এইডস রোগীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা থাকছে না -ওবামার আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ
এইডস রোগের জীবাণুবাহীরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বা অভিবাসন নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে ২২ বছর ধরে চলে আসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় এইডস রোগীরা এ সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। ওই ঘোষণা দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, মরণঘাতী এইডস নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণ হবে বিশ্ব নেতৃত্বের। আগামী জানুয়ারি থেকে ঘোষণাটি কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এইডস রোগের জীবাণুবাহীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ১৯৮৭ সালে। এরপর পর্যটক থেকে শুরু করে অভিবাসী হিসেবে এইচআইভি জীবাণুবাহীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ হয়ে পড়ে। সমকামী লোকজনের মধ্যে এইডস রোগের জীবাণুবাহী বেশি। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এ ধরনের লোক যুক্তরাষ্ট্রে আসার ব্যাপারে জটিলতায় পড়েন। অনেক অভিবাসী পরিবারের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সমকামীদের ব্যাপারে অতীতের রক্ষণশীল ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। নির্বাচনের আগেই বারাক ওবামা সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলোকে এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এইডসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্মশালা আয়োজনে ব্যর্থ হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি বিশ্বের নানা প্রান্তের এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা। ফলে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে এইডসবিষয়ক গবেষণা এবং এ রোগ ঠেকাতে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হচ্ছিল।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে মার্কিন কংগ্রেস এ সংক্রান্ত একটি সংশোধিত আইন প্রণয়ন করে। সে অনুযায়ী এইডস জীবাণুবাহীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগও নিয়েছিলেন তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। মার্কিন সিনেটে ডেমোক্রেটদলীয় প্রভাবশালী সদস্য সিনেটর জন কেরি ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে অভিবাসনের জন্য আবেদনকারী এইডস জীবাণুবাহী কি না তা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী এইডস প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মহল।
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় এইডসবিষয়ক বিখ্যাত গবেষক হ্যানস ভারফেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এইডসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা ছিল। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে অদ্যাবধি আন্তর্জাতিক মহল যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনো এইডসবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেনি।
প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের সহকারী পরিচালক সোকোরো গ্রস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার এ উদ্যোগে এইডস রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
এইডস রোগের জীবাণুবাহীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ১৯৮৭ সালে। এরপর পর্যটক থেকে শুরু করে অভিবাসী হিসেবে এইচআইভি জীবাণুবাহীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ হয়ে পড়ে। সমকামী লোকজনের মধ্যে এইডস রোগের জীবাণুবাহী বেশি। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এ ধরনের লোক যুক্তরাষ্ট্রে আসার ব্যাপারে জটিলতায় পড়েন। অনেক অভিবাসী পরিবারের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সমকামীদের ব্যাপারে অতীতের রক্ষণশীল ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে। নির্বাচনের আগেই বারাক ওবামা সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলোকে এ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এইডসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও কর্মশালা আয়োজনে ব্যর্থ হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি বিশ্বের নানা প্রান্তের এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা। ফলে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে এইডসবিষয়ক গবেষণা এবং এ রোগ ঠেকাতে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হচ্ছিল।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে মার্কিন কংগ্রেস এ সংক্রান্ত একটি সংশোধিত আইন প্রণয়ন করে। সে অনুযায়ী এইডস জীবাণুবাহীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উদ্যোগও নিয়েছিলেন তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। মার্কিন সিনেটে ডেমোক্রেটদলীয় প্রভাবশালী সদস্য সিনেটর জন কেরি ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হলে অভিবাসনের জন্য আবেদনকারী এইডস জীবাণুবাহী কি না তা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী এইডস প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করে আন্তর্জাতিক মহল।
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় এইডসবিষয়ক বিখ্যাত গবেষক হ্যানস ভারফেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এইডসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা ছিল। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে অদ্যাবধি আন্তর্জাতিক মহল যুক্তরাষ্ট্রে আর কোনো এইডসবিষয়ক সম্মেলনের আয়োজন করেনি।
প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের সহকারী পরিচালক সোকোরো গ্রস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার এ উদ্যোগে এইডস রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
No comments