বিশ্বকাপে উড়ছে এশিয়ার পতাকা
উত্তর কোরিয়া কাল রাতে ব্রাজিলের বিপক্ষে যে ফলই করুক না কেন, ইতিহাসে তাদের জন্য বরাদ্দ পাতাটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ৪৪ বছর আগে সর্বশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিল কোরিয়ান দলটি। প্রথম আগমনেই দুনিয়াকে চমকে দিয়ে প্রথম এশিয়ান দেশ হিসেবে পৌঁছে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।
তারপর থেকে পৃথিবীর মানচিত্র কতবার বদলালো, এশিয়ার সুদিন আসতে আসতে লাগল ২০০২ বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ কেরিয়া, দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিল জাপানও।
আফ্রিকার বিশ্বকাপ কেমন যেন এশিয়ার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। জয় দিয়েই এবারের বিশ্বকাপ শুরু এশিয়ার দুই দল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার। উত্তর কোরিয়া জয় দিয়ে শুরু করতে পারুক আর নাই পারুক, ২০০২-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন এবার এশিয়রা দেখতেই পারে।
অথচ ২০০২ বিশ্বকাপটা এশিয়ার জন্য বড় শঙ্কা নিয়েই শুরু হয়েছিল। এশিয়ায় প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তো ছিলই, শঙ্কা ছিল স্বাগতিক দুই দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। মনে করা হচ্ছিল, স্বাগতিক দু দলই হয়তো ছিটকে পড়বে প্রথম পর্ব থেকে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া পাঁচবার বিশ্বকাপ খেললেও কখনোই প্রথম পর্ব পার হতে পারেনি। আর জাপান ২০০২-এর আগে একটিই বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯৮ সালে; সেবার তিন ম্যাচের সবগুলোতে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। এমন দুটি দল আবারও সবাইকে হতাশ করবে, এবার সবাই ধরে নিয়েছিল সেরকমই। সব অনুমানের মুখে ছাই দিয়ে জাপান দ্বিতীয়পর্বে পৌঁছে গিয়েছিল। আর পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ইতালি ও স্পেনকে হারানোর পর দক্ষিণ কোরিয়ার স্বপ্নযাত্রা থেমেছিল গিয়ে সেমিফাইনালে; জার্মানির কাছে হেরে।
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াই মাঠে নেমেছিল সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের বিপক্ষে। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে নয়নজুড়ানো গোল করে এশিয়ার শুভ সূচনা করলেন সেই পার্ক জি সুং। গ্রিসের বিপক্ষে পার্কদের জয়টা খুব বড় কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু জাপান তো প্রায় অঘটনই ঘটিয়ে ফেললো!
আগের দিনই স্যামুয়েল ইতো তার ক্যামেরুনকে ‘বিশ্বসেরা’ দল বলে দাবি করে বিশ্বজয়ের ঘোষনা দিয়েছিলেন। ইতোর ঘোষনাটা হয়তো বাড়াবাড়ি ছিল। তাই বলে জাপানের কাছে হেরে যাওয়ার মত দল তারা না। হলো কিন্তু সেটাই! ইতোদের মুখটা অন্ধকারে ঢেকে দিলেন কিউসুকে হোন্ডা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আফ্রিকান দলটিকে নিস্তব্ধ করে দিলেন জাপানী এই স্ট্রাইকার। ক্যামেরুনের নিস্তব্দতায় শব্দমুখর হয়ে উঠেছে জাপানের উৎসব।
দেশের বাইরে কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচে এটাই প্রথম জয় জাপানের। আর এই জয়ে আরেকবার দ্বিতীয় পর্বের যাওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারছে সূর্যোদয়ের দেশ। জাপানীদের উল্লাস করাটাই স্বাভাবিক। উল্লাসটা টের পাওয়া যাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। দেশটির ক্রীড়াদৈনিক স্পোর্টস নিপ্পন প্রথম পাতায় ‘জাপান জিতেছে!!’ শিরোনামে বিশাল সংবাদ ছেপেছে। দেশের প্রায় সব দৈনিকেই প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে হোন্ডার বিশাল ছবি। ইয়োমিউরি শিমবুন পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘হোন্ডার প্রথম চাল টিকে গেল শক্ত রক্ষনের কারণে।’
