দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন জ্যাক শিরাক
দুর্নীতির অভিযোগে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাক শিরাককে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের একটি আদালত। শিরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্যারিসের মেয়র থাকাকালে তিনি সরকারি বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন। ওই সময় তিনি স্বজনপ্রীতি করে তাঁর বন্ধু ও সহকর্মীদের কাজের নামে প্রচুর অর্থ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা ওই অর্থ নিয়ে কোনো কাজ করেননি।
জ্যাক শিরাক রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে বর্তমানে সেবামূলক কাজ করছেন। বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর কল্যাণে কাজ করে, এমন একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্যারিসের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন শিরাক। ওই সময় তিনি তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। বেতন বাবদ তাঁদের পেছনে তিনি ৫০ লাখ ডলার খরচ করেন। কিন্তু উপদেষ্টারা ওই টাকা নিয়ে কোনো কাজ করেননি।
শিরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট জ্যাভিয়ার সিমোনি বলেন, জ্যাক শিরাক যে জনগণের অর্থ তছরুপ করেছেন, এর প্রমাণ রয়েছে। এ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিচার করা হবে।
সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইতিমধ্যে শিরাকের আমলে অভিযুক্ত নয়জনের বিচার হয়েছে। তবে ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট থাকায় জ্যাক শিরাককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি।
জ্যাক শিরাকের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি আদালতেই বিষয়টি মোকাবিলা করবেন। সেখানে প্রমাণ করবেন যে বিনা কারণে মেয়রের উপদেষ্টা হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
দুর্নীতির অভিযোগে শিরাককে বিচারের আদালতের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির রাজনীতিবিদেরা। তাঁদের অনেকে বলেছেন, জ্যাক শিরাককে বিচারের মুখে দাঁড় করানোটা ঠিক হবে না। এতে বহির্বিশ্বে ফরাসি রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
শিরাকের বিচার হলে সেটা হবে আধুনিক ফ্রান্সের কোনো রাজনীতিবিদের প্রথম দুর্নীতির বিচার।
জ্যাক শিরাক রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে বর্তমানে সেবামূলক কাজ করছেন। বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর কল্যাণে কাজ করে, এমন একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্যারিসের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন শিরাক। ওই সময় তিনি তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। বেতন বাবদ তাঁদের পেছনে তিনি ৫০ লাখ ডলার খরচ করেন। কিন্তু উপদেষ্টারা ওই টাকা নিয়ে কোনো কাজ করেননি।
শিরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট জ্যাভিয়ার সিমোনি বলেন, জ্যাক শিরাক যে জনগণের অর্থ তছরুপ করেছেন, এর প্রমাণ রয়েছে। এ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিচার করা হবে।
সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ইতিমধ্যে শিরাকের আমলে অভিযুক্ত নয়জনের বিচার হয়েছে। তবে ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট থাকায় জ্যাক শিরাককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি।
জ্যাক শিরাকের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তিনি আদালতেই বিষয়টি মোকাবিলা করবেন। সেখানে প্রমাণ করবেন যে বিনা কারণে মেয়রের উপদেষ্টা হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
দুর্নীতির অভিযোগে শিরাককে বিচারের আদালতের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির রাজনীতিবিদেরা। তাঁদের অনেকে বলেছেন, জ্যাক শিরাককে বিচারের মুখে দাঁড় করানোটা ঠিক হবে না। এতে বহির্বিশ্বে ফরাসি রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
শিরাকের বিচার হলে সেটা হবে আধুনিক ফ্রান্সের কোনো রাজনীতিবিদের প্রথম দুর্নীতির বিচার।
No comments