধু, দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে নিয়ে এসেছেন এই বিশ্বকাপে, সেই ওটমার হিজফেল্ড নতমস্তকে স্বীকার করে নিয়েছেন স্পেনের শ্রেষ্ঠত্ব। ‘ওরা এই গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। ওদের কোনো দুর্বলতাই নেই’—স্পেন দলটির দিকে তাকিয়ে যেন বিস্ময়ের শেষ নেই সুইজারল্যান্ড কোচের।
তাহলে আজ ডারবানের শীতার্ত বিকেলে গ্রুপ ‘এইচ’-এর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে স্পেনের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে সুইজারল্যান্ড? তাই হয় নাকি! এটা বিশ্বকাপ, একটা গ্রুপ ম্যাচই শুধু। বর্তমান বিশ্বের সেরা দলটির সঙ্গে লড়তে সুইজারল্যান্ডকেও তাই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিজেরা ন্যূনতম যে লক্ষ্য বেঁধে নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে, সেদিকে পা ফেলতে হবে। সেই লক্ষ্যটা, গত বিশ্বকাপের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার কড়ি জোগাড় করা। আর তা করতে হলে দরকার একটা পয়েন্ট। তা না পারলেও অন্তত এই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে মাঠছাড়া যে ‘আমরা পারি। স্পেনের মতো দলের সঙ্গে যদি লড়তে পারি, তাহলে হন্ডুরাস, চিলির মতো দলের সঙ্গে কিছু করতে পারবই।’
সুইজারল্যান্ডের আক্রমণের সবচেয়ে বড় ভরসা আলেক্সান্ডার ফ্রেই বলেছেন, ‘আমরা কোনো ইতিবাচক ফলের গ্যারান্টি হয়তো দিতে পারছি না। তবে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ম্যাচ শেষে অনুতাপে পুড়ব না যে আমরা সবটুকু ঢেলে চেষ্টাটা করিনি।’
ইতালিয়ান ক্লাব লাৎসিওতে খেলা সুইস ডিফেন্ডার স্টেফান লিস্টানিয়ার অবশ্য ফ্রেইয়ের চেয়ে কথাবার্তায় একটু বেশিই আক্রমণাত্মক, স্পেনকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েও ভয়হীন আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে চান তাদের বিপক্ষে, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা এ পর্যন্ত দারুণই বলব। ওরা তো বল পায়ে নিয়ে খেলার বাইরে কিছু করবে না, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভালো করব। এটা একটা ম্যাচ খেলা ছাড়া তো আর কিছু নয়।’
রজার ফেদেরারের মতো কণ্ঠে নম্রতা মিশিয়ে গোলরক্ষক ডিয়েগো বেনাগ্লিয়ো বলেছেন সবচেয়ে কঠিন কথাটা, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টে শুধু অংশ নিতেই আসিনি, আমরা অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে চাই।’
এই কথাটার মধ্যে মহাবীর আলেক্সান্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে পুঁচকে রাজা পুরুর ঔদ্ধত্য আপনি খুঁজে নিতে পারেন। কিন্তু লড়াইয়ের আগে উদ্বুদ্ধকরণের একটা মন্ত্র তো লাগে। ধরে নিন, ফ্রেই, লিস্টানিয়ার বা বেনাগ্লিয়ো সেই মন্ত্রটাই এভাবে জপছেন।
