তুরস্কে ইউরেনিয়াম পাঠাতে রাজি হয়েছে ইরান
ইরান, ব্রাজিল ও তুরস্কের মধ্যে একটি পরমাণু জ্বালানি বিনিময় চুক্তি হয়েছে। গতকাল সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইরান তার স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তুরস্ক প্রয়োজনীয় মাত্রায় এই ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করবে এবং তেহরানকে তা ফেরত দেবে।
এ চুক্তির ফলে ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে চলমান অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের মধ্যে সফল আলোচনার পর এ চুক্তি সম্পাদিত হলো। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ চুক্তিতে সই করেন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ চুক্তির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েল বলেছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরান আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
ইরানের আণবিক সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেছেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পর বল এখন পশ্চিমা বিশ্বের কোর্টে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল ও তুরস্কের প্রস্তাব গ্রহণ করে ইরান তার সদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে। বল এখন পশ্চিমাদের কোর্টে। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে ইরানের সহযোগিতার আহ্বানে ভিয়েনা গ্রুপের (যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া) যথোপযুক্ত সাড়া দেওয়া উচিত।’
ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ আশা প্রকাশ করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ও জার্মানি তেহরানের সঙ্গে সততা, সম্মান ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে আলোচনায় বসবে এবং তেহরানের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মনোযোগ দেবে।’
ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের স্বল্পমাত্রার ইউরেনিয়াম যখন তুরস্কে পৌঁছাবে তখনো তার মালিকানা তেহরানেরই হাতে থাকবে।
ইউরেনিয়ামের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইরান ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে আইএইএকে জানানো হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত বলেন, আইএইএর মাধ্যমে চুক্তিটির বিষয়ে ভিয়েনা গ্রুপকে জানানো হবে। তিনি জানান, তেহরান এক মাসের মধ্যে এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তেহরানের গবেষণা চুল্লির কাজে ব্যবহারের জন্য সেখান থেকে ১২০ কেজি ইউরেনিয়াম এক বছর পর আবার ফেরত আনা হবে।
চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তুরস্ক ও ব্রাজিলের সঙ্গে ইরান প্রতারণা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ইরান এর আগেও একই ধরনের প্রতারণা করেছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে ইরান অতীতেও তাদের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বলেছিল। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ফের অবরোধ আরোপের ‘কোনো কারণই’ দেখছে না আঙ্কারা। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। এ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা (তুরস্ক ও ব্রাজিল) আশ্বস্ত করছি যে ইরানের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম এখন থেকে তুরস্কে থাকবে।’
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলসো অ্যামোরিম বলেন, চুক্তির ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার সুযোগ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির দুটি বড় দিক রয়েছে। একটি হলো, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরানকে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচি চালানোর অধিকার দেওয়া হলো। আরেকটি হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্যের ব্যাপারে ইরানের অঙ্গীকার করতে হবে।’
ইরান বরাবরই জোর দিয়ে বলে আসছিল, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য তারা নিজস্ব ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির লক্ষ্যে গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। তবে তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্বশক্তি তেহরানের বিরুদ্ধে ফের অবরোধ আরোপের চিন্তাভাবনা করছে। এ অবস্থায় তুরস্ক ও ব্রাজিল চলমান অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়। ইরান সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি তারই ফল।
এ চুক্তির ফলে ইরানের বিরুদ্ধে চতুর্থ দফা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে চলমান অচলাবস্থার নিরসন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুই ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের মধ্যে সফল আলোচনার পর এ চুক্তি সম্পাদিত হলো। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ চুক্তিতে সই করেন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ চুক্তির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েল বলেছে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরান আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
ইরানের আণবিক সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেছেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পর বল এখন পশ্চিমা বিশ্বের কোর্টে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল ও তুরস্কের প্রস্তাব গ্রহণ করে ইরান তার সদিচ্ছার পরিচয় দিয়েছে। বল এখন পশ্চিমাদের কোর্টে। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে ইরানের সহযোগিতার আহ্বানে ভিয়েনা গ্রুপের (যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও রাশিয়া) যথোপযুক্ত সাড়া দেওয়া উচিত।’
ইরানের বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ আশা প্রকাশ করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ও জার্মানি তেহরানের সঙ্গে সততা, সম্মান ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে আলোচনায় বসবে এবং তেহরানের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে মনোযোগ দেবে।’
ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের স্বল্পমাত্রার ইউরেনিয়াম যখন তুরস্কে পৌঁছাবে তখনো তার মালিকানা তেহরানেরই হাতে থাকবে।
ইউরেনিয়ামের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ইরান ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। চুক্তির বিস্তারিত বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে আইএইএকে জানানো হবে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত বলেন, আইএইএর মাধ্যমে চুক্তিটির বিষয়ে ভিয়েনা গ্রুপকে জানানো হবে। তিনি জানান, তেহরান এক মাসের মধ্যে এক হাজার ২০০ কেজি ইউরেনিয়াম তুরস্কে পাঠাবে। তেহরানের গবেষণা চুল্লির কাজে ব্যবহারের জন্য সেখান থেকে ১২০ কেজি ইউরেনিয়াম এক বছর পর আবার ফেরত আনা হবে।
চুক্তির ব্যাপারে ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তুরস্ক ও ব্রাজিলের সঙ্গে ইরান প্রতারণা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘ইরান এর আগেও একই ধরনের প্রতারণা করেছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে এবং উত্তেজনা প্রশমনে ইরান অতীতেও তাদের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ করার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বলেছিল। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ফের অবরোধ আরোপের ‘কোনো কারণই’ দেখছে না আঙ্কারা। তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করা উচিত। এ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা (তুরস্ক ও ব্রাজিল) আশ্বস্ত করছি যে ইরানের স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ করা ইউরেনিয়াম এখন থেকে তুরস্কে থাকবে।’
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলসো অ্যামোরিম বলেন, চুক্তির ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার সুযোগ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চুক্তির দুটি বড় দিক রয়েছে। একটি হলো, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরানকে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচি চালানোর অধিকার দেওয়া হলো। আরেকটি হলো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্যের ব্যাপারে ইরানের অঙ্গীকার করতে হবে।’
ইরান বরাবরই জোর দিয়ে বলে আসছিল, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য তারা নিজস্ব ভূখণ্ডে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির লক্ষ্যে গোপনে পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। তবে তেহরান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্বশক্তি তেহরানের বিরুদ্ধে ফের অবরোধ আরোপের চিন্তাভাবনা করছে। এ অবস্থায় তুরস্ক ও ব্রাজিল চলমান অচলাবস্থা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়। ইরান সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি তারই ফল।
No comments