সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে সীমিত সাফল্য দাবি বিপির
মেক্সিকো উপসাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেলক্ষেত্রের সরবরাহ পাইপের ছিদ্র বন্ধ করার পরীক্ষামূলক উদ্যোগের সীমিত সাফল্য দাবি করেছে তেলক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি)। গত রোববার বিকেলে এই সাফল্যের কথা জানায় বিপি।
বিপির ঘোষণায় বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত একটি পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে প্রকৌশলীরা সফলভাবে একটি টিউব প্রবেশ করাতে পেরেছেন। টিউবটি ছিদ্রের মুখে বসানো হলেও প্রথমে তা সরে যায়। পরে টিউবটি আবার ছিদ্রের মুখে স্থাপন করা হয়েছে। এতে তেল বেরিয়ে আসা কিছুটা ঠেকানো গেছে। ঘোষণায় বলা হয়, উপসাগরের পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে এই টিউব স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ থেকে তেল উপচে পড়া ঠেকাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখেছে বিপি। তবে কোনোটিই সফল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার কারণে দৈনিক কমপক্ষে দুই লাখ ১০ হাজার গ্যালন তেল সাগরে মিশছে। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, অ্যালাবামা ও ফ্লোরিডা উপকূলের স্পর্শকাতর জলাভূমি ও সাগরতীর পরিবেশগত হুমকির মুখে রয়েছে।
বিপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ হাজার ফুট নিচে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপের একটি অংশ দিয়ে বেশি পরিমাণে তেল বেরিয়ে আসছে। ওই স্থানেই পাঁচ ফুট দীর্ঘ টিউবটি স্থাপনের চেষ্টা শুরু করা হয় গত শুক্রবার থেকে। দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজের মাধ্যমে ওই রাবার টিউবটি স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। প্রাথমিক উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর যন্ত্রগুলো সাগরতল থেকে তুলে আনা হয়েছিল।
তেল উপচে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে বিপি আরও বেশ কয়েকটি স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ পরীক্ষা করে দেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে ছিদ্রের মুখে টুপি আকারের নিয়ন্ত্রক বসানো, সিমেন্ট ও কাদা দিয়ে ছিদ্রটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা ইত্যাদি। আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে ওই তেলক্ষেত্রে দুটি বিকল্প তেলকূপ খননের কাজ চলছে। তবে আগামী আগস্টের আগে তা শেষ হবে না।
এদিকে বিজ্ঞানীরা মেক্সিকো উপসাগরের গভীর পানিতে ১০ মাইল দীর্ঘ ও এক মাইল চওড়া তেলের স্তর শনাক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, সাগরের কিছু এলাকায় অক্সিজেনের মাত্রা ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এই পরিবেশগত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে ওই অঞ্চলের সাগর ও উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর পরিবেশগত হুমকি তৈরি হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় তেলক্ষেত্রের ১১ জন কর্মীও নিহত হন।
বিপির ঘোষণায় বলা হয়, ক্ষতিগ্রস্ত একটি পাইপের ছিদ্র বন্ধ করতে প্রকৌশলীরা সফলভাবে একটি টিউব প্রবেশ করাতে পেরেছেন। টিউবটি ছিদ্রের মুখে বসানো হলেও প্রথমে তা সরে যায়। পরে টিউবটি আবার ছিদ্রের মুখে স্থাপন করা হয়েছে। এতে তেল বেরিয়ে আসা কিছুটা ঠেকানো গেছে। ঘোষণায় বলা হয়, উপসাগরের পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে এই টিউব স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপ থেকে তেল উপচে পড়া ঠেকাতে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখেছে বিপি। তবে কোনোটিই সফল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুর্ঘটনার কারণে দৈনিক কমপক্ষে দুই লাখ ১০ হাজার গ্যালন তেল সাগরে মিশছে। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, অ্যালাবামা ও ফ্লোরিডা উপকূলের স্পর্শকাতর জলাভূমি ও সাগরতীর পরিবেশগত হুমকির মুখে রয়েছে।
বিপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের পাঁচ হাজার ফুট নিচে তেলক্ষেত্রের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপের একটি অংশ দিয়ে বেশি পরিমাণে তেল বেরিয়ে আসছে। ওই স্থানেই পাঁচ ফুট দীর্ঘ টিউবটি স্থাপনের চেষ্টা শুরু করা হয় গত শুক্রবার থেকে। দূরনিয়ন্ত্রিত ডুবোজাহাজের মাধ্যমে ওই রাবার টিউবটি স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। প্রাথমিক উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর যন্ত্রগুলো সাগরতল থেকে তুলে আনা হয়েছিল।
তেল উপচে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে বিপি আরও বেশ কয়েকটি স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ পরীক্ষা করে দেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে ছিদ্রের মুখে টুপি আকারের নিয়ন্ত্রক বসানো, সিমেন্ট ও কাদা দিয়ে ছিদ্রটি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা ইত্যাদি। আর দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে ওই তেলক্ষেত্রে দুটি বিকল্প তেলকূপ খননের কাজ চলছে। তবে আগামী আগস্টের আগে তা শেষ হবে না।
এদিকে বিজ্ঞানীরা মেক্সিকো উপসাগরের গভীর পানিতে ১০ মাইল দীর্ঘ ও এক মাইল চওড়া তেলের স্তর শনাক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, সাগরের কিছু এলাকায় অক্সিজেনের মাত্রা ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এই পরিবেশগত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।
গত মাসের শেষ দিকে মেক্সিকো উপসাগরে ওই তেলক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সাগরে তেল ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এতে ওই অঞ্চলের সাগর ও উপকূলীয় এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর পরিবেশগত হুমকি তৈরি হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় তেলক্ষেত্রের ১১ জন কর্মীও নিহত হন।
No comments