যুদ্ধের আরেকটা কৌশল হলো আপনি যখন দেখছেন প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী, তাদের শুধু নমঃ নমঃ করতে থাকুন। তাহলে প্রতিপক্ষ নিজেদের দুর্বলতা সম্পর্কে ‘অন্ধ’ থেকে যাবে। আর সেই ফাঁকা জায়গা দিয়েই আপনি ঢুকে পড়বেন শত্রুব্যূহে। হিজফেল্ডের কথাগুলোকে তেমন মনে হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের কোচ বারবার বলছেন ওরা অসাধারণ, ওরা অন্য পৃথিবীর, ওরা নিখুঁত। তার পরও আশায় আছেন, ‘জয় আমাদের পক্ষেও সম্ভব, যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি।’ কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে হিজফেল্ডের বলা এই দূরতর বিশ্বাসের কথাটাও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে প্রায় সবারই। সেরাটা খেলতে হবে, তবে স্পেনের বিপক্ষে সেটিরও যে কোনো মানদণ্ড নেই।
জাভি আলোনসো অকুতোভয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা কাউকেই ভয় পাই না।’ তো যারা কাউকেই ভয় পায় না, বরফ জমা আল্পসের পাদদেশে নিভৃতে থাকা ছোট্ট ফুটবলশক্তি সুইজারল্যান্ডকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই স্পেনের।
ফেবারিটের তকমা গায়ে উঠে গেলে অনেক দলই চাপে পড়ে যায়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় এমন উদাহরণ অজস্র। এই স্পেনই তো বারবার সেই পাতায় লিখিয়েছে নাম। ওই চাপের কাছে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্পেনের সাবেক বিশ্বকাপ অধিনায়ক ফার্নান্দো হিয়েরো মনে করছেন, এবার স্পেন ‘সত্যিকারের’ ফেবারিট, নকল নয়। কেননা, দুই বছর আগে ৪৪ বছরের অতৃপ্তি ঘুচিয়ে জেতা ইউরোর শিরোপাই তাদের মনের ভঙ্গুর প্রলেপটুকুকে সরিয়ে দিয়েছে।
সোনার জুতা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আসা স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়ার কথা শুনলে দুঙ্গা-কাকারা একটু বিব্রত হতে পারেন। ব্রাজিলের শিরোপা ষষ্ঠকের দুই স্বপ্ন সারথি ফেবারিট-তত্ত্বের মধ্যে খুঁজে পান ইউরোপের ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’। কিন্তু ভিয়া একে দেখছেন প্রশংসা বচন হিসেবে, এর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন প্রেরণা, ‘ফেবারিট-তত্ত্ব কোনো চাপ নয়। এটা বরং একটা প্রশংসা। আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমাদের এই প্রত্যাশার চাপটা নিতেই হবে, কারণ মানুষ জানে আমরা ভালো খেলতে জানি এবং জিততে জানি।’
দুই দল প্রাথমিকভাবে যে ছকটা জানিয়েছে তাতে, আক্রমণাত্মক, সুন্দর ফুটবলের ছবিটাই ভেসে ওঠে চোখের সামনে—৪-৪-২। ইনজুরি থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা নেই এ ম্যাচে। ফার্নান্দো তোরেসের খেলা নিয়েও আছে সংশয়। তোরেস না থাকলে আক্রমণে শুধু ভিয়াকে নিয়ে ৪-৫-১ ফরমেশনে চলে যেতে পারে স্পেন। তার পরও সুন্দর ফুটবলের আশাটা থাকছে। কারণ দলটি যে স্পেন, লা ফুরিয়া রোজা। যারা গোলাপের সুবাস ছড়াতে পারে মাঠে। এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে সুন্দর ফুটবল দিতে পারেনি বিশ্বকাপ। সুন্দর ফুটবলের জন্য তাই চাতক তৃষ্ণা নিয়েই সবাই যাবে ডারবানের মাঠে।
‘অসহ্য রকম সুন্দর’ এই স্পেন সেই আশাটিকে চোরাবালিতে ছুড়ে না ফেললেই হয়। ফলের চিন্তাটাকে আজ মাথা থেকে একটু সরিয়েই রাখুন!
