কোচকেই দুষছেন সবাই
১৪ মাস ধরে বাংলাদেশ হকি দলের কোচের দায়িত্বে আছেন পিটার গেরহার্ড। এর মধ্যে এশিয়া কাপ, রাশিয়ায় চার জাতি টুর্নামেন্ট, দক্ষিণ এশীয় গেমস (এসএ গেমস) ও এশিয়ান গেমস বাছাই—চারটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলল বাংলাদেশ। শুধু এসএ গেমস ছাড়া, অন্য টুর্নামেন্টে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্সই নেই তাদের। এবারের এশিয়ান গেমস বাছাই হকিতে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা রীতিমতো ধুঁকেছে। দলের এমন পারফরম্যান্সে সাবেক খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা হতাশ।
ফেডারেশনের দায়সারা মনোভাব, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোচের তারুণ্যপ্রীতি নিয়েও অসন্তুষ্ট অনেকেই। প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক মামুনুর রশিদ জানালেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমাদের হেসেখেলে জেতার কথা। অথচ পুরো টুর্নামেন্টেই খেলেছি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।’ কোচের দিকেই বেশি অভিযোগ তাঁর, ‘আমি নির্বাচকদের একজন। অথচ আমাকে ছাড়াই দল নির্বাচন করেন কোচ। কিছু বলতে গেলে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেন।’ কোচের অনুশীলনের পদ্ধতি দেখেও সন্তুষ্ট নন তিনি, ‘উনি এক দিন প্র্যাকটিস করান তো তিন দিন বন্ধ রাখেন।’ সাবেক খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম সমস্যা দেখছেন অন্যখানে, ‘সমন্বয়হীনতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে দলে।’ অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে তারুণ্যনির্ভর দল গড়ায় ক্ষুব্ধ আরেক সাবেক খেলোয়াড় শহীদুল্লাহ, ‘ব্যর্থতার প্রধান কারণ কোচ। উনি অভিজ্ঞদের দলেই নেন না। আমরা যখন খেলেছি তখন এসব দল আমাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। অথচ এখন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও হার দেখতে হচ্ছে আমাদের। আমরা আরও পিছিয়ে যাচ্ছি।’ সদ্যই হকিস্টিক তুলে রাখা মওদুদুর রহমান (শুভ) ইসা-মুসাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই দেখে অবাক হয়েছেন, ‘ইসা-মুসাদের মতো খেলোয়াড়েরা দলে থাকার নিশ্চয়তা চেয়েছিল। তাদের সেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। অথচ নেদারল্যান্ডে থাকা মিমোকে ঠিকই দলে রাখা হলো। যে এল খেলা শুরুর দুই দিন আগে।’ হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী দলের পারফরম্যান্সে ব্যথিত, ‘ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া যায় না।’
খেলোয়াড়েরাও মেনে নিয়েছেন পারফরম্যান্স মোটেই প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে এই ব্যর্থতা তাঁরা কাটিয়ে উঠতে চান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় জানান, ‘আমরা হয়তো পাঁচ মাসের জন্য আবারও ইউরোপ সফরে যাচ্ছি। যত দূর সম্ভব কানাডা বা স্কটল্যান্ডে যেতে পারি। সেখানেই হবে আমাদের এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি।’
ফেডারেশনের দায়সারা মনোভাব, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব, কোচের তারুণ্যপ্রীতি নিয়েও অসন্তুষ্ট অনেকেই। প্রধান নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক মামুনুর রশিদ জানালেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমাদের হেসেখেলে জেতার কথা। অথচ পুরো টুর্নামেন্টেই খেলেছি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।’ কোচের দিকেই বেশি অভিযোগ তাঁর, ‘আমি নির্বাচকদের একজন। অথচ আমাকে ছাড়াই দল নির্বাচন করেন কোচ। কিছু বলতে গেলে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে দেন।’ কোচের অনুশীলনের পদ্ধতি দেখেও সন্তুষ্ট নন তিনি, ‘উনি এক দিন প্র্যাকটিস করান তো তিন দিন বন্ধ রাখেন।’ সাবেক খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম সমস্যা দেখছেন অন্যখানে, ‘সমন্বয়হীনতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে দলে।’ অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে তারুণ্যনির্ভর দল গড়ায় ক্ষুব্ধ আরেক সাবেক খেলোয়াড় শহীদুল্লাহ, ‘ব্যর্থতার প্রধান কারণ কোচ। উনি অভিজ্ঞদের দলেই নেন না। আমরা যখন খেলেছি তখন এসব দল আমাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। অথচ এখন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও হার দেখতে হচ্ছে আমাদের। আমরা আরও পিছিয়ে যাচ্ছি।’ সদ্যই হকিস্টিক তুলে রাখা মওদুদুর রহমান (শুভ) ইসা-মুসাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই দেখে অবাক হয়েছেন, ‘ইসা-মুসাদের মতো খেলোয়াড়েরা দলে থাকার নিশ্চয়তা চেয়েছিল। তাদের সেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। অথচ নেদারল্যান্ডে থাকা মিমোকে ঠিকই দলে রাখা হলো। যে এল খেলা শুরুর দুই দিন আগে।’ হকি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল বারী দলের পারফরম্যান্সে ব্যথিত, ‘ঘরের মাঠে এমন পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া যায় না।’
খেলোয়াড়েরাও মেনে নিয়েছেন পারফরম্যান্স মোটেই প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে এই ব্যর্থতা তাঁরা কাটিয়ে উঠতে চান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় জানান, ‘আমরা হয়তো পাঁচ মাসের জন্য আবারও ইউরোপ সফরে যাচ্ছি। যত দূর সম্ভব কানাডা বা স্কটল্যান্ডে যেতে পারি। সেখানেই হবে আমাদের এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি।’
No comments