এখন দেখার পালা এশিয়ার তিন দল বিশ্বকাপে নিজেদের কতদূর টিকিয়ে রাখতে পারে।
তারপর থেকে পৃথিবীর মানচিত্র কতবার বদলালো, এশিয়ার সুদিন আসতে আসতে লাগল ২০০২ বিশ্বকাপ। সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ কেরিয়া, দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছিল জাপানও।
আফ্রিকার বিশ্বকাপ কেমন যেন এশিয়ার সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। জয় দিয়েই এবারের বিশ্বকাপ শুরু এশিয়ার দুই দল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার। উত্তর কোরিয়া জয় দিয়ে শুরু করতে পারুক আর নাই পারুক, ২০০২-কে ছাড়িয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন এবার এশিয়রা দেখতেই পারে।
অথচ ২০০২ বিশ্বকাপটা এশিয়ার জন্য বড় শঙ্কা নিয়েই শুরু হয়েছিল। এশিয়ায় প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তো ছিলই, শঙ্কা ছিল স্বাগতিক দুই দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। মনে করা হচ্ছিল, স্বাগতিক দু দলই হয়তো ছিটকে পড়বে প্রথম পর্ব থেকে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া পাঁচবার বিশ্বকাপ খেললেও কখনোই প্রথম পর্ব পার হতে পারেনি। আর জাপান ২০০২-এর আগে একটিই বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯৮ সালে; সেবার তিন ম্যাচের সবগুলোতে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। এমন দুটি দল আবারও সবাইকে হতাশ করবে, এবার সবাই ধরে নিয়েছিল সেরকমই। সব অনুমানের মুখে ছাই দিয়ে জাপান দ্বিতীয়পর্বে পৌঁছে গিয়েছিল। আর পোল্যান্ড, পর্তুগাল, ইতালি ও স্পেনকে হারানোর পর দক্ষিণ কোরিয়ার স্বপ্নযাত্রা থেমেছিল গিয়ে সেমিফাইনালে; জার্মানির কাছে হেরে।
এবারের বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াই মাঠে নেমেছিল সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়ন গ্রিসের বিপক্ষে। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে নয়নজুড়ানো গোল করে এশিয়ার শুভ সূচনা করলেন সেই পার্ক জি সুং। গ্রিসের বিপক্ষে পার্কদের জয়টা খুব বড় কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু জাপান তো প্রায় অঘটনই ঘটিয়ে ফেললো!
আগের দিনই স্যামুয়েল ইতো তার ক্যামেরুনকে ‘বিশ্বসেরা’ দল বলে দাবি করে বিশ্বজয়ের ঘোষনা দিয়েছিলেন। ইতোর ঘোষনাটা হয়তো বাড়াবাড়ি ছিল। তাই বলে জাপানের কাছে হেরে যাওয়ার মত দল তারা না। হলো কিন্তু সেটাই! ইতোদের মুখটা অন্ধকারে ঢেকে দিলেন কিউসুকে হোন্ডা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে আফ্রিকান দলটিকে নিস্তব্ধ করে দিলেন জাপানী এই স্ট্রাইকার। ক্যামেরুনের নিস্তব্দতায় শব্দমুখর হয়ে উঠেছে জাপানের উৎসব।
দেশের বাইরে কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচে এটাই প্রথম জয় জাপানের। আর এই জয়ে আরেকবার দ্বিতীয় পর্বের যাওয়ার স্বপ্নও দেখতে পারছে সূর্যোদয়ের দেশ। জাপানীদের উল্লাস করাটাই স্বাভাবিক। উল্লাসটা টের পাওয়া যাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। দেশটির ক্রীড়াদৈনিক স্পোর্টস নিপ্পন প্রথম পাতায় ‘জাপান জিতেছে!!’ শিরোনামে বিশাল সংবাদ ছেপেছে। দেশের প্রায় সব দৈনিকেই প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে হোন্ডার বিশাল ছবি। ইয়োমিউরি শিমবুন পত্রিকায় লেখা হয়েছে, ‘হোন্ডার প্রথম চাল টিকে গেল শক্ত রক্ষনের কারণে।’
এখন দেখার পালা এশিয়ার তিন দল বিশ্বকাপে নিজেদের কতদূর টিকিয়ে রাখতে পারে।
No comments