এখানে জাভি, ইনিয়েস্তা, ভিয়াদের প্লে-স্টেশনের খেলোয়াড় মনে হতে পারে ত্রানকুইলো বারনেত্তা বা স্টেফান লিস্টানিয়ারদের কাছে। যে ‘জার্মান ফক্স’ সুইজারল্যান্ডের বন্ধু, দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে নিয়ে এসেছেন এই বিশ্বকাপে, সেই ওটমার হিজফেল্ড নতমস্তকে স্বীকার করে নিয়েছেন স্পেনের শ্রেষ্ঠত্ব। ‘ওরা এই গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। ওদের কোনো দুর্বলতাই নেই’—স্পেন দলটির দিকে তাকিয়ে যেন বিস্ময়ের শেষ নেই সুইজারল্যান্ড কোচের।
তাহলে আজ ডারবানের শীতার্ত বিকেলে গ্রুপ ‘এইচ’-এর দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে স্পেনের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকবে সুইজারল্যান্ড? তাই হয় নাকি! এটা বিশ্বকাপ, একটা গ্রুপ ম্যাচই শুধু। বর্তমান বিশ্বের সেরা দলটির সঙ্গে লড়তে সুইজারল্যান্ডকেও তাই প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। নিজেরা ন্যূনতম যে লক্ষ্য বেঁধে নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছে, সেদিকে পা ফেলতে হবে। সেই লক্ষ্যটা, গত বিশ্বকাপের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার কড়ি জোগাড় করা। আর তা করতে হলে দরকার একটা পয়েন্ট। তা না পারলেও অন্তত এই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে মাঠছাড়া যে ‘আমরা পারি। স্পেনের মতো দলের সঙ্গে যদি লড়তে পারি, তাহলে হন্ডুরাস, চিলির মতো দলের সঙ্গে কিছু করতে পারবই।’
সুইজারল্যান্ডের আক্রমণের সবচেয়ে বড় ভরসা আলেক্সান্ডার ফ্রেই বলেছেন, ‘আমরা কোনো ইতিবাচক ফলের গ্যারান্টি হয়তো দিতে পারছি না। তবে এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ম্যাচ শেষে অনুতাপে পুড়ব না যে আমরা সবটুকু ঢেলে চেষ্টাটা করিনি।’
ইতালিয়ান ক্লাব লাৎসিওতে খেলা সুইস ডিফেন্ডার স্টেফান লিস্টানিয়ার অবশ্য ফ্রেইয়ের চেয়ে কথাবার্তায় একটু বেশিই আক্রমণাত্মক, স্পেনকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েও ভয়হীন আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে চান তাদের বিপক্ষে, ‘আমাদের প্রস্তুতিটা এ পর্যন্ত দারুণই বলব। ওরা তো বল পায়ে নিয়ে খেলার বাইরে কিছু করবে না, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভালো করব। এটা একটা ম্যাচ খেলা ছাড়া তো আর কিছু নয়।’
রজার ফেদেরারের মতো কণ্ঠে নম্রতা মিশিয়ে গোলরক্ষক ডিয়েগো বেনাগ্লিয়ো বলেছেন সবচেয়ে কঠিন কথাটা, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টে শুধু অংশ নিতেই আসিনি, আমরা অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে চাই।’
এই কথাটার মধ্যে মহাবীর আলেক্সান্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে পুঁচকে রাজা পুরুর ঔদ্ধত্য আপনি খুঁজে নিতে পারেন। কিন্তু লড়াইয়ের আগে উদ্বুদ্ধকরণের একটা মন্ত্র তো লাগে। ধরে নিন, ফ্রেই, লিস্টানিয়ার বা বেনাগ্লিয়ো সেই মন্ত্রটাই এভাবে জপছেন।
