বালাকের বিশ্বকাপ শেষ
দু-দুটো বিশ্বকাপ ট্রফির খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছেন মাইকেল বালাক। এবার তৃতীয় চেষ্টায় বিশ্বকাপটা জিতে শেষ করতে চেয়েছিলেন অভিযান। মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। নিজের ভালো ফর্ম ছিল, দল ভালোই করছিল। তাঁর ঝলসে ওঠার অপেক্ষায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু হায়! নিয়তি কাল হয়ে দাঁড়াল। এফএ কাপের ফাইনালে গোড়ালির ইনজুরির চেহারা নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল মাইকেল বালাকের নিষ্ঠুর নিয়তি। জার্মান ফুটবল ফেডারেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাল জানিয়ে দিয়েছে, ‘জাতীয় দলের অধিনায়ক মাইকেল বালাকের ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না।’
এ ঘোষণাই শেষ করে দিল মাইকেল বালাকের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন। চেলসির শিরোপা জেতা এফএ কাপ ফাইনালের ওই ইনজুরি বালাককে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে ফেলার সঙ্গে একটা আন্তর্জাতিক বিতর্কও তুলে দিয়েছে। বালাকের ইনজুরির কারণ যে পোর্টসমাউথ মিডফিল্ডার কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং-এর ‘জঘন্য’ ট্যাকেল। জার্মান বংশোদ্ভূত বোয়াটেং আবার ঘানার ফুটবলার। বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণ, ঘানা আর জার্মানি এবারের বিশ্বকাপে খেলবে একই গ্রুপে!
ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার বোয়াটেং ইচ্ছে করে বালাককে আহত করেছেন কি না, সেটা বিতর্কের বিষয়। তবে এ দুর্ঘটনায় বালাকের জন্য বিশ্বকাপটা চির-আক্ষেপের নামই হয়ে গেল। টানা দুটি বিশ্বকাপে ‘ফিফা অল স্টার টিম’-এ সুযোগ পেলেও ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি। ২০০২ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে বালাকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জার্মানি উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু কার্ড-গেরোতে আটকে বেঞ্চে বসে দেখতে হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে জার্মানির পরাজয়।
২০০৬ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন বালাক। কিন্তু সেমিফাইনালে ১১৯ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকা ম্যাচে ০-২ গোলের হার দেখতে হয়েছিল ইতালির বিপক্ষে।
এবার আরেকটা চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন বালাক। দারুণ খেলছিলেন চেলসির হয়ে, জার্মানির হয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪টি গোল করেছেন। তাঁর ফর্ম দেখেই কোচ জোয়াকিম লো বলেছিলেন, ‘মাইকেল বালাকই আমার অধিনায়ক। মাইকেল বালাকই আমার দলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় খেলোয়াড়।’
লোর এই বক্তব্যের সপক্ষে দারুণ যুক্তি খুঁজে পেতে পারেন। বালাকের রেকর্ড বলছে, ২০০৫ সালের জুন থেকে বালাক গোল করেছেন, এমন ম্যাচে জার্মানি হারেনি। এমন একজন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি নিয়ে তোলপাড় হবে না!
সেটাই শুরু হয়েছে। ইনজুরিতে পড়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের জন্য এক দিন অপেক্ষা করেছিল জার্মান ফেডারেশন। সেই ফল হাতে পেয়েই তারা আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, ‘তার (বালাকের) ডান গোড়ালি প্লাস্টারের মধ্যে থাকায় নাড়াচাড়া করা সম্ভব হবে না। তাকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ বিশেষ জুতা পরে থাকতে হবে।’
এই খবরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে। অনেক জার্মান সমর্থক বালাকের এই ইনজুরিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। ষড়যন্ত্র মানে সোজা কথা, ঘানার সুবিধার জন্য ইচ্ছে করে বালাককে আহত করেছেন বোয়েটাং। এই তত্ত্বের পালে হাওয়া জোগাচ্ছে বোয়েটাংয়ের অতীত।
জার্মান মা ও ঘানাইয়ান বাবার ছেলে বোয়েটাংয়ের অভিষেক হয়েছিল হার্থা বার্লিনের হয়ে। একসময় জার্মান অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁর আপন ছোট ভাই জেরোম বোয়েটাং আবার জার্মানির প্রাথমিক দলেই আছেন। আর এসব মিলিয়েই অনেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।
বালাক নিজেও একটা গন্ধ পাচ্ছেন। তবে গন্ধটা কিসের, সেটা পরিষ্কার করে না বললেও বলেছেন, মোটেও ফুটবলীয় ট্যাকেল ছিল না ওটা, ‘এটা মোটেও ভালো ট্যাকেল ছিল না। আমি মাঠেও বুঝেছি। পরে টিভিতে দেখে নিশ্চিত হয়েছি।’
বালাকের মতো এত কূটনৈতিক কথা বলার প্রয়োজন নেই সাবেক জার্মান খেলোয়াড় ও কোচ রুডি ফোলারের। তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন, এটা বালাকের ওপর নৃশংস একটা আক্রমণ, ‘বালাকের জন্য এটা নৃশংস এবং জঘন্য। ও আরেকটা বিশ্বকাপের জন্য খুব আশাবাদী ছিল।’
এটাই শেষ কথা। আরেকটা বিশ্বকাপ খেলা হলো না বালাকের। আর কখনোই সম্ভবত বিশ্বকাপ খেলা হবে না তাঁর।
কিন্তু হায়! নিয়তি কাল হয়ে দাঁড়াল। এফএ কাপের ফাইনালে গোড়ালির ইনজুরির চেহারা নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াল মাইকেল বালাকের নিষ্ঠুর নিয়তি। জার্মান ফুটবল ফেডারেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাল জানিয়ে দিয়েছে, ‘জাতীয় দলের অধিনায়ক মাইকেল বালাকের ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না।’
এ ঘোষণাই শেষ করে দিল মাইকেল বালাকের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন। চেলসির শিরোপা জেতা এফএ কাপ ফাইনালের ওই ইনজুরি বালাককে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে ফেলার সঙ্গে একটা আন্তর্জাতিক বিতর্কও তুলে দিয়েছে। বালাকের ইনজুরির কারণ যে পোর্টসমাউথ মিডফিল্ডার কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং-এর ‘জঘন্য’ ট্যাকেল। জার্মান বংশোদ্ভূত বোয়াটেং আবার ঘানার ফুটবলার। বিতর্ক তৈরি হওয়ার কারণ, ঘানা আর জার্মানি এবারের বিশ্বকাপে খেলবে একই গ্রুপে!
ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার বোয়াটেং ইচ্ছে করে বালাককে আহত করেছেন কি না, সেটা বিতর্কের বিষয়। তবে এ দুর্ঘটনায় বালাকের জন্য বিশ্বকাপটা চির-আক্ষেপের নামই হয়ে গেল। টানা দুটি বিশ্বকাপে ‘ফিফা অল স্টার টিম’-এ সুযোগ পেলেও ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি। ২০০২ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে বালাকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জার্মানি উঠেছিল ফাইনালে। কিন্তু কার্ড-গেরোতে আটকে বেঞ্চে বসে দেখতে হয়েছিল ব্রাজিলের কাছে জার্মানির পরাজয়।
২০০৬ বিশ্বকাপে নিজেদের মাটিতে আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন বালাক। কিন্তু সেমিফাইনালে ১১৯ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকা ম্যাচে ০-২ গোলের হার দেখতে হয়েছিল ইতালির বিপক্ষে।
এবার আরেকটা চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন বালাক। দারুণ খেলছিলেন চেলসির হয়ে, জার্মানির হয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৪টি গোল করেছেন। তাঁর ফর্ম দেখেই কোচ জোয়াকিম লো বলেছিলেন, ‘মাইকেল বালাকই আমার অধিনায়ক। মাইকেল বালাকই আমার দলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় খেলোয়াড়।’
লোর এই বক্তব্যের সপক্ষে দারুণ যুক্তি খুঁজে পেতে পারেন। বালাকের রেকর্ড বলছে, ২০০৫ সালের জুন থেকে বালাক গোল করেছেন, এমন ম্যাচে জার্মানি হারেনি। এমন একজন খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি নিয়ে তোলপাড় হবে না!
সেটাই শুরু হয়েছে। ইনজুরিতে পড়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলের জন্য এক দিন অপেক্ষা করেছিল জার্মান ফেডারেশন। সেই ফল হাতে পেয়েই তারা আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, ‘তার (বালাকের) ডান গোড়ালি প্লাস্টারের মধ্যে থাকায় নাড়াচাড়া করা সম্ভব হবে না। তাকে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ বিশেষ জুতা পরে থাকতে হবে।’
এই খবরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে জার্মানিতে। অনেক জার্মান সমর্থক বালাকের এই ইনজুরিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছেন। ষড়যন্ত্র মানে সোজা কথা, ঘানার সুবিধার জন্য ইচ্ছে করে বালাককে আহত করেছেন বোয়েটাং। এই তত্ত্বের পালে হাওয়া জোগাচ্ছে বোয়েটাংয়ের অতীত।
জার্মান মা ও ঘানাইয়ান বাবার ছেলে বোয়েটাংয়ের অভিষেক হয়েছিল হার্থা বার্লিনের হয়ে। একসময় জার্মান অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন। তাঁর আপন ছোট ভাই জেরোম বোয়েটাং আবার জার্মানির প্রাথমিক দলেই আছেন। আর এসব মিলিয়েই অনেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।
বালাক নিজেও একটা গন্ধ পাচ্ছেন। তবে গন্ধটা কিসের, সেটা পরিষ্কার করে না বললেও বলেছেন, মোটেও ফুটবলীয় ট্যাকেল ছিল না ওটা, ‘এটা মোটেও ভালো ট্যাকেল ছিল না। আমি মাঠেও বুঝেছি। পরে টিভিতে দেখে নিশ্চিত হয়েছি।’
বালাকের মতো এত কূটনৈতিক কথা বলার প্রয়োজন নেই সাবেক জার্মান খেলোয়াড় ও কোচ রুডি ফোলারের। তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন, এটা বালাকের ওপর নৃশংস একটা আক্রমণ, ‘বালাকের জন্য এটা নৃশংস এবং জঘন্য। ও আরেকটা বিশ্বকাপের জন্য খুব আশাবাদী ছিল।’
এটাই শেষ কথা। আরেকটা বিশ্বকাপ খেলা হলো না বালাকের। আর কখনোই সম্ভবত বিশ্বকাপ খেলা হবে না তাঁর।
No comments