যুদ্ধের আরেকটা কৌশল হলো আপনি যখন দেখছেন প্রতিপক্ষ অনেক শক্তিশালী, তাদের শুধু নমঃ নমঃ করতে থাকুন। তাহলে প্রতিপক্ষ নিজেদের দুর্বলতা সম্পর্কে ‘অন্ধ’ থেকে যাবে। আর সেই ফাঁকা জায়গা দিয়েই আপনি ঢুকে পড়বেন শত্রুব্যূহে। হিজফেল্ডের কথাগুলোকে তেমন মনে হতে পারে। সুইজারল্যান্ডের কোচ বারবার বলছেন ওরা অসাধারণ, ওরা অন্য পৃথিবীর, ওরা নিখুঁত। তার পরও আশায় আছেন, ‘জয় আমাদের পক্ষেও সম্ভব, যদি আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারি।’ কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে হিজফেল্ডের বলা এই দূরতর বিশ্বাসের কথাটাও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে প্রায় সবারই। সেরাটা খেলতে হবে, তবে স্পেনের বিপক্ষে সেটিরও যে কোনো মানদণ্ড নেই।
জাভি আলোনসো অকুতোভয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, ‘আমরা কাউকেই ভয় পাই না।’ তো যারা কাউকেই ভয় পায় না, বরফ জমা আল্পসের পাদদেশে নিভৃতে থাকা ছোট্ট ফুটবলশক্তি সুইজারল্যান্ডকে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই স্পেনের।
ফেবারিটের তকমা গায়ে উঠে গেলে অনেক দলই চাপে পড়ে যায়। ইতিহাসের পাতায় পাতায় এমন উদাহরণ অজস্র। এই স্পেনই তো বারবার সেই পাতায় লিখিয়েছে নাম। ওই চাপের কাছে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্পেনের সাবেক বিশ্বকাপ অধিনায়ক ফার্নান্দো হিয়েরো মনে করছেন, এবার স্পেন ‘সত্যিকারের’ ফেবারিট, নকল নয়। কেননা, দুই বছর আগে ৪৪ বছরের অতৃপ্তি ঘুচিয়ে জেতা ইউরোর শিরোপাই তাদের মনের ভঙ্গুর প্রলেপটুকুকে সরিয়ে দিয়েছে।
সোনার জুতা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আসা স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়ার কথা শুনলে দুঙ্গা-কাকারা একটু বিব্রত হতে পারেন। ব্রাজিলের শিরোপা ষষ্ঠকের দুই স্বপ্ন সারথি ফেবারিট-তত্ত্বের মধ্যে খুঁজে পান ইউরোপের ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’। কিন্তু ভিয়া একে দেখছেন প্রশংসা বচন হিসেবে, এর মধ্যে খুঁজে পাচ্ছেন প্রেরণা, ‘ফেবারিট-তত্ত্ব কোনো চাপ নয়। এটা বরং একটা প্রশংসা। আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমাদের এই প্রত্যাশার চাপটা নিতেই হবে, কারণ মানুষ জানে আমরা ভালো খেলতে জানি এবং জিততে জানি।’
দুই দল প্রাথমিকভাবে যে ছকটা জানিয়েছে তাতে, আক্রমণাত্মক, সুন্দর ফুটবলের ছবিটাই ভেসে ওঠে চোখের সামনে—৪-৪-২। ইনজুরি থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে না ওঠায় আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা নেই এ ম্যাচে। ফার্নান্দো তোরেসের খেলা নিয়েও আছে সংশয়। তোরেস না থাকলে আক্রমণে শুধু ভিয়াকে নিয়ে ৪-৫-১ ফরমেশনে চলে যেতে পারে স্পেন। তার পরও সুন্দর ফুটবলের আশাটা থাকছে। কারণ দলটি যে স্পেন, লা ফুরিয়া রোজা। যারা গোলাপের সুবাস ছড়াতে পারে মাঠে। এ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে সুন্দর ফুটবল দিতে পারেনি বিশ্বকাপ। সুন্দর ফুটবলের জন্য তাই চাতক তৃষ্ণা নিয়েই সবাই যাবে ডারবানের মাঠে।
‘অসহ্য রকম সুন্দর’ এই স্পেন সেই আশাটিকে চোরাবালিতে ছুড়ে না ফেললেই হয়। ফলের চিন্তাটাকে আজ মাথা থেকে একটু সরিয়েই রাখুন!